ডায়না পুরস্কার হল তরুণদের উৎসাহ প্রদানের পুরস্কার। অর্থাৎ এ পুরস্কার সেই তরুণদের দেয়া হয়, যারা অন্যদের জীবন উন্নত করার জন্য সেবামূলক কাজ করে।[১]প্রিন্সেস অফ ওয়েলস ডায়নার নামানুসারে, পুরস্কারটি ১৯৯৯ সালে গর্ডন ব্রাউনেরসভাপতিত্বে একটি বোর্ড দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।[২]
যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীগর্ডন ব্রাউন প্রয়াত প্রিন্সেস অফ ওয়েলস ডায়নার সম্মানে এই পুরস্কারটি চালু করেন।[৩] ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের বর্তমান পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, ডেম জুলিয়া স্যামুয়েল, প্রাক্তন স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার জ্যাক ম্যাককনেল এবং এথার রান্টজেন সিবিই।[৪]
এ দাতব্য সংস্থা বা ডায়ানা, প্রিন্সেস অফ ওয়েলস বিশ্বাস করে যে তরুণদের বিশ্ব পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে৷[৫] ডায়না অ্যাওয়ার্ডের উদ্দেশ্য হল তরুণরা সমাজে যে কাজগুলি করে তার প্রশংসা করা এবং উদযাপন করা । যেমন তরুণ রাষ্ট্রদূত, তরুণ নেতা, তরুণ মানবতাবাদী, তহবিল সংগ্রহকারী, পরিবেশ প্রচারক, সহকর্মী পরামর্শদাতা, ক্রীড়া নেতৃত্ব দেয়া এবং এসব কাজে অন্যদের অনুপ্রাণিত করা। এর দৃষ্টিভঙ্গি হল বিশ্বকে পরিবর্তন করার জন্য তরুণদের ক্ষমতায়ন করা। ইহা এমন একটি সংস্কৃতির প্রচার করা যা সমাজের সকল শ্রেণীর তরুণদের উৎসাহিত করে ও সমাজে নিঃস্বার্থ অবদান রাখে।[৬]
২০২৪ সালে বিশ্বের ২০ উদ্যোগী তরুণ লাভ করে ডায়ানা লিগ্যাসি অ্যাওয়ার্ড। এর মধ্যে ২ জন্য বাংলাদেশি।
পরিবেশকর্মী শামীম আহমেদ মৃধা পুরস্কার পান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সক্ষমতা নিয়ে। আগামীর বিশ্বকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ করে তোলার তাগিদে পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ২০১৮ সালে তিনি গড়ে তোলেন ইকো-নেটওয়ার্কগ্লোবাল নামের একটি সংগঠন।
নাফিরা নাঈম আহমাদ পুরস্কার পান তার প্রতিষ্ঠান অ্যামপ্লিটিউড - এর জন্য। এটির মূল লক্ষ্য সমাজের বিভিন্ন ট্যাবু ও বৈষম্যদূর করা। ২০১৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।[১৪]