টোবি ম্যাগুইয়ার | |
---|---|
Tobey Maguire | |
জন্ম | টোবিয়াস ভিনসেন্ট ম্যাগুইয়ার ২৭ জুন ১৯৭৫ |
জাতীয়তা | মার্কিন |
পেশা | অভিনেতা, চলচ্চিত্র প্রযোজক |
কর্মজীবন | ১৯৮৯–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | জেনিফার মেয়ার (বি. ২০০৭; বিচ্ছেদ. ২০১৭) |
সন্তান | ২ |
টোবিয়াস ভিনসেন্ট ম্যাগুইয়ার (ইংরেজি: Tobias Vincent Maguire; জন্ম: ২৭ জুন ১৯৭৫) হলেন একজন মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি স্পাইডার-ম্যান (২০০২), স্পাইডার-ম্যান ২ (২০০৪) ও স্পাইডার-ম্যান ৩ (২০০৭) চলচ্চিত্রে স্পাইডার-ম্যান চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি অর্জন করেন। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রসমূহ হল প্লিজেন্টভিলা (১৯৯৮), দ্য সিডার হাউজ রুলস (১৯৯৯), ওয়ান্ডার বয়েজ (২০০০), সিবিস্কুট (২০০৩), দ্য গুড জার্মান (২০০৬), ব্রাদার্স (২০০৯), ও দ্য গ্রেট গেটসবি (২০১৩)।
ম্যাগুইয়ার একটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার ও একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারসহ দুটি স্যাটার্ন পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১২ সালে তিনি তার নিজের প্রযোজনা সংস্থা ম্যাটেরিয়াল পিকচার্স প্রতিষ্ঠা করেন এবং একই বছর গুড পিপল চলচ্চিত্র সহ-প্রযোজনা করেন। ২০১৪ সালে তিনি পন স্যাক্রিফাইস চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন এবং এতে ববি ফিশার চরিত্রে অভিনয় করেন।[১]
টোবিয়াস ভিনসেন্ট ম্যাগুইয়ার ১৯৭৫ সালের ২৭শে জুন ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মনিকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ভিনসেন্ট ম্যাগুইয়ার ছিলেন একজন নির্মাণকর্মী ও পাচক,[২] এবং তার মাতা ওয়েন্ডি (ব্রাউন) ছিলেন একজন চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র প্রযোজক।[৩] তার চারজন বৈমাত্রেয় ভাই রয়েছে। তিনি অর্ধেক অস্ট্রীয় এবং অর্ধেক পুয়ের্তো রিকান বংশোদ্ভূত।[৪] তার জন্মের সময় তার পিতামাতার বয়স ছিল যথাক্রমে ২০ ও ১৮ এবং তারা তখনো অবিবাহিত ছিলেন। তারা তার জন্মের পর বিয়ে করেন এবং ম্যাগুইয়ারের যখন দুই বছর বয়স তখন তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।[৫] ম্যাগুইয়ার শৈশবে বিভিন্ন শহরে তার পিতা ও মাতার ভিন্ন দুই সংসারে পরিবারের বাকি সদস্যদের সাথে বসবাস করেন।[৬]
শৈশবে ম্যাগুইয়ার পাচক হতে চেয়েছিলেন এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। তার মাতা তাকে ১০০ ডলার দিয়েছিলেন নাট্যকলা কোর্স নেওয়ার জন্য এবং তিনি তাতে সম্মত হন।[৭] তিনি হাই স্কুল থেকে ঝরে পড়েন এবং আর স্কুলে ফিরে যাননি। তার পরিবর্তে তিনি অভিনয়কে কর্মজীবন হিসেবে বেছে নেন।[৮] ২০০০ সালে তিনি জিইডি অর্জন করেন, এবং তার স্কুলের দিনগুলির উল্লেখ করে বলেন, "আমি শিক্ষাগ্রহণ করছিলাম না, আমি কেবল স্কুলে যেতাম, কিন্ত... একেবারেই তা ছেড়ে দেইনি।"[৯]
