এই নিবন্ধের বাংলা পরিভাষাগুলির অগ্রাধিকার প্রদান আবশ্যক। নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
ডার্ক ওয়েব (ইংরেজি: Dark web, প্রতিবর্ণীকৃত: অন্ধকার ওয়েব) হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি অংশ যা ডার্ক নেটে বিদ্যমান। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত ইন্টারনেটের ৫ থেকে ৬ শতাংশ জুড়ে ডার্ক নেটের ব্যাপ্তি। উন্মুক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে এটি এক প্রকার লুকায়িত নেটওয়ার্ক। এতে প্রবেশ করতে নির্দিষ্ট সফটওয়্যার, কনফিগারেশন বা অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।[১][২]
ডার্ক ওয়েব মূলত "ডিপ ওয়েব"-এর একটি অংশ। এই অংশে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন প্রবেশ করতে পারে না। যদিও কখনও কখনও ভুল করে "ডিপ ওয়েব" শব্দটি ডার্ক ওয়েবকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। ডার্ক ওয়েবে নির্দিষ্ট শর্তে সবাই ঢুকতে পারলেও, "ডিপ ওয়েব"-এ সাধারণ মানুষ ঢুকতে পারে না।[৩][৪][৫][৬][৭]
ডার্ক ওয়েবসমূহে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফ্রেন্ড-টু-ফ্রেন্ড, পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের পাশাপাশি আছে ফ্রি-নেট, আইটুপি ও টরের মতো বড় বড় নেটওয়ার্ক, যেসব নেটওয়ার্ক পরিচালিত হয় সাধারণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের মাধ্যমে। এনক্রিপশন ব্যবহার না করার কারণে সাধারণ ইন্টারনেটকে ডার্ক ওয়েব ব্যবহারকারীরা "ক্লিয়ারনেট" হিসেবে অবহিত করে। [৮] টর নেটওয়ার্ক যা অনিয়ন ল্যান্ড হিসাবেও পরিচিত,[৯] .onion নামক টপ-লেভেল ডোমেনের অধীনে অনিয়ন রাউটিং এর ট্রাফিক বেনামীকরণ কৌশল ব্যবহার করে, ব্যবহারকারীদের ডার্ক ওয়েবে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে।
ডার্ক ওয়েবকে প্রায়শই ডিপ ওয়েবের সাথে ভুলবশত তুলনা করা হয়। ডিপ ওয়েব হলো ইন্টারনেটের যে অংশ সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে অনুসন্ধান করা যায় না। এই বিভ্রান্তি কমপক্ষে ২০০৯ পর্যন্ত ছিল।[১০] এমনকি সিল্ক রোড ২.০ ওয়েবসাইটের উপর প্রতিবেদন প্রকাশের পরও এই সুপারিশ সত্ত্বেও যে ডার্ক ওয়েব ও ডিপ ওয়েব আলাদা বিষয়,[৫][১১][১২][১৩] দুটি বিষয়ই গুলিয়ে ফেলা হয়েছিল।[১৪][১৫][১৬]
ডার্ক ওয়েব বা ডার্কনেট ওয়েবসাইট গুলোতে শুধুমাত্র টর ("দ্য অনিয়ন রাউটিং" প্রকল্প) এর মতো নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রবেশ করা যায় যা বিশেষভাবে ডার্ক ওয়েবের জন্য তৈরি করা হয়েছে।[১৭] টর ব্রাউজার এবং টরের মাধ্যমে প্রবেশযোগ্য সাইটগুলো ডার্কনেট ব্যবহারকারীরা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে। এই সাটইগুলো ".অনিয়ন" ডোমেনের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়।[১৮] টর ব্রাউজার ব্যবহারকারীদের জন্য এনক্রিপ্টেড এন্ট্রি পয়েন্ট এবং পাথওয়ে তৈরি করে,যা তাদের পরিচয় গোপন রেখে ডার্ক ওয়েব সার্চ এবং বিভিন্ন কাজ করার সুবিধা প্রদান করে।
