ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডগলাস অ্যান্থনি মারিলিয়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সলসবারি, রোডেশিয়া | ২৪ এপ্রিল ১৯৭৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | অ্যান্থনি মারিলিয়ার (পিতা) ইয়ান মারিলিয়ার (ভ্রাতা) স্টিফান মারিলিয়ার (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৭) | ২৬ ডিসেম্বর ২০০০ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১২ জানুয়ারি ২০০২ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৬০) | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০০ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৫ জুলাই ২০০৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৪২ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯/২০০০ - ২০০৪/০৫ | মিডল্যান্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯/১০ | ম্যাশোনাল্যান্ড ঈগলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ মে ২০২০ |
ডগলাস অ্যান্থনি মারিলিয়ার (ইংরেজি: Dougie Marillier; জন্ম: ২৪ জুন, ১৯৭৮) সলসবারি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০ থেকে ২০০৩ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে মিডল্যান্ডস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতে পারতেন ডগ মারিলিয়ার নামে পরিচিত ডগি মারিলিয়ার।
সলসবারিতে (বর্তমানে - হারারে) ডগি মারিলিয়ারের জন্ম। পিতা পুলিশের চাকরি করতেন এবং হারারে পুলিশ ক্লাব ও প্রাদেশিক দলে খেলতেন।[১] নর্থ পার্ক প্রাইমারি স্কুলে থাকাকালে প্রথম ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। নিজস্ব তৃতীয় বছর কোল্টস দলে খেলেন। দলটিতে তিনি খেলোয়াড়দের চেয়ে তিন বছরের ছোট ছিলেন। তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ইয়ান মারিলিয়ার জিম্বাবুয়ে ও যুক্তরাজ্যের ঘরোয়া ক্রিকেটে কয়েকটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। তাদের কনিষ্ঠ ভ্রাতা স্টিফান জেমস মারিলিয়ার বর্তমানে জিম্বাবুয়ীয় বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্রিকেটে সাউদার্ন রক্সে খেলছেন।
হারারেভিত্তিক ঈগলভেল হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন। অচিরেই সেখানকার ক্রিকেট দলের প্রধান খেলোয়াড়ে পরিণত হন। ১৬ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো ম্যাশোনাল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলার সুযোগ পান। দূর্ভাগ্যবশতঃ গাড়ি দূর্ঘটনায় তার উভয় পা ভেঙ্গে যায় ও তিন মাস হুইলচেয়ারে চলাচল করতে হয়েছিল। সুস্থ হবার পর তিনি পুনরায় ক্রিকেট জগতে ফিরে আসেন।
১৯৯৬ সালে জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ পর্যায়ে স্বীয় বন্ধু মার্ক ভার্মুলেনের সাথে প্রথম উইকেট জুটিতে ২৬৮ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েন। লিগ ক্রিকেটে অংশগ্রহণের পূর্বে এ সফরের মাধ্যমে অপূর্ব ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। সুন্দর ক্রীড়াশৈলীর কারণে তাকে জিম্বাবুয়ে বি দলের সদস্যরূপে মনোনীত করা হয়। কিন্তু, সামগ্রীকভাবে তিনি খেলেননি। তবে, যখন খেলেন খুব ভালোমানের খেলা উপহার দেন। বর্ডার বি দলের বিপক্ষে ১০৮ রান তুলেন। ১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ডে কেনিলওয়ার্থের পক্ষে খেলেন। এ মৌসুমে ১২০৭ রান করার পর ১৯৯৯ সালে ১২১৮ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হন।
আবেদন মঞ্জুর হলে ১৯৯৯ সালে সিএফএক্স একাডেমি ও পরের বছর অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট একাডেমির বৃত্তি প্রাপক হন।[২] ফিরে আসার পর একাডেমির সদস্যরূপে সফররত নিউজিল্যান্ডীয় একাদশের বিপক্ষে একদিনের প্রস্তুতিমূলক খেলায় সেঞ্চুরি করেন। ফলশ্রুতিতে, জাতীয় দলের পক্ষে ওডিআই সিরিজের জন্যে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৯৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ডগি মারিলিয়ারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। আগ্রাসী ভঙ্গীমায় ব্যাটিং উদ্বোধন কিংবা মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নামতেন। লেগ সাইডেই তিনি অধিক সফল ছিলেন। মাঝে-মধ্যে অফ স্পিনার হিসেবে বোলিংয়ে নামতেন। বলকে পর্যাপ্ত বাউন্সে মাধ্যমে বাঁক খাওয়াতে দক্ষ ছিলেন। আনঅর্থোডক্স কৌশল অবলম্বনে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ও ডানহাতে অফ স্পিন বোলিং করতে তিনি। মারিলিয়ার শট নামে পরিচিত শটের আবিস্কারক হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। এ কৌশলে ব্যাটকে সম্মুখে প্রসার ঘটিয়ে বলকে আলতো ছোঁয়ায় কাঁধের উপর দিয়ে ফাইন লেগে প্রেরণ করা হয়।[৩]
