ট্যাঙ্গু এবং লাভাডিওর অ্যাডভেঞ্চার | |
---|---|
প্রকাশনার তথ্য | |
প্রকাশক | দারগদ |
প্রকাশনার তারিখ | অক্টোবর ১৯৫৯ |
প্রধান চরিত্র(সমূহ) | মাইকেল ট্যাঙ্গু আর্নেস্ট লাভাডিওর |
সৃজনশীল দল | |
লেখক(সমূহ) | জন-মিশেল চার্লিয়ার |
চিত্রকার(সমূহ) | অ্যালবার্ট উদেরজো, জিজে |
উদ্ভাবক(সমূহ) | জন-মিশেল চার্লিয়ার এবং অ্যালবার্ট উদেরজো |
ট্যাঙ্গু এবং লাভাডিওর অ্যাডভেঞ্চার (ফরাসি Les Aventures de Tanguy et Laverdure) ফরাসি ভাষায় রচিত কমিক বই। ফ্র্যাঙ্কো-বেলজিয়াম কমিক সিরিজের এই কাহিনীটির রচয়িতা জন-মিশেল চার্লিয়ার এবং অ্যালবার্ট উদেরজো। কমিক বইটিতে মাইকেল ট্যাঙ্গু এবং আর্নেস্ট লাভাডিওর নামক ফরাসী বিমান বাহিনীর দুই দুঁদে পাইলটের অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীর বর্ণনা করা হয়েছে।
মাইকেল টাঙ্গু নামে ১৯৫৯ সালের ২৯ অক্টোবর প্রথম ফ্র্যাঙ্কো-বেলজিয়াম কমিক্স ম্যাগাজিন পিলট এর প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।[১] ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত এই কাহিনী পিলটকে দেয় প্রতিযোগী প্রকাশনী স্পিরোর বাক ড্যানি, এবং টিনটিন পত্রিকায় প্রকাশিত 'ড্যান কুপারের মত কাহিনীর সাথে পাল্লা দেয়ার ক্ষমতা।
১৫৯ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৭১ সালের জুন মাস পর্যন্ত কমিকটি পিলট পত্রিকায় একনাগাড়ে প্রকাশিত হয়। পরবর্তী কমিক্সটি টিনটিন (১৯৭৩) পত্রিকায়, সুপার অ্যাজ (১৯৭৯/১৯৮০), ক্যাথোলিক পত্রিকা লে পেলেরিন (১৯৮১/১৯৮৪ সালের দিকে), মোস্টিক জুনিয়র (বেলজিয়াম; ১৯৮৮) প্রকাশিত হয়।[২] চার্লির মৃত্যুর পর অনেকদিন বন্ধ থাকার পর ২০০২ সাল থেকে নতুন দুই লেখকের পৃষ্ট পোষকতায় কমিক্সটি আবার প্রকাশিত হতে শুরু করেছে।
ট্যাঙ্গু এবং লাভাডিওর ফরাসী ভাষা ছাড়াও ইতালিয়ান, জার্মান, ডাচ, ড্যানিস, ইন্দোনেশিয়ান, ইংরেজি, স্প্যানিশ, পর্তুগীজ এবং সার্বোক্রোয়েশিয়ান ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে। কাহিনীটি লা সেভালিয়ার্স ড্যু সিল (স্বর্গের নাইটস) নামে ১৯৬৭-৬৯ এবং ১৯৮৮-৯১ সালে টিভিতে এবং ২০০৫ সালে একই নামে সিনেমা তৈরি করা হয়।
দি ফ্লাইং ফিউরিজ নামে ১৯৬৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিটিশ কমিক পত্রিকা লায়ন এ ইংরেজি প্রকাশিত হয়। অবশ্য ইংরেজি কাহিনীতে প্রধান চরিত্রগুলোর নাম ট্যাঙ্গু থেকে জিম 'জেট' পাওয়ার এবং লাভাডিউর থেকে টেরি ম্যাডেন করা হয়। ট্যাঙ্গু এবং লাভাডিওর প্রথম রোমাঞ্চকর কাহিনী "ল'ইকোল ডে আইলস" এর অনুবাদ "ফ্লাইং ফিউরিজ"। দি অ্যারোনটস নামে ১৯৭৩ সালে একটি বার্ষিকী প্রকাশিত হয়। ডেস্টিনিশন ফ্যাসিফিক এবং মিন্যাসে সুর মুরোরা নামের দুইটি কাহিনীর উপর ভিত্তি করে বার্ষিকীটি রচিত হয়। এই বার্ষিকীতে অবশ্য প্রধান চরিত্রদ্বয়ের আসল নাম রাখা হয়।
ট্যাঙ্গু এবং লাভাডিওর, দুই বন্ধু, দুই জনেই উড়ুক্কু বিদ্যালয়ে শিক্ষানবীস হিসেবে থাকেন এবং তারা বন্ধু হলেও সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্রের অধিকারী। ট্যাঙ্গু আন্তরিক, সৎ এবং অনুগত, অপরদিকে লাভাডিওর অদ্ভুত, অলস এবং অপ্রতিভ। কিন্তু বিপদের সময় এই লাভাডিওর হয়ে উঠে ট্যাঙ্গুর একমাত্র ভরসা। বিপজ্জনক মিশন এবং গুপ্তচরবৃত্তি উভয় পাইলটের দৈনন্দিন কাজ, যারা দক্ষ বৈমানিক এবং মার্তৃভূমি রক্ষায় দক্ষ।
অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির তাদেরকে স্যালন-ডি-প্রোভেন্স উড়ুক্কু বিদ্যালয় থেকে মেকনেস উড়ুক্কু বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। পৌঁছানোর অল্প সময়ের মধ্যে, তারা গোপনীয় তথ্য সহ হারিয়ে যাওয়া একটি ওয়ারহেড পুনরুদ্ধারের জন্য তুষারময় অ্যান্টি- অ্যাটলাস এ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হয়। এর পর তারা সিগোগনেস স্কোয়াড্রন এ যোগ দেন, যেখানে তারা মিরাজ থ্রি প্লেন চালানোর সুযোগ পায়। তাদের অ্যাডভেঞ্চার তাদেরকে দিজন এয়ার বন্দর, তেল আভিভ এবং গ্রিনল্যান্ড এ ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়।
জন-মিশেল চার্লিয়ার এবং অ্যালবার্ট উদেরজো কর্তৃক রচিতঃ
জন-মিশেল চার্লিয়ার এবং জিজে কর্তৃক রচিতঃ
বিশেষঃ দি প্লেন দ্যাট কিল্ড ইটস পাইলটস (হ্যাচেট, ১৯৭১) - চিত্রিত উপন্যাস, কমিক নয়।
জন-মিশেল চার্লিয়ার এবং প্যাট্রিস সারস কর্তৃক রচিতঃ
জন-মিশেল চার্লিয়ার এবং আল কটেলিস
জন-মিশেল লেইডিন এবং ইভান ফার্নান্দেজ
জন-মিশেল লেইডিন এবং রেনড গ্যারেটা