ডলি কী ডোলি | |
---|---|
পরিচালক | অভিষেক ডোগরা |
প্রযোজক | আরবাজ খান মালাইকা অরোরা |
রচয়িতা | উমাশঙ্কর সিংহ অভিষেক ডোগরা |
শ্রেষ্ঠাংশে | সোনম কাপুর পুলকিত সম্রাট মোহাম্মেদ জিসান আইয়ুব মনোজ যোশী রাজকুমার রাও বরুণ শর্মা |
সুরকার | সঙ্গীত: সাজিদ-ওয়াজিদ নেপথ্য সঙ্গীত: সঞ্জয় চৌধুরী |
চিত্রগ্রাহক | সৌরভ গোস্বামী |
সম্পাদক | হেমল কোঠারি |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | কিনেসিস ফিল্মস |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ৯৩ মিনিট[১] |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
আয় | প্রা. ₹১৯.২১ crores[২] |
ডলি কী ডোলি (অনু. ডলির পালকি) হল ২০১৫ সালের একটি ভারতীয় কৌতুক - নাট্য চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছিলেন নবাগত পরিচালক অভিষেক ডোগরা এবং প্রযোজনা করেছিলেন আরবাজ খান তাঁর আরবাজ খান প্রোডাকশনসের অধীনে।[৩] ছবিতে শীর্ষ ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সোনম কাপুর এবং আরও ছিলেন পুলকিত সম্রাট, রাজকুমার রাও এবং বরুণ শর্মা। ছবিটি ২০১৫ সালের ২৩শে জানুয়ারী মুক্তি পেয়েছিল। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মালাইকা এবং আরবাজের বিবাহবার্ষিকীতে চলচ্চিত্রটির খণ্ডচিত্র (ট্রেলার) উন্মোচিত হয়েছিল।[৪] এই চলচ্চিত্রটি ২০১৩ সালের পাঞ্জাবি ছবি আর.এস.ভি.পি. - রোনদে সারে ব্যহা পিচোর পুনর্নির্মাণ।[৫]
ছবিটির উপার্জন গড়ের তালিকায় থাকলেও কাপুরের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল, ৬১তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
ছবিটি একটি তরুণী ডলিকে (সোনম কাপুর) কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে, ডলি একজন প্রতারক। প্রথমে সে সোনু শেরাওয়াতকে (রাজকুমার রাও) বিবাহ করেছিল। সে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী পুরুষদের বিবাহ করত এবং বিবাহের রাতে তাদের সম্পদ নিয়ে পালিয়ে যেত।[৪][৬] তার পুরো পরিবার প্রতারক। বেশ কয়েকজন ধনী লোককে প্রতারণা করার পর, গণমাধ্যমের মনোযোগ পড়ে তার দিকে, তারা তাকে "লুটেরি দুলহন" (চোর নববধূ) নামে চিহ্নিত করে। একজন পুলিশ রবিন সিং (পুলকিট সম্রাট) ডলিকে ধরার সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লির ছেলে মনজোতকে (বরুণ শর্মা) প্রতারণা করার সময়, সে ভুল করে ফেলে এবং তার ছবি সমস্ত গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ডলি এবং তার দল যখন এক রাজপুত্রকে (সাইফ আলী খান) ঠকানোর চেষ্টা করে, রবিন সিং তাদের গ্রেপ্তার করে নেয়। তারপরে জানা যায় যে রবিন সিং ও ডলির একটি অতীত রয়েছে। তাকে বন্দী করা হয়েছিল কিন্তু রবিনের সহায়তায় ডলি পালিয়ে যায় এবং তারা বিবাহ করে নেয়। কিন্তু ডলি তাকেও ছেড়ে চলে গিয়ে তার দলের পুরানো সদস্যদের সাথে পুনরায় মিলিত হয় এবং তাদের পরবর্তী শিকারের সন্ধানে যায়।[৭]
ডলি কী ডোলি | |
---|---|
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম | |
ঘরানা | পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের সাউন্ডট্র্যাক |
সঙ্গীত প্রকাশনী | টি-সিরিজ |
সকল গানের সুরকার সাজিদ-ওয়াজিদ এবং গানের কথা লিখেছেন ইরফান কামাল।
ডলি কী ডোলি | ||||
---|---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | গীতিকার | গায়ক | দৈর্ঘ্য |
১. | "ফট্টে তক নচানা" | দানিশ সাবরি | সুনিধি চৌহান | ০৪:৪২ |
২. | "ডলি কী ডোলি" | ইরফান কামাল | দিব্যা কুমার | ০৪:৫৬ |
৩. | "ফ্যাশন খতম মুঝপে" | ইরফান কামাল | মমতা শর্মা, ওয়াজিদ, শবাব সাবরি | ০৪:২৪ |
৪. | "মেরে নয়না কাফির হোগয়ে" | কুমার | রাহাত ফাতেহ আলী খান | ০৪:৫৫ |
৫. | "বাবাজি কা ঠুল্লু" | দানিশ সাবরি | ওয়াজিদ, দানিশ সাবরি | ০৪:৪৮ |
চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র সমালোচনা পেয়েছিল।[৮]
বলিউড হাঙ্গামা চলচ্চিত্রটিকে বর্ণনা করেছে "একটি সম্পূর্ণ বিনোদনমূলক যা অবশ্যই জনসাধারণ এবং উচ্চশ্রেণীকে একইভাবে বিনোদন দেবে" এবং একে ৫টি তারার মধ্যে ৪.৫ দিয়েছে।[৯]
এর প্রথম শুক্রবারে, এটি ২০ মিলিয়ন সংগ্রহ করেছিল, এই ফলকে কোইমোই "দরিদ্র" বলেছে।[৮] দ্বিতীয় সপ্তাহান্তে, এর সংগ্রহে এসেছিল ১৯২.১ মিলিয়ন। এই চলচ্চিত্র ভারতের উত্তরে ভাল পরিদর্শন করছে কিন্তু মাল্টিপ্লেক্সে ভাল ফল করেনি।[২]