জিম্বাবুয়ের ঘরোয়া পর্যায়ের আসরে লোগান কাপ প্রতিযোগিতায় বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দিয়েছেন। মিডল্যান্ডস দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন ও ৫৫ গড়ে দুই সেঞ্চুরি সহযোগে রান তুলেন। তবে, তখন তিনি নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন। এক পর্যায়ে তিনি কঠিন কৌশল অবলম্বন না করার কারণে ইনিংস উদ্বোধনে করার সিদ্ধান্ত নেন। ঘরোয়া পর্যায়ে সফলতার স্বাক্ষর রাখা সত্ত্বেও বাংলাদেশের বিপক্ষে তাকে দলে রাখা হয়নি। এরপর তিনি দেশে অবস্থানের তুলনায় ইংল্যান্ডের ক্লাবে খেলার সিদ্ধান্ত নেন।
ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাকে দলে নেয়ার আশাবাদী ছিলেন। তিনি হয়তোবা এক কিংবা দুইটি খেলার সুযোগ পেতেন। এ পর্যায়ে জিম্বাবুয়ে দল আঘাতে জর্জরিত ছিল। অভিষেকে সেঞ্চুরি করা হ্যামিল্টন মাসাকাদজা’র পরিবর্তে সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে তাকে রাখার কথা ভাবা হয়।
২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ে এ দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান এ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেন তিনি। এরপর থেকে আর তিনি কোন আনুষ্ঠানিক ক্রিকেটে অংশ নেননি। বর্তমানে তিনি জিম্বাবুয়েভিত্তিক আবাসন শিল্পে কাজ করছেন। এছাড়াও কিছু সামাজিক ও বিনোদনধর্মী ক্রিকেটে অংশ নিয়ে থাকেন। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ীয় শীতকালীন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে রেড লায়ন্সের পক্ষে খেলেন। ধারণা করা হয়েছিল যে, বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্রিকেটে তিনি হয়তোবা খেলার জগতে ফিরে আসবেন। তবে, আরেক সতীর্থ ও সাবেক জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটার ক্যাম্পবেল ম্যাকমিলানের ন্যায় তিনিও এতে সাড়া দেননি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্ট ও আটচল্লিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ডগি মারিলিয়ার। ২৬ ডিসেম্বর, ২০০০ তারিখে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১২ জানুয়ারি, ২০০২ তারিখে গালেতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
২০০০ সালে জিম্বাবুয়ে দল আইসিসি নক-আউট ট্রফি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য নিয়ে নাইরোবি গমন করে। দূর্ভাগ্যবশতঃ দলের সদস্যদের নাম ঘোষণা করায় তিনি যেতে পারেননি। তবে, পরবর্তী সফরগুলোয় স্বাভাবিকভাবেই তাকে দলে রাখা হয়। শারজাহ, ভারত, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। পাঁচটি ওডিআইয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করেন। সর্বোচ্চ করেন মাত্র ১১ রান। তবে, দল নির্বাচকমণ্ডলী তাকে সাত নম্বরে নামান। ভারতের বিপক্ষে ৩৮ রান তুলেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ঘটা টেস্টে করেন ২৮ রান। তবে, ধারাবাহিকতার অভাবে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলার পূর্ব-পর্যন্ত তাকে খেলানো হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ার সংগৃহীত তিন শতাধিক রানের বিপরীতে সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। শেষ ওভারে ১৫ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকা অবস্থায় বিখ্যাত ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাকগ্রা’র বোলিংয়ের মুখোমুখি হন। প্রথম ও তৃতীয় বলে কাঁধের ওপরে আলতো স্পর্শে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকান। ফলে, জিম্বাবুয়ে জয়ের স্বপ্ন জেগে উঠে। তবে, তিনি এ দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করতে পারেনি। নাটকীয়ভাবে তার দল এক রানে পরাজিত হয়। তার সাহসিকতায় শট খেলার কারণে ঐ শটটি মারিলিয়ার শট নামে পরিচিতি পায়।[৪]
