ট্রেভর জেস্তি

ট্রেভর জেস্তি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ট্রেভর এডওয়ার্ড জেস্তি
জন্ম (1948-06-02) ২ জুন ১৯৪৮ (বয়স ৭৬)
গসপোর্ট, হ্যাম্পশায়ার, ইংল্যান্ড
ডাকনামজেটস
উচ্চতা৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকামাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষক
আম্পায়ার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৬৮)
১১ জানুয়ারি ১৯৮৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ বনাম নিউজিল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৭/৮৮–১৯৯১ল্যাঙ্কাশায়ার
১৯৮৫–১৯৮৭সারে
১৯৭৯/৮০ক্যান্টারবারি
১৯৭৮মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব
১৯৭৪/৭৫–১৯৮০/৮১গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট
১৯৭৩/৭৪বর্ডার
১৯৬৬–১৯৮৪হ্যাম্পশায়ার
আম্পায়ারিং তথ্য
এফসি আম্পায়ার২৬৮ (১৯৯৩–২০১৩)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ৪৯০ ৪২৮
রানের সংখ্যা ১২৭ ২১,৯১৬ ৯,২১৬
ব্যাটিং গড় ২১.১৬ ২৭.৪৭ ২৭.১০
১০০/৫০ –/১ ৩৫/১১০ ৭/৪৬
সর্বোচ্চ রান ৫২* ২৪৮ ১৬৬*
বল করেছে ১০৮ ৩৬,৮৬৪ ১৩,৩০৯
উইকেট ৫৮৫ ৩৭২
বোলিং গড় ৯৩.০০ ২৭.৪৭ ২৪.৯৫
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৯
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২৩ ৭/৭৫ ৬/২০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/– ২৬৫/১ ১০৬/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ মার্চ ২০১৯

ট্রেভর এডওয়ার্ড জেস্তি ইংরেজি: Trevor Jesty; (জন্ম: ২ জুন, ১৯৪৮) হ্যাম্পশায়ারের গসপোর্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।[] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও, ১৯৬৬ থেকে ১৯৯১ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ার, সারে ও ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে অংশগ্রহণ করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করার পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন ‘জেটস’ ডাকনামে পরিচিত ট্রেভর জেস্তি

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

গসপোর্টের প্রাইভেট কাউন্টি সেকেন্ডারি মডার্নে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। ১৯৭০-এর দশকের শেষার্ধ্ব থেকে ১৯৮০-এর দশকের সূচনাকাল পর্যন্ত হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে খেলেন। এ সময়ে ম্যালকম মার্শালগর্ডন গ্রীনিজের ন্যায় বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান তারকা খেলোয়াড়দের সাথে অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। স্বভাবজাত স্ট্রোকমেকার, কার্যকরী মিডিয়াম-পেস ও চমৎকার ফিল্ডার হিসেবে খেলতেন। তবে, এ সময়েই বেশ কয়েক বছর ইংল্যান্ড দলে প্রত্যেক খেলোয়াড়কেই পরীক্ষামূলকভাবে খেলতে দেখা যেতো। কিন্তু, ট্রেভর জেস্তি’র ভাগ্যে তা ঘটেনি।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৪৯০টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ট্রেভর জেস্তি। ২১৯১৬ রান সংগ্রহের পাশাপাশি ৫৮৫টি উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি। ঘরোয়া কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে খেলার পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ডার ও গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট এবং নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির পক্ষে খেলেছেন তিনি।

১৯৭৫ সালে হ্যাম্পশায়ারের বোলিং গড়ে অপর বিখ্যাত ক্রিকেটার অ্যান্ডি রবার্টসের পরেই তিনি দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে প্রথমবারের মতো সহস্রাধিক রান সংগ্রহের মাইলফলকে পৌঁছেন। ১৯৮২ সালে তার এ রান সংগ্রহের ধারা আরও স্ফীততর করেন। ৫৮.৭৫ গড়ে আট সেঞ্চুরি সহযোগে ১৬৪৫ রান তুলতে পেরেছিলেন। পাশাপাশি, ৩১ উইকেটও পেয়েছিলেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, ১৯৮২ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেছিলেন ট্রেভর জেস্তি।[]

নিক পোককের নেতৃত্বাধীন কাউন্টি দলটিতে সহঃ অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। অধিনায়কের দাবীদার হলেও ১৯৮৪ মৌসুমের মাঝামাঝি সময় মার্ক নিকোলাসকে এ পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। এরফলে, ঐ বছর শেষে সারে দলে চলে যান। তিন মৌসুমে ওভালভিত্তিক দলটিতে বেশ রান তুলতে পেরেছিলেন। এরপর ল্যাঙ্কাশায়ারের চলে যান। সেখানেই তিনি তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি টানেন। এছাড়াও, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডীয় ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলেছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

ইংল্যান্ডের পক্ষে কোন টেস্ট খেলার সৌভাগ্য হয়নি ট্রেভর জেস্তির। ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করলেও বিস্ময়করভাবে ১৯৮২ সালের অ্যাশেজ সফরে তাকে দলের সাথে নেয়া হয়নি। কিন্তু এ সফরের শেষদিকে দলীয় সদস্যদের আঘাতপ্রাপ্তির ফলে শূন্যস্থান পূরণে তাকে ইংরেজ দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১০টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছিল তার। অধিকাংশই ১৯৮৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় বেনসন এন্ড হেজেস বিশ্ব সিরিজ কাপের ছিল। ১১ জানুয়ারি, ১৯৮৩ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার। এ প্রতিযোগিতায় তিনি অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত খেলায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৫ বলে ৫০ রানের মূল্যবান ইনিংসে উপহার দিয়েছিলেন।

এছাড়াও, ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে স্বাগতিক দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। কিন্তু, কোন খেলাতেই অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি তার।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে আম্পায়ারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এছাড়াও, ২০০৬ সালে ওভালে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের মধ্যকার সিরিজের চতুর্থ টেস্টে সংরক্ষিত আম্পায়ার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনা করেছেন।

এরপর থেকে কোচের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি ক্রাইস্টস হসপিটাল স্কুল ১ম একাদশ ক্রিকেট দলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "England Players by ODI Caps"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ 
  2. "Wisden's Five Cricketers of the Year"ESPNcricinfoESPN। ২৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]