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে ম্যাগুইয়ার প্রথম কাজ করেন ১৯৮৯ সালে দ্য উইজার্ড-এ। তিনি লুকাস বার্টনের গুন্ডাদের একজনের চরিত্রে কাজ করেন, যার কোন সংলাপ ছিল না। তিনি ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে শিশুশিল্পী হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তাকে তার বয়সের তুলনায় ছোট চরিত্রে দেখা যেত, এমনকি ২০০২ সালে বিশের অধিক বয়সেও তাকে কিশোর চরিত্রে দেখা যায়। তিনি বিভিন্ন অভিনয়শিল্পীদের সাথে বিভিন্ন ধরনের টেলিভিশন বিজ্ঞাপন, টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে থাকেন; তন্মধ্যে রয়েছে চাক নরিসের সাথে ওয়াকার, টেক্সাস র্যাঞ্জার টিভি ধারাবাহিক, রোজিঅ্যান বারের সাথে রোজিঅ্যান টিভি ধারবাহিক, ও ট্রেসি উলম্যানের সাথে ট্রেসি টেকস অন... টিভি ধারবাহিক। ইতোমধ্যে তিনি ফক্সের টিভি ধারাবাহিক গ্রেট স্কট!-এ প্রধান অভিনেতা হিসেবে নির্বাচিত হন, কিন্তু পাঁচ সপ্তাহ পরে তা বাতিল হয়ে যায়।
কয়েকটি অডিশন দেওয়া সময় তিনি দেখতে পান যে তিনি আরেক উদীয়মান তারকা অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর বিপরীতে একই চরিত্রে অডিশন দিচ্ছেন। তাদের দুজনের মধ্যে অচিরেই ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এবং তাদের মধ্যে একে অপরকে চলচ্চিত্র/টিভি অনুষ্ঠান/অন্য কাজ পাইয়ে দেওয়ার অনানুষ্ঠানিক চুক্তি হয়। উদাহরণস্বরূপ, তার দুজনেই ১৯৮৯ সালের হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র প্যারেন্টহুড অবলম্বনে নির্মিতব্য ১৯৯০-এর একই নামের টিভি ধারাবাহিকের একই চরিত্রের জন্য অডিশন দেন। ডিক্যাপ্রিও চরিত্রটির জন্য নির্বাচিত হন এবং ম্যাগুইয়ার পরবর্তী কালে ডিক্যাপ্রিওর অনুরোধে একটি অতিথি চরিত্রে কাজ পান। একই ঘটনা ঘটে যখন ডিক্যাপ্রিও ১৯৯৩ সালে দিস বয়'স লাইফ চলচ্চিত্রে প্রধান কিশোর টোবি চরিত্রে কাজের সুযোগ পান এবং ম্যাগুইয়ার টোবির বন্ধুদের একজন চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান।[১০]
১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝিতে তিনি নিয়মিত কাজ করে যান, কিন্তু তার সমকালীন কয়েকজন তরুণ অভিনেতাদের মত অত্যধিক পার্টিরত জীবনযাত্রায় জড়িত হয়ে পড়েন। ১৯৯৫ সালে তিনি পরিচালক অ্যালান ময়েলকে অনুরোধ করেন তাকে এম্পায়ার রেকর্ডস চলচ্চিত্রে তার চরিত্র থেকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য। ময়েল তাতে সম্মত হন এবং চূড়ান্ত চলচ্চিত্র থেকে ম্যাগুইয়ারের অংশগুলি বাদ দেওয়া হয়।[১১] ম্যাগুইয়ার পরে অ্যালকোহলিকস অ্যানোনিমাসের নিকট তার মদ্যপানের অভ্যাস থেকে মুক্তির জন্য সাহায্য চান, এবং এরপর থেকে তিনি পরিমিত মদ্যপান করেন।[১২]
মদ্যপানের আসক্তি থেকে বের হয়ে এসে ম্যাগুইয়ার তার কর্মজীবনের পথ পরিবর্তন করে ডিক্যাপ্রিও যেসব চলচ্চিত্রের তার প্রতিযোগী নন সেসব চরিত্রগুলো পাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। তার এই প্রচেষ্টা সফল হয়, যখন তিনি অ্যাং লির ১৯৯৭ সালের দি আইস স্টর্ম চলচ্চিত্রে পল হুড চরিত্রে কাজের সুযোগ পান। এই কাজের সফলতা তাকে প্লিজেন্টভিল, দ্য সিডার হাউজ রুলস, ও ওয়ান্ডার বয়েজ চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রে কাজের সুযোগ পাইয়ে দেয়।
