ট্রাভিস হেড

ট্রাভিস হেড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ট্রাভিস মাইকেল হেড
জন্ম (1993-12-29) ২৯ ডিসেম্বর ১৯৯৩ (বয়স ৩০)
অ্যাডিলেড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
উচ্চতা১.৭৯ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকামাঝারিসারির ব্যাটসম্যান
ব্যাটিং অলরাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২১৩)
১৩ জুন ২০১৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ ওডিআই৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই শার্ট নং৬২
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ ৮২)
২৬ জানুয়ারি ২০১৬ বনাম ভারত
শেষ টি২০আই২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বনাম শ্রীলঙ্কা
টি২০আই শার্ট নং৬২
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০১২-বর্তমানদক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া (জার্সি নং ৩৪)
২০১৩-বর্তমানঅ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স (জার্সি নং ৩৪)
২০১৬-বর্তমানরয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
২০১৬ইয়র্কশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই টি২০আই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২২ ৫০ ৫৫
রানের সংখ্যা ৭৪৪ ১৪৭ ৩,০৮৭ ১,৯১২
ব্যাটিং গড় ৩৭.২০ ২৪.৫০ ৩৪.৬৮ ৩৭.৪৯
১০০/৫০ ১/৫ ০/০ ৪/২১ ৪/৯
সর্বোচ্চ রান ১২৮ ৪৫ ১৯২ ২০২
বল করেছে ৫৩৮ ১৮ ১,৭৪০ ৮১৭
উইকেট ১১ ২১ ১৫
বোলিং গড় ৪৬.৯০ ২৫.০০ ৫৯.১৪ ৫৩.২৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - - -
সেরা বোলিং ২/২২ ১/১৬ ৩/৪২ ২/৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১০/– ৩/– ১৭/– ২১/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ট্রাভিস মাইকেল হেড (ইংরেজি: Travis Head; জন্ম: ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৯৩) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারঅস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। বর্তমানে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়াঅ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের পক্ষ খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারি সারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন ট্রাভিস হেড

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

অ্যাডিলেডে থাকা অবস্থায় বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ক্রেগমোর ক্রিকেট ক্লাবে খেলা শুরু করেন।[] অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ স্তরের ক্রিকেটে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৭ বছর বয়সে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশীপে তার অভিষেক ঘটে।[] এরফলে সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এসএসিএ) সাথে চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য আমন্ত্রিত হন। ২০১১-১২ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় প্রথমবারের মতো অংশ নেন। অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় দলের প্রতিপক্ষ ছিল ভিক্টোরিয়া দল[] এরপর শিল্ডের বাদ-বাকী তিন খেলার প্রত্যেকটিতেই অংশ নিয়ে দুইটি অর্ধ-শতক হাঁকান। তন্মধ্যে, তাসমানিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৯০ রান তোলেন। এ সময় মাইকেল ক্লিঙ্গারের (২১৯*) সাথে ১৭৭ রানের জুটি গড়েছিলেন।[]

২০১২-১৩ মৌসুমে নিয়মিত খেলেন ও সচরাচর মাঝারি সারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন।[] পুনরায় তিনি জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশীপে অংশগ্রহণ করেন। উপর্যুপরি দ্বিতীয়বারের চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ের পাশাপাশি প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হন।[] কিরণ পোলার্ডের আঘাতের কারণে বিগ ব্যাশ লীগে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের পক্ষে একটি টুয়েন্টি২০ খেলায় অংশ নেন।[] তবে, জানুয়ারি, ২০১৩ সালে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে শিল্ড জয়ের অল্প কিছুদিন পর অ্যাডিলেডের একটি হোটেলের বাইরে একটি গাড়ী তাকে আঘাত করলে মাথা ও ঘাড়ে চোঁট পান।[] গ্রেডভিত্তিক ক্রিকেটে টি ট্রি গালি দলের পক্ষে খেলেন।[]

৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে বিগ ব্যাশের একটি খেলায় হেড স্ট্রাইকার্সকে স্মরণীয় জয় এনে দেন। সিডনি সিক্সার্সের বিপক্ষে মাত্র ৫৩ বলে ৯ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারি সহযোগে ১০১ রান তুলেছিলেন তিনি।[১০]

২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ

[সম্পাদনা]

অনূর্ধ্ব-১৯ স্তরের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে, ২০১২ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেন।[১১]

তার সমসাময়িক সতীর্থ ছিলেন এস্টন টার্নার। সমসাময়িক উল্লেখযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সন্দ্বীপ শর্মা, হনুমা বিহারি, কুইন্টন ডি কক, মুররে কেটজী, উইল ইয়ং, ইশ সোধি, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, এনামুল হক, তাসকিন আহমেদ প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

২৬ জানুয়ারি, ২০১৬ তারিখে ভারতের বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে।[১২] যদিও সেই সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ঘরের মাঠে ধবলধোলাই হয় ভারতের কাছে।

একদিবসীয়

[সম্পাদনা]

২০১৬ সালের ১৩ জুন তারিখে ত্রি-দেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক হয় তার।[১৩] জানুয়ারি, ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ওডিআই সিরিজে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান। ইনিংসের উদ্বোধনে নেমে ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে প্রথম উইকেটে ২৮৪ রান তুলেন।[১৪] এ জুটিটি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে যে-কোন উইকেটে সর্বোচ্চ ও ওডিআইয়ের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি।[১৫] লং অফ - ডিপ এক্সট্রা কভার অঞ্চল তার শক্তির জায়গা।

টেস্ট

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Head to India ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ আগস্ট ২০১৩ তারিখে - Craigmore Cricket Club. Retrieved 3 September 2013.
  2. Miscellaneous matches played by Travis Head – CricketArchive. Retrieved 28 January 2013.
  3. South Australia v Victoria – CricketArchive. Retrieved 28 January 2013.
  4. South Australia v Tasmania, Sheffield Shield 2011/12 – CricketArchive. Retrieved 28 January 2013.
  5. Sheffield Shield 2012/13: batting and fielding for South Australia – CricketArchive. Retrieved 28 January 2013.
  6. Travis Head player profile – ESPNcricinfo. Retrieved 28 January 2013.
  7. Adelaide Strikers opt for novice Travis Head, 18, at the crease[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] – news.com.au. Published 9 January 2013. Retrieved 28 January 2013.
  8. Redbacks' rookie Travis Head hit by carThe Australian. Published 28 January 2013. Retrieved 28 January 2013.
  9. Player profile আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে – Southern Redbacks. Retrieved 28 January 2013.
  10. Lane, Daniel (১ জানুয়ারি ২০১৬)। "Big Bash League: Travis Head blasts Adelaide Strikers to incredible victory over Sydney Sixers"The Sydney Morning Herald। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  11. Under-19 ODI matches played by Travis Head (18) – CricketArchive. Retrieved 28 January 2013.
  12. "India tour of Australia, 1st T20I: Australia v India at Adelaide, Jan 26, 2016"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ 
  13. "West Indies Tri-Nation Series, 5th Match: West Indies v Australia at Basseterre, Jun 13, 2016"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৬ 
  14. "Warner, Head tons set up Australia victory"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  15. "Highest partnership for Australia in ODIs"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]