ডাফমুট্টু

ডাফ শিল্পীসমূহ

ডাফমুট্টু (এছাড়াও: ডাভমুট্টু ) হল দক্ষিণ ভারতের কেরল রাজ্যের মালাবার অঞ্চলের মুসলমানদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি বিনোদন মূলক লোকগীতিনৃত্য। এই নামটি এসেছে ডাফ নামক বাদ্যযন্ত্র থেকে। ডাফ হল কাঠ এবং গরুর চামড়ারর তৈরি একটি ঘাতবাদ্য[] ডাফ শব্দটি আরবি থেকে উৎপন্ন এবং একে থাপ্পিট্টা নামেও ডাকা হয়।[] ডাফমুট্টু মালবারের মুসলমানদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি দলগত নৃত্য। এটি উৎসব এবং বিবাহ অনুষ্ঠানের সময় একটি সামাজিক অনুষ্ঠান হিসাবে মঞ্চস্থ হয়।

বর্ণনা

[সম্পাদনা]

শিল্পীরা ডাফ নামে একটি অগভীর বৃত্তাকার ঘাতবাদ্য বাজায়। দলটির নেতা গান গেয়ে নেতৃত্ব দেয়, অন্যরা সমবেত কন্ঠে অংশগ্রহণ করে এবং বৃত্তাকারে ঘোরে। গানগুলির মাধ্যমে প্রায়শই শহীদ, বীর এবং সাধুদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।

ডাফমুট্টু দিনের যে কোনও সময় সঞ্চালিত হতে পারে এবং এর কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই।[]

অনুষ্ঠান

[সম্পাদনা]

ডাফমুট্টু সামাজিক বিনোদন হিসাবে অথবা উরস (মসজিদের সাথে সংযুক্ত উৎসব) ও বিবাহ উৎসবের স্মরণে প্রদর্শিত হয়। দিনের যে কোনও সময় ডাফমুট্টু পরিবেশন করা যায়। একটি ডাফমুট্টু পরিবেশনা সাধারণত ছয় সদস্য নিয়ে হয়। তারা একে অপরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বা বসে গান গায় এবং গানের তালে তালে তাদের শরীর দোলায়। ডাফ বাজিয়ে ছন্দ ও তাল তৈরি করা হয়।[]

ডাফমুট্টু পরিবেশনা

ডাফমুট্টুর গানগুলি ইসলাম বীর এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। দলের নেতা গানে নেতৃত্ব দেয় অন্যরা সমবেত কন্ঠে গান করে। নৃত্যশিল্পীরা আঙুল বা তালু দিয়ে ডাফ বাজায় এবং ছন্দবদ্ধভাবে চলার সময় প্রায়শই তাদের মাথার উপরে সেটি ছুঁড়ে দেয়। এর সাথে একটি ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত শিল্পের ধরন হ'ল আরাভানা মুত্তু বা আরাবানা মুত্তু যেখানে ডাফের মত একটি বাদ্যযন্ত্র 'আরাবানা' ব্যবহৃত হয়।[]

ছবিঘর

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Duffumuttu"। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২১ 
  2. "About Duffmuttu"। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১২ 
  3. "Duffmuttu"। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২১ 
  4. "Duff Muttu"। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১২ 
  5. "Duff Muttu and Arabana Muttu - popular Muslim artsforms of Kerala"। ১৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১২