১৯৯৮ সালের ফিয়ার অ্যান্ড লোদিং ইন লাস ভেগাস চলচ্চিত্রে তিনি হিচিকার চরিত্রে অভিনয় করেন, যে লাস ভেগাসে যাত্রাপথে রাউল ডিউক ও ডক্টর গঞ্জোর সাথে সাক্ষাৎ করেন।[১৩] ১৯৯৯ সালে তিনি জুয়েল কিলচারের সাথে রাইড উইথ দ্য ডেভিল ছবিতে ইয়াকব র্যোডেল চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে তিনি একজন জার্মান অভিবাসীর পুত্র চরিত্রে দেখা যায়, যে মিজুরি রাইডার্সে কয়েকজন দক্ষিণী বন্ধুর সাথে মিলিত হয়ে ক্যানসাসের জেহকার্স ও রেডলেগার্স কর্তৃক মিজুরিদের উপর নৃশংসতার প্রতিশোধ নেয়।[১৪] ২০০১ সালে তিনি অ্যানিমেটেড পারিবারিক চলচ্চিত্র ক্যাটস অ্যান্ড ডগস-এ লু নামে এক বিগল কুকুরছানার ভূমিকার জন্য কণ্ঠ দেন।[১৫]
২০০২ সালে ম্যাগুইয়ার মার্ভেল কমিক্সের সুপারহিরো অবলম্বনে নির্মিত স্পাইডার-ম্যান চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি ব্যাপক সফলতা অর্জন করে এবং তাকে তারকা খ্যাতি পাইয়ে দেয়। তিনি পরবর্তী কালে এই চলচ্চিত্রের অনুবর্তী পর্ব স্পাইডার-ম্যান ২ (২০০৪) ও স্পাইডার-ম্যান ৩ (২০০৭) চলচ্চিত্রে একই চরিত্রে অভিনয় করেন এবং এই চলচ্চিত্র অবলম্বনে নির্মিত ভিডিও গেমে স্পাইডার-ম্যান চরিত্রের জন্য কণ্ঠ দেন। তিনটি চলচ্চিত্রই স্ব-স্ব বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের অংশ হয়ে ওঠে।[১৬][১৭][১৮]
স্পাইডার-ম্যান চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি বিপুল সমাদৃত হন। শিকাগো ট্রিবিউন-এর মার্ক ক্যারো লিখেন, "তার বড়, গোলাকৃতির ও প্রাণবন্ত চোখ দিয়ে ম্যাগুইয়ার সর্বদায় এক প্রকার বিস্ময়ের প্রকাশ ঘটিয়েছেন এবং সহজাত সংযতভাব তাকে সাহায্য করেছে।"[১৯] পাণ্ডুলিপি ও নির্মাণের জটিলতার জন্য চতুর্থ স্পাইডার-ম্যান চলচ্চিত্র নির্মিত হয়নি। সনি পিকচার্স এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নেয়,[২০] তবে ২০১২ সালের ৩রা জুলাই মুক্তিপ্রাপ্ত নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রের জন্য নতুন অভিনেতা অ্যান্ড্রু গারফিল্ডকে বাছাই করা হয়।
ম্যাগুইয়ার এই সময়ে প্রযোজক হিসেবেও আবির্ভূত হন, তার প্রযোজিত চলচ্চিত্রগুলো হল টুয়েন্টিফিফথ আওয়ার (২০০২), হোয়াটেভার উই ডু (২০০৩) ও সিবিস্কুট।[২১] বিখ্যাত ঘোড়দৌড়ের ঘোড়া সিবিস্কুটকে নিয়ে নির্মিত সিবিস্কুট (২০০৩) চলচ্চিত্রে তিনি জকি জন এম. "রেড" পোলার্ড চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৬ সালে তিনি জোসেফ ক্যাননের দ্য গুড জার্মান উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত স্টিভেন সোডারবার্গের একই নামের চলচ্চিত্রে প্রথমবারের মত খল চরিত্রে অভিনয় করেন। জর্জ ক্লুনি ও কেট ব্লানচেটের বিপরীতে তাকে কর্পোরাল প্যাট্রিক টালি চরিত্রে দেখা যায়।[২২]
২০০৮ সালে তিনি ব্যঙ্গাত্মক মারপিটধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র ট্রপিক থান্ডার-এ অষ্টাদশ শতাব্দীর সমকামী সন্ন্যাসীর ভূমিকায় ক্ষণিক চরিত্রে অভিনয় করেন।