দ্বিতীয় খেলায় ক্রেগ উইশার্টের পরিবর্তে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। লেগের দিকে আসা প্রথম বলে আলতো ছোঁয়ায় তিন রান তুলেন। প্রথম উইকেট জুটিতে অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেলের সাথে ৮৩ রান তুলেন। ২৭ রানে মিডউইকেট এলাকায় ক্যাচে বিদেয় নেন। ঐ কেলায় জিম্বাবুয়ে দল জয়লাভ করেছিল। তৃতীয় খেলায় ৪৭ রান তুলেন। এ পর্যায়ে কেম্পবেলের সাথে ৯৭ রানের জুটি গড়েছিলেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্যে পুনরায় তাকে একদিনের দলে রাখা হয়। কিন্তু আবারো তিনি ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। তবে, বিস্ময়করভাবে তাকে বোলার হিসেবে দলে রাখা হয়েছিল। এ পর্যায়ে সফরকারী দলের সংগ্রহ ৯৫/০ থাকা অবস্থায় প্রথম চার উইকেট করায়ত্ত্ব করেন। বুলাওয়েতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪/৩৮ পান। এরপর থেকে তিনি কার্যকরী অফ ব্রেক বোলিং করা চালিয়ে যেতে থাকেন। পাঁচ ইনিংসে ১৯ রান তুলেন। দুইবার ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। তবে, ছয় নম্বর খেলায় শারজায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ৫২ রান করেন। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৭ করেন।
তুলনামূলকভাবে জাতীয় দলে ভালো খেলেন। ২০০২ সালে জিম্বাবুয়ে দল মারিলিয়ারময় ছিল। শেষদিকে ভারতের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অপরাজিত ৫৬ করে দলকে স্মরণীয় জয় এনে দেন। এ পর্যায়ে তিনি অনিল কুম্বলেকে বেছে নেন। একই খেলায় তিনি দ্রুততম অর্ধ-শতরানের রেকর্ড গড়েন।[৩] মাত্র ২১ বলে জিম্বাবুয়ীয় হিসেবে এ মাইলফলক স্পর্শ করেন।
প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দশ নম্বর অবস্থানে থেকে অর্ধ-শতরানের রেকর্ড গড়েন। পরবর্তীতে ৭ বছর পর মোহাম্মদ আমির তার এ রেকর্ড ভঙ্গ করেন। অদ্যাবধি ১০ নম্বর অবস্থানে তার সংগৃহীত অপরাজিত ৫৬ রান তৃতীয় ও জিম্বাবুয়ের পক্ষে ওডিআইয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে।[৫]
২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দলে তাকে রাখা হলেও সুবিধে করতে পারেননি তিনি। বিশ্বকাপ শেষে শারজায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় বেশ চমৎকার খেলা উপহার দেন। উইকেট সংগ্রহের পাশাপাশি এপ্রিল, ২০০৩ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ১০০ রান তুলেন। এটিই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তার প্রথম আন্তর্জাতিক শতরানের ইনিংস ছিল। এটিই একদিনের আন্তর্জাতিকে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১০০ রান তুলেন।
ইংল্যান্ডে তিনি দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। এর খেসারত গুণতে হয় তাকে। দলের বাইরে অবস্থান করেন। তবে, রে প্রাইসের সাথে তাল মিলিয়ে আটোসাটো বোলিং করতে থাকেন। ফলে, ব্রিস্টলে জিম্বাবুয়ে দল তাদের একমাত্র ওডিআইয়ে বিজয়ী হয়েছিল। এরপর আর তাকে জাতীয় দলে রাখা হয়নি। প্রথমে উইশার্টকে ও পরবর্তীতে বার্নি রজার্সকে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি পুনরায় ফিরে আসেন।
তিনি পারিবারিক আবাসন ব্যবসায় সম্পৃক্ত হন। তবে, পাঁচ বছর বিরতি নিয়ে ২০১০ সালের শুরুতে পুনরায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেন। ম্যাশোনাল্যান্ড ঈগলসের পক্ষে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্রিকেটে চুক্তিবদ্ধ হন। বিস্ময়করভাবে মার্চে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের প্রাদেশিক দলের সদস্যরূপে অ্যান্ডি ব্লিগনটসহ তাকে রাখা হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি তার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। টেস্টগুলোয় দুইটি অর্ধ-শতরানের ইনিংসসহ ৩১ গড়ে রান তুলেন। উভয়টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিল। ওডিআইয়ে তার ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ১৮। তাসত্ত্বেও নিজের সেরা দিনে খেলায় বিজয়ীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বল হাতে ৪১ গড়ে ৩০ উইকেট পান। অন্যদিকে, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ডগি মারিলিয়ারের ব্যাটিং গড় ছয়টি শতরান ও ১৩টি অর্ধ-শতরানের বদৌলতে ৩৭-এ পৌঁছে। বল হাতে ৩৭ গড়ে ৪৬ উইকেট পান।