ট্রেভর হোন্স

ট্রেভর হোন্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ট্রেভর ভিক্টর হোন্স
জন্ম২৩ জানুয়ারি, ১৯৫৪
নান্দা, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামক্রেকা
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ ব্রেক গুগলি
ভূমিকাবোলার, প্রশাসক
সম্পর্কমার্ক হোন্স
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৪৫)
২৬ জানুয়ারি ১৯৮৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট২৪ আগস্ট ১৯৮৯ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৫২
রানের সংখ্যা ১৩৬ ৫২১০
ব্যাটিং গড় ২২.৬৬ ২৭.১৩
১০০/৫০ -/- ২/৩০
সর্বোচ্চ রান ৪০ ১০৩
বল করেছে ১৫২৮ ২৪১৭২
উইকেট ১৭ ২৮৮
বোলিং গড় ৩৪.১১ ৩৭.১৫
ইনিংসে ৫ উইকেট - ১১
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৩/৫৯ ৬/৫৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/- ৮৬/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ মার্চ ২০১৯

ট্রেভর ভিক্টর হোন্স (ইংরেজি: Trevor Hohns; জন্ম: ২৩ জানুয়ারি, ১৯৫৪) কুইন্সল্যান্ডের নান্দা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও প্রশাসক। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।[] ১৯৮৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ‘ক্রেকা’ ডাকনামে পরিচিত ট্রেভর হোন্স। দলে তিনি মূলতঃ লেগ ব্রেক গুগলি বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে কার্যকরী ব্যাটিং করতেন তিনি।

ঘরোয়া ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

শেফিল্ড শিল্ডের খেলায় কুইন্সল্যান্ডের পক্ষে সচরাচর ছয় নম্বর কিংবা তার নিচেরসারিতে ব্যাট হাতে মাঠে নামতেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৫২ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। দুইটি শতক ও ত্রিশটি অর্ধ-শতকের ইনিংস খেললেও টেস্টে ক্রিকেটে সাত ইনিংসে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ করেছেন ৪০ রান।

খেলোয়াড়ী জীবনের শুরু থেকেই কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেটে তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত ছিলেন। তাসত্ত্বেও ১৯৮৫-৮৬ ও ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে দুইবার অস্ট্রেলিয়ার বিদ্রোহী দলের সাথে তৎকালীন আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে নিষিদ্ধঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকায় গমন করেছিলেন। সফরকারী দলটিতে সাবেক অস্ট্রেলীয় বামহাতি টেস্ট স্পিনার টম হোগানের সাথে দুইজন স্পিনারের একজন ছিলেন তিনি। এ সফরে অংশগ্রহণের কারণে রাজ্য দল ও টেস্টে দলে অন্যান্যদের সাথে তিনিও পরবর্তীতে দুই বছরের জন্যে ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। গ্রেগ ম্যাথিউস এবং দুই পিটার - স্লিপটেলরের পরেই তার স্থান ছিল। বেশ দেরীতে ৩৪ বছর বয়সে ১৯৮৯ সালে ঐ টেস্টগুলো খেলেছিলেন তিনি। ২৬ জানুয়ারি, ১৯৮৯ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ট্রেভর হোন্সের।

১৯৮৯ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজে খেলার সুযোগ পান। ঐ অ্যাশেজ সিরিজে বেশ আলোচিত হয়েছিলেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্রিকেটার ইয়ান বোথামকে শূন্য রানে বিদেয় করেছিলেন। এছাড়াও, নিচেরসারির ব্যাটসম্যান হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ট্রেভর হোন্স।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন ট্রেভর হোন্স। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। এক দশকব্যাপী এর সভাপতিত্ব করেন। এ পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়া দল রেকর্ডসংখ্যক ১৬ টেস্টে জয় পায় এবং ১৯৯৯২০০৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ে সক্ষমতা দেখায়।

এছাড়াও, কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তৎপর ছিলেন তিনি। তার তৎপরতায় ইয়ান হিলিমার্ক ওয়াহ’র খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এছাড়াও স্টিভ ওয়াহকে একদিনের দলের অধিনায়কের দায়িত্বভার ছেড়ে দিতে হয়। অতঃপর ২০০৬ সালের শুরুরদিকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। তার পরিবর্তে অ্যান্ড্রু হিলডিচ স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। এরপর ক্রীড়াসামগ্রী ব্যবসায়ের দিকে ধাবিত হন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Australia – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  2. "Trevor Hohns Quits as Cricket Australia's Chairman of Selectors"Bloomberg। ৩ এপ্রিল ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১০ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]