ট্রেভর মাদোন্দো

ট্রেভর মাদোন্দো
২০০১ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ট্রেভর মাদোন্দো
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ট্রেভর নিয়াশা মাদোন্দো
জন্ম(১৯৭৬-১১-২২)২২ নভেম্বর ১৯৭৬
মাউন্ট ডারউইন, ম্যাশোনাল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে
মৃত্যু১১ জুন ২০০১(2001-06-11) (বয়স ২৪)
পারিরেনিয়াতো হাসপাতাল, হারারে, জিম্বাবুয়ে
ডাকনামবেবি চিনগোক্স
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কতফাদজা মাদোন্দো (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৮)
১৪ মার্চ ১৯৯৮ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট২৬ ডিসেম্বর ২০০০ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৫৩)
২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই২ ফেব্রুয়ারি ২০০১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৩ ২১
রানের সংখ্যা ৯০ ১৯১ ৬৫৩
ব্যাটিং গড় ৩০.০০ ১৫.৯১ ২১.০৬
১০০/৫০ ০/১ ০/১ ০/৪
সর্বোচ্চ রান ৭৪* ৭১ ৭৪*
বল করেছে ২৪
উইকেট
বোলিং গড় ২৮.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ২/– ১৩/–

ট্রেভর নিয়াশা মাদোন্দো (ইংরেজি: Trevor Madondo; জন্ম: ২২ নভেম্বর, ১৯৭৬ - মৃত্যু: ১১ জুন, ২০০১) ম্যাশোনাল্যান্ডের মাউন্ট ডারউইন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ডমাতাবেলেল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘বেবি চিনগোক্স’ ডাকনামে পরিচিত ট্রেভর মাদোন্দো

শৈশবকাল

[সম্পাদনা]

লিলফোর্ডিয়া স্কুল ও ফ্যালকন কলেজে অধ্যয়ন করেছিলেন ট্রেভর মাদোন্দো।[] ফ্যালকন কলেজে থাকাকালীন হকি ও রাগবি ইউনিয়ন খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। রোডস বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ক্রিকেট খেলাকে বেছে নেন তিনি।[]

তৃতীয় গ্রেডে থাকাকালে কোল্টস ক্রিকেট দলে খেলেন। পঞ্চম গ্রেডে থাকাকালীন বিদ্যালয়ের প্রথম একাদশের জন্যে মনোনীত হন। মাঝারিসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি। ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে উদ্বোধনী বোলার হিসেবে খেলতেন। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামতেন তিনি। ষষ্ঠ গ্রেডে থাকাকালে জাতীয় পর্যায়ের প্রাথমিক বিদ্যালয় দল প্যাট্রিজে খেলার জন্যে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

১৯৮৯ সালে ম্যাশোনাল্যান্ড কান্ট্রি ডিস্ট্রিক্টস প্রাথমিক বিদ্যালয় দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। এরপর, মাধ্যমিক শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্য নিয়ে বুলাওয়েভিত্তিক ফ্যালকন কলেজে চলে যান। দুই বছর পর ট্রেভর উইকেট-রক্ষণের দিকে অগ্রসর হন। ফলশ্রুতিতে, জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৫ দল ফনসের পক্ষে খেলেন। ১৯৯২ সালে নামিবিয়া গমন করেন। এছাড়াও, দুই বছর ধরে জিম্বাবুয়ের স্কুলসের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা যান।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ২০০০-০১ মৌসুম পর্যন্ত ট্রেভর মাদোন্দো’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ইনিংসের ভিত্তি আনয়ণের চেষ্টা চালাতে বলকে বেছে বেছে খেলতেন। এছাড়াও, বলকে মাঠের যে-কোন স্থানে নিয়ে যেতে পারতেন। আঘাতের কারণে তার খেলোয়াড়ী জীবনে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়।

বিদ্যালয়ে থাকাকালীন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। মাতাবেলেল্যান্ড দলের উইকেট-রক্ষক হিসেবে সফররত গ্ল্যামারগন দলের মুখোমুখি হন। ঐ সময়ে ওল্ড মিল্টনিয়ান্সের পক্ষে ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নিতেন। ব্যাট হাতে ত্রিশ ও চল্লিশ রান তুলতেন। ১৯৯৫ সালে বিদ্যালয় ত্যাগ করার পর দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রাহামসটাউনের রোডস বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পান। স্নাতক শ্রেণীতে বাণিজ্য বিভাগে পড়েন। রোডসের প্রথম একাদশে খেলে সর্বোচ্চ ৭৭ রান তুলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের ফলে লোগান কাপে মাতাবেলেল্যান্ড দলের পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ লাভে বঞ্চিত হন। তাসত্ত্বেও, সুযোগ পেলেই ইউসিবিএসএ বোল প্রতিযোগিতায় জিম্বাবুয়ে বোর্ড একাদশের সদস্যরূপে নিয়মিতভাবে খেলতেন। ট্রান্সভাল বি-দলের বিপক্ষে তিনদিনের খেলায় ৮৬ রান তুলেন। ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট একাডেমিতে শুরুতেই তাকে রাখা হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট ও তেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ট্রেভর মাদোন্দো। ১৪ মার্চ, ১৯৯৮ তারিখে বুলাওয়েতে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ ডিসেম্বর, ২০০০ তারিখে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

জিম্বাবুয়ের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার হিসেবে কেবলমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। ২০০০-০১ মৌসুমে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বশেষ টেস্টে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।[]

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

২৪তম জন্মদিনের কয়েক মাস পরই ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনাবসান ঘটে ট্রেভর মাদোন্দো’র।[] ১১ জুন, ২০০১ তারিখে মাত্র ২৪ বছর বয়সে হারারের পারিরেনিয়াতো হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালীন তিনি পঞ্চম কনিষ্ঠতম টেস্ট ক্রিকেটারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।[]

নভেম্বর, ২০০৮ সালে বালিতে অবকাশ যাপনকালে তার ভ্রাতা তফাদজা মাদোন্দো মোটরবাইক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Moonda, Firdose (২৩ জুলাই ২০১৩)। "Firdose Moonda pays a visit to Lilfordia school in Zimbabwe | Cricket | ESPN Cricinfo"ESPNcricinfo। ESPN Inc.। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ 
  2. Wisden 2002, p. 1582.
  3. New Zealand v Zimbabwe, Wellington 2000-01
  4. "The early developer"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৭ 
  5. Tests - Shortest lived players
  6. Tafadzwa Madondo killed in motorbike accident

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]