[২৩] পরের বছর তিনি জেইক ইলেনহল ও ন্যাটালি পোর্টম্যানের সাথে জিম শেরিডানের যুদ্ধভিত্তিক নাট্যধর্মী ব্রাদার্স চলচ্চিত্র সদ্য আফগানিস্তান যুদ্ধ থেকে ফিরে আসা যুদ্ধবন্দী স্যাম ক্যাহিল চরিত্রে অভিনয় করেন, যে ভাবতে শুরু করে যে তার স্ত্রী তার ভাইয়ের সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে। এই কাজের জন্য তিনি সমাদৃত হন এবং সেরা নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এই মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমার এই মনোনয়ন লাভের ব্যাপারে কোন প্রত্যাশা ছিল না, কিন্তু আমি চোখ রাখছিলাম। আমার স্ত্রী ও পুত্র খুবই উচ্ছ্বসিত। আমিও কিছুটা বিস্মিত।"[২৪] ম্যাগুইয়ার শেষ পর্যন্ত ক্রেজি হার্ট-এর জন্য মনোনয়ন প্রাপ্ত জেফ ব্রিজেসের কাছে হেরে যান।[২৫]
২০১২ সালে তিনি গুড পিপল চলচ্চিত্রের সহ-প্রযোজক ছিলেন। একই বছর তিনি তার প্রযোজনা কোম্পানি ম্যাটেরিয়াল পিকচার্স প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ২০১৩ সালে স্বাধীন অর্থায়ন লাভ করে, যা তাকে আরও চলচ্চিত্র নির্মাণে সহায়তা করে।[২৬] পরের বছর, ম্যাগুইয়ার ব্যাজ লুরমানের দ্য গ্রেট গ্যাটসবি (২০১৩) চলচ্চিত্রে ডিক্যাপ্রিওর সাথে একত্রে অভিনয় করেন। ডিক্যাপ্রিওকে নাম ভূমিকায় এবং ম্যাগুইয়ারকে গল্পকথক নিক ক্যারাওয়ে চরিত্রে দেখা যায়।[২৭][২৮]
তার পরবর্তী চলচ্চিত্র পন স্যাক্রিফাইস (২০১৫) ম্যাটেরিয়াল পিকচার্সের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত। এটি মার্কিন দাবাড়ু ববি ফিশারের সত্য ঘটনা অবলম্বনে স্নায়ুযুদ্ধের থ্রিলার চলচ্চিত্র, এতে ম্যাগুইয়ার ফিশারের ভূমিকায় অভিনয় করেন। ছবিতে ১৯৭২ সালের বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে সোভিয়েত দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বরিস স্পাস্কিকে ফিশারের সাথে প্রতিদ্বন্দিতার আহ্বান বিশদাকারে চিত্রায়িত হয়।[২৯] চলচ্চিত্রটি ইতিবাচক পর্যালোচনা লাভ করে।[৩০] ম্যাগুইয়ার পরবর্তী কালে আলেক বল্ডউইনের সাথে অ্যানিমেটেড দ্য বস বেবি (২০১৭) চলচ্চিত্রে গল্পকথক টিম টেম্পলটন চরিত্রের বয়স্ক সংস্করণে কণ্ঠ দেন।[৩১]
ম্যাগুইয়ার ১৯৯২ সাল থেকে সবজিভোজি এবং ২০০৯ সাল থেকে প্রাণিজ পণ্য ব্যবহার থেকে বিরত।[৩২][৩৩][৩৪] পিপল ফর দি ইথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিমেলস (পেটা) তাকে ২০০২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে যৌন আবেদনময় সবজিভোজি হিসেবে ঘোষণা দেয়।[৩৫] তিনি চলচ্চিত্রের চরিত্রের জন্য ওজন বাড়ানো বা কমানোর ক্ষেত্রে তার খাদ্যাভাসের পরিবর্তন নিয়ে আসেন। যেমন তিনি সিবিস্কুট চলচ্চিত্রের জন্য ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে দিয়েছিলেন এবং এরপরেই স্পাইডার-ম্যান ২-এর জন্য ওজন বাড়ান।[৩৬] ম্যাগুইয়ার কিশোর বয়সের শেষভাগে মদ্যপানের ফলে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পর ১৯ বছর বয়স থেকে মদপানের ব্যাপারে সংযত।[৩৭]
ম্যাগুইয়ার ২০০৩ সালে সিবিস্কুট চলচ্চিত্রের চিত্রায়নকালে ইউনিভার্সাল স্টুডিওজে জুয়েলারি ডিজাইনার জেনিফার মেয়ারের সাথে পরিচিত হন। ২০০৬ সালের এপ্রিলে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। ২০০৬ সালের নভেম্বরে তাদের কন্যার জন্ম হয়।[৩৮][৩৯] ম্যাগুইয়ার ও মেয়ার ২০০৭ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর হাওয়াইয়ের কনায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[৪০] তাদের দ্বিতীয় সন্তান ২০০৯ সালের মে মাসে জন্মগ্রহণ করেন।[৪১] ২০১৬ সালের ১৮ই অক্টোবর নয় বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের পর এই দম্পতি বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়।[৪২] ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
