ডানস্টারের চলমান ওয়াটারমিল | |
---|---|
সাধারণ তথ্যাবলী | |
শহর | ডানস্টার |
দেশ | ইংল্যান্ড |
স্থানাঙ্ক | ৫১°১০′৪৯″ উত্তর ৩°২৬′৪২″ পশ্চিম / ৫১.১৮০৩০° উত্তর ৩.৪৪৪৯° পশ্চিম |
নির্মাণ শুরু | ১৭৭৯ |
সম্পূর্ণ | ১৭৮২ |
ডানস্টারের চলমান ওয়াটারমিল (ক্যাসল মিল নামেও পরিচিত) ইংল্যান্ডের সমারসেট-এর ডানস্টার-এ ১৮ শতকে পুনঃস্থাপিত একটি ওয়াটারমিল, যা এভিল নদীর উপর এবং ডানস্টার ক্যাসল এর ভূমির উপর অবস্থিত গ্যালক্স সেতুর নিকটে অবস্থিত। এটি একটি গ্রেড-২ তালিকাভুক্ত দালান।[১]
বর্তমানে কারখানাটি যেখানে রয়েছে সেখানে ডুমসডে বুক-এ একটি কারখানা পূর্বে তালিকাভুক্ত ছিল, কিন্ত বর্তমান দালানটি ১৭৮০ সালের কাছাকাছি সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি ১৯৬২ সালে বন্ধ হয়ে যায় এবং ১৯৭৯ সালে পুনরায় চালু করা হয় এবং এখনও গম ভানতে ব্যবহৃত হয়। যন্ত্রপাতিগুলো দুটি জলচক্রের মাধ্যমে চালিত হয়। এটির মালিক ন্যাশনাল ট্রাস্ট, কিন্তু পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে একটি বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের দ্বারা পরিচালিত।
১০৮৬ সালে ডুমসডে বুক-এর সময়ে ডানস্টারে দুটি কারখানা ছিল। একটিকে লোয়ার মিল বলা হতো যা বর্তমান কারখানার জমির উপর ছিল। সপ্তদশ শতকে সেখানে মল্ট ও যব দুইয়েরই কারখানা ছিল কিন্তু ১৭২১ সালের মধ্যে এদের একটি ফুলিং কারখানায় রুপান্তরিত করা হয়।[২] বর্তমান কারখানা, ১৭৮০ সালের কাছাকাছি সময়ে পূর্বের দুটি কারখানাকে প্রতিস্থাপিত করে নির্মিত হয়। [৩] ১৯৪০ সালে সেখানে একটি বেকারি যুক্ত করা হয়।[২] কারখানাটিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত ভুট্টা ভাঙা হত এবং এরপর থেকে ১৯৬২ সালে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত, পশুখাদ্য ভাঙা হত।[৪]
এটিকে ১৯৭৯ সালে পুনরায় কার্যোপযোগী করে চালু করা হয়।[৫] এটি ১৯৮২ সালে একটি সংরক্ষণ পুরস্কার জয় করে।[৪] কারখানাটি এখনও গম ভাঙার কাজে ব্যবহৃত হয়।[৬] দালানটিতে একটি ক্যাফে খোলা হয় যেখানে পূর্বে গুদাম ঘর ও আস্তাবল ছিল।[২] এক্সমুর টেকসই উন্নয়ন তহবিল-এর অর্থায়নে অধিকতর সংস্কার কাজ ২০০৭ সালে সমাপ্ত হয়।[৫][৭]
যদিও ন্যাশনাল ট্রাস্ট দালানটির মালিক, তবে পর্যটক আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে একটি বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নিকট ইজারা দেয়া রয়েছে এবং সকল দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য প্রযোজ্য।[৮] এই স্থানটিতে প্রতি বছর প্রায় ১০,০০০ পর্যটক ভ্রমণ করেন এবং ৬-৮ টন আটা উৎপাদন করে।[৫][৯] ২০১৫ দ্বিতীয় জলচক্রটি পুনঃস্থাপন এবং ভেঙে পড়া চক্রটি প্রতিস্থাপন করা হয়।[১০]
দ্বিতল দালানটিতে স্লেট-পাথরের ছাদ রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব দিকের একটি পাথরের দেয়ালে রট লোহা নির্মিত বাঁকানো প্রবেশপথ রয়েছে।[১]
চূর্ণন যন্ত্রগুলো এক জোড়া জলচক্রের দ্বারা চালিত,[১১][১২][১৩] যা কতগুলো বেল্টের মাধ্যমে খাঁজকাটা চক্রে শক্তি স্থানান্তর করে। এটি পরবর্তীতে চূর্ণন পাথর ও বস্তা চালনা করে। দ্বিতীয় তলায় একটি দরজা রয়েছে যা উপকরনগুলোকে দালানের উপরে উঠানোর জন্য সাহায্য করে।[১৪]
একটি সংযোজিত ঝাড়াই যন্ত্র ব্যবহার করে, চূর্ণন পাথরের দ্বারা চূর্ণীকৃত আটা ঝাড়া হয়।[১৫]