ডার্কনেট ওয়েবসাইট গুলো শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক যেমন টর ("অনিয়ন রাউটার") এবং আইটুপি ("অদৃশ্য ইন্টারনেট প্রজেক্ট")। [১৯] টর ব্রাউজার এবং টর-অ্যাক্সেসযোগ্য সাইটগুলো ডার্কনেট ব্যবহারকারীদের দ্বারা ব্যাপক ভাবে ব্যবহারিত হয় এবং যা ".onion" ডোমেইন দ্বারা শনাক্ত করা সম্ভব। [২০] টর ব্যবহারকারীদের অজ্ঞাতপরিচয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ প্রদানের উপর গুরুত্ব প্রদান করে এবং আইটুপি অজ্ঞাতপরিচয়ে ডার্কনেটে ওয়েবসাইট হোস্টিং এর উপর গুরুত্ব দেয়। [২১] ডার্কনেট ব্যবহারকারীদের পরিচয় এবং অবস্থান স্তরবিশিষ্ট এনক্রিপশন সিস্টেমের কারণে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। ডার্কনেট এনক্রিপশন প্রযুক্তি তথ্যকে বড় সংখ্যক মাধ্যমিক সার্ভারের মধ্য দিয়ে যায়, যা ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপনের সুরক্ষা প্রদান করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় নিশ্চিতা দেয়। প্রেরিত তথ্য শুধুমাত্র পরিকল্পনাতে একটি পরবর্তী নোডের মাধ্যমে ডিক্রিপ্ট করা যায় যা প্রস্থান নোডের দিকে যায়। একটি জটিল সিস্টেম নোড পুনর্গঠন এবং লেয়ার বাই লেয়ার মেনে চলে তথ্য ডিক্রিপ্ট করা প্রায় অসম্ভব করে তোলে। [২২] উচ্চ স্তরের এনক্রিপশনের কারণে ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর আইপি এবং ভূঅবস্থান ট্র্যাক করতে সক্ষম হয় না এবং ব্যবহারকারীও হোস্টের ক্ষেত্রে একই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হয়। এইভাবেই ডার্কনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যকার যোগাযোগ যেমন কথা বলা, ব্লগিং এবং ফাইল আদান প্রদান অত্যন্ত নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তার সাথে সম্পন্ন করা হয়। [২৩]
ডার্কনেট বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপ যেমন অবৈধ বাণিজ্য, ফোরাম, পেডোপিলিসদের (একজন ব্যক্তি যিনি শিশুদের প্রতি যৌন আকৃষ্ট হন) জন্য মিডিয়া বিনিময় এবং সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতেও ব্যবহার করা হয়। [২৪]
একই সময়ে, কিছু প্রথাগত ওয়েবসাইট টর ব্রাউজারের জন্য বিকল্প প্রবেশপথ তৈরি করে, এর মাধ্যমে ডার্কনেটের ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া যায়। যেমন, প্রোপাব্লিকা নামে একটি সংবাদপত্র টর ব্যবহারকারীদের জন্য তাদের ওয়েবসাইটের একটি নতুন সংস্করণ চালু করে। [২৫]
বিভাগ | শতকরা হার |
---|---|
জুয়া | ০.৪
|
অস্ত্র ব্যবসা | ১.৪
|
চ্যাটিং | ২.২
|
নতুন (এখনো ইনডেক্স করা হয়নি) |
২.২
|
যৌন নির্যাতন | ২.২
|
ইন্টারনেট-ভিত্তিক বই | ২.৫
|
ডিরেক্টরি | ২.৫
|
ব্লগিং | ২.৭৫
|
পর্নোগ্রাফি | ২.৭৫
|
হোস্টিং সেবা | ৩.৫
|
হ্যাকিং | ৪.২৫
|
সার্চ ইঞ্জিন | ৪.২৫
|
নামহীনতা | ৪.৫
|
ফোরাম | ৪.৭৫
|
ভুয়া | ৫.২
|
ফাঁস | ৫.২
|
উইকি | ৫.২
|