২০০৪ সালে ম্যাগুইয়ার পোকা টুর্নামেন্টে অংশ নেন। তিনি কয়েকটি আয়োজনে তার অর্থ শেষ করে ফেলেন এবং পেশাদার পোকার খেলোয়াড় ড্যানিয়েল নেগ্রেয়ানুর নিকট শিক্ষাগ্রহণ করেন। ম্যাগুইয়ারকে পরে ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭ পোকার বিশ্ব সিরিজের মূল চ্যাম্পিয়নশিপ ইএসপিএনের প্রচারে দেখা যায়।[৪৩][৪৪] তিনি বেন অ্যাফ্লেক ও লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর সাথে কয়েকজন তারকাদের একজন, যিনি ২০০০-এর দশকে দ্য ভাইপার রুমে মলি ব্লুমের হাই স্টেক পোকার গেমে অংশগ্রহণ করেন,[৪৫] এবং একটি টুর্নামেন্ট প্রায় হারার পর ১০০০ ডলারের পোকার চিপের জন্য ব্লুমের কাছে "সিল মাছের মত ডাকার" অনুরোধ করায় নেতিবাচক প্রচার লাভ করেন।[৪৬] এই পর্ব শেষ হওয়ার কিছুদিন পর ম্যাগুইয়ার ব্লুমের নিকট থেকে এই খেলাটি দখন করে নেন, ফলে ব্লুমকে নিউ ইয়র্কে চলে যেতে হয়।[৪৭] এই খেলায় ম্যাগুইয়ারের এমন কাজ মলিস গেম চলচ্চিত্রে মাইকেল চেরা "প্লেয়ার এক্স" চরিত্রের মাধ্যমে চিত্রিত করেন।[৪৮]
পুরস্কার | বছর | বিভাগ | মনোনীত কর্ম | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
অনলাইন ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার | ২০০১ | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা | ওয়ান্ডার বয়েজ | মনোনীত |
ইয়াং আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড | ১৯৯৩ | নতুন টিভি ধারাবাহিকে শ্রেষ্ঠ কিশোর অভিনেতা | গ্রেট স্কট! | মনোনীত |
এম্পায়ার পুরস্কার | ২০০৫ | শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | স্পাইডার-ম্যান ২ | মনোনীত |
এমটিভি মুভি ও টিভি পুরস্কার | ২০০৩ | শ্রেষ্ঠ পুরুষ অভিনয়শিল্পী | স্পাইডার-ম্যান | মনোনীত |
শ্রেষ্ঠ চুম্বন (কিয়ার্স্টন ডান্স্টের সাথে যৌথভাবে) | বিজয়ী | |||
২০০৫ | শ্রেষ্ঠ নায়ক | স্পাইডার-ম্যান ২ | মনোনীত | |
২০০৮ | শ্রেষ্ঠ মারপিট (জেমস ফ্র্যাঙ্কোের সাথে যৌথভাবে) | স্পাইডার-ম্যান ৩ | মনোনীত | |
কিডস চয়েস পুরস্কার | ২০০৩ | জনপ্রিয় পুরুষ কিকার | স্পাইডার-ম্যান | মনোনীত |
২০০৫ | জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা | স্পাইডার-ম্যান ২ | মনোনীত | |
গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার | ২০১০ | সেরা অভিনেতা - নাট্য চলচ্চিত্র | ব্রাদার্স | মনোনীত |
গোল্ডেন শ্মোজ পুরস্কার | ২০০২ | বর্ষসেরা জনপ্রিয় তারকা | — | মনোনীত |
টিন চয়েস পুরস্কার | ২০০০ | জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা | দ্য সিডার হাউজ রুলস | মনোনীত |
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র: মিথ্যাবাদী | ওয়ান্ডার বয়েজ | মনোনীত | ||
২০০২ | জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা: নাট্য/মারপিট-রোমাঞ্চকর | স্পাইডার-ম্যান | বিজয়ী | |
