লেখক | সাদত হাসান মান্টো |
---|---|
দেশ | পাকিস্তান |
ভাষা | উর্দু |
ধরন | |
প্রকাশিত | মার্চ, ১৯৫০ |
প্রকাশক | সাঙ-এ-মিল পাবলিকেশন্স |
মিডিয়া ধরন | মূদ্রিত |
ঠাণ্ডা গোশত (উর্দু: ٹھنڈا گوشت) সাদত হাসান মান্টো রচিত একটি ছোটগল্প।[১] বইটি পাকিস্তানের একটি সাহিত্য সাময়িকীতে ১৯৫০ সালের মার্চে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর এটি সাঙ-এ-মিল পাবলিকেশন্স কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছিল। ছোটগল্পটি লেখার জন্য সাদাত হাসান মান্টোকে আদালতের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।[২] বাংলায় বইটি অনুবাদ করেন কাউসার মাহমুদ যা পেন্ডুলাম পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়।[৩]
গল্পটির পটভূমি ১৯৪৭ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।[৪] ইশের সিং তার প্রণয়িনী কালবন্ত কাউরকে বিছানায় সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ হয়। কালবন্ত কাউর তাকে বিশ্বাসঘাতকতার দায়ে অভিযুক্ত করে এবং মনে করে সে অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে। এরপর কালবন্ত কাউর মাটিতে পড়ে থাকা কৃপাণ দিয়ে ইশের সিংকে আঘাতের পর আঘাত করতে থাকে। মরার সময় ইশের সিং জানায়, সে দাঙ্গার সময় একটি মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামে রায়তে যুক্ত ছিল। একটি মুসলিম পরিবারের ছয় জন সদস্যকে সে ঐ কৃপাণ দিয়ে খুন করে, যেটা দিয়ে কালবন্ত তাকে আঘাতের পর আঘাত করেছিল। অতঃপর, সে বাড়ির ভিতরে ঢুকে এবং একটি মেয়েকে দেখতে পায়। মেয়েটিকে ঘাড়ে করে তুলে বেরিয়ে আসে সে এবং ঝোঁপের আড়ালে নিয়ে এসে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয়। কিন্তু, মেয়েটি ছিল মৃত, ছিল একদম ঠাণ্ডা গোশতের ন্যায়।[৫]