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র: রসায়ন (কিয়ার্স্টন ডান্স্টের সাথে যৌথভাবে) |
মনোনীত | |||
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র: ঠোঁটে ঠোঁটে মিলন (কিয়ার্স্টন ডান্স্টের সাথে যৌথভাবে) |
বিজয়ী | |||
২০০৭ | জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা: মারপিট/রোমাঞ্চকর | স্পাইডার-ম্যান ৩ | মনোনীত | |
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র: ঠোঁটে ঠোঁটে মিলন (কিয়ার্স্টন ডান্স্টের সাথে যৌথভাবে) |
স্পাইডার-ম্যান ৩ | মনোনীত | ||
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র: নৃত্য | মনোনীত | |||
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র: গম্ভীর ভাব (জেমস ফ্র্যাঙ্কো, টোফার গ্রেস ও টমাস হ্যাডেন চার্চের সাথে যৌথভাবে) |
মনোনীত | |||
২০১০ | জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা: নাট্য | ব্রাদার্স | মনোনীত | |
টরন্টো ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার | ২০০০ | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা | ওয়ান্ডার বয়েজ | বিজয়ী |
ন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ড | ২০০৭ | সেরা পুরুষ অভিনয়শিল্পী | স্পাইডার-ম্যান ৩ | মনোনীত |
পিপলস চয়েস পুরস্কার | ২০০৫ | জনপ্রিয় পুরুষ মারপিটধর্মী তারকা | স্পাইডার-ম্যান ২ | মনোনীত |
জনপ্রিয় পর্দা রসায়ন (কিয়ার্স্টন ডান্স্টের সাথে যৌথভাবে) | মনোনীত | |||
২০০৮ | জনপ্রিয় পর্দা যুগল (কিয়ার্স্টন ডান্স্টের সাথে যৌথভাবে) | স্পাইডার-ম্যান ৩ | মনোনীত | |
প্রিজম পুরস্কার | ২০১০ | চলচ্চিত্রে সেরা অভিনয় | ব্রাদার্স | মনোনীত |
ফিনিক্স ফিল্ম ক্রিটিকস সোসাইটি পুরস্কার | ২০০১ | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা | ওয়ান্ডার বয়েজ | মনোনীত |
ব্ল্যাক রিল পুরস্কার | ২০০৩ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | টুয়েন্টিফিফথ আওয়ার | মনোনীত |
সিনইউফোরিয়া পুরস্কার | ২০১১ | শ্রেষ্ঠ অভিনেতা - আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা | ব্রাদার্স | বিজয়ী |
স্যাটার্ন পুরস্কার | ১৯৯৯ | শ্রেষ্ঠ কিশোর অভিনয়শিল্পী | প্লিজেন্টভিল | বিজয়ী |
২০০৩ | শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | স্পাইডার-ম্যান | মনোনীত | |
২০০৫ | শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | স্পাইডার-ম্যান ২ | বিজয়ী | |
২০১০ | শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | ব্রাদার্স | মনোনীত | |
স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার | ২০০০ | চলচ্চিত্রে সেরা অভিনয়শিল্পীদল | দ্য সিডার হাউজ রুলস | মনোনীত |
২০০৪ | চলচ্চিত্রে সেরা অভিনয়শিল্পীদল | সিবিস্কুট | মনোনীত | |
এসএফএক্স পুরস্কার | ২০০৩ | শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান কল্পকাহিনি বা কল্পনাধর্মী চলচ্চিত্র অভিনেতা | স্পাইডার-ম্যান | মনোনীত |
স্পাইক ভিডিও গেম পুরস্কার | ২০০৪ | সেরা অভিনয় - পুরুষ | স্পাইডার-ম্যান ২ | মনোনীত |