ই-মেইল | ৫.৭
|
বিটকয়েন বিনিময় | ৬.২
|
প্রতারণা | ৯
|
মার্কেটিং | ৯
|
মাদক ব্যবসা | ১৫.৪
|
বিভাগ | শতকরা হার |
---|---|
সহিংসতা | ০.৩
|
অস্ত্র ব্যবসা | ০.৩
|
সামাজিক | ১.২
|
হ্যাকিং | ১.৪
|
পর্নোগ্রাফি | ২.৩
|
যোগসূত্র | ২.৩
|
উগ্রবাদ | ২.৭
|
অজানা | ৩.০
|
অন্যান্য অবৈধ সেবা | ৩.৮
|
ফাইন্যান্স | ৬.৩
|
মাদক ব্যবসা | ৮.১
|
অন্যান্য | ১৯.৬
|
কোনোটিই নয় | ৪৭.৭
|
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যারেথ ওয়েনের একটি গবেষণা থেকে পাওয়া যায় যে, টর নেটওয়ার্কে সবচাইতে বেশি অনুরোধকৃত বিষয় ছিল শিশু পর্নোগ্রাফি, কালো বাজারকে অনুসরণ করে, যেখানে অন্যান্য পৃথক সাইটে সর্বোচ্চ ট্রাফিক ছিল বটনেট অপারেশন বিষয়ক (সংযুক্ত মেট্রিক দেখুন)।[২৯] অনেক গোপন তথ্য ফাঁসকারী সাইট তাদের উপস্থিতি বজায় রাখে [৩০] পাশাপাশি রয়েছে রাজনৈতিক আলোচনার ফোরাম। [৩১] বিটকয়েন, জালিয়াতি সম্পর্কিত সেবা এবং মেইল অর্ডার সেবা সবচেয়ে লাভজনক থাকে। [২৯] বিতর্কিত বিষয়বস্তুর প্রবণতা মোকাবেলায়, শিল্পীদের যৌথ উদ্যোগে সাইবারটুই একটি অনিয়ন সাইটে বেক সেলের আয়োজন করে।[৩২]
ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তে ঘটে যাওয়া আরো একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় কিংস কলেজ লন্ডন এর গবেষকরা থেকে নিম্নলিখিত ব্রেক ডাউন দেয় বিকল্প বিভাগ সেটের মাধ্যমে, যা .onion সেবার অবৈধ সেবা সমূহ তুলে ধরেঃ [৩৩][৩৪]
ডার্ক ওয়েব কিছু চাঁদাবাজির প্রক্রিয়াতেও ব্যবহৃত হয়। কার্যত কিছু কিছু ডার্ক ওয়েব সাইটে (তথ্য বিক্রয় সাইট, পাবলিক ডাটা রিপোজিটরি) বিভিন্ন র্যানসামওয়ার এটাক এর তথ্য পাওয়া যায়।
বটনেট প্রায়ই গঠন করা হয় তাদের কমান্ড ও কন্ট্রোল সার্ভারের সঙ্গে, যা সেন্সরশিপ-প্রতিরোধী লুকানো সেবার উপর নির্ভর করে, বৃহৎ পরিমাণে বট-সম্পর্কিত ট্রাফিক তৈরি করার মাধ্যমে। [২৯][৩৫]
টাম্বলারের মতো বিটকয়েন সেবা প্রায়ই টরে পাওয়া যায়, এবং কিছু – যেমন, গ্রামস – ডার্কনেট বাজার একত্রীকরণে প্রস্তাব করে। [৩৬][৩৭] ইসসেক বিজনেস স্কুলের গবেষণা সহকর্মী জিন-লোউপ রিচেট এর মাধ্যমে গৃহীত জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ অফিসের অনুমোদন প্রাপ্ত একটি গবেষণায়, মানিলন্ডারিং করার উদ্দেশ্যে বিটকয়েন টাম্বলারের নতুন প্রবণতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। ডিজিটাল টাকা এক্সচেঞ্জার ব্যবহারের এর সাধারণ একটি উদ্যোগ বিটকয়েনকে অনলাইন গেম কারেন্সিতে রুপান্তর করে (যেমন ওয়ার্ল্ড অফ ওয়্যারক্রাফটে স্বর্ণের মুদ্রা) যা পরবর্তীতে আবার টাকায় রূপান্তরিত হবে। [৩৮][৩৯] ডার্ক ওয়েবে বিটকয়েন এবং এর অনুরূপ সেবা সমুহের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো তাদের এনক্রিপশন নীতি, যা একবিংশ শতাব্দীতে উদার গণতন্ত্রের মূল্যবোধের একটি পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। [৪০]
বাণিজ্যিক ডার্কনেট মার্কেট, যা অবৈধ ওষুধের মধ্যস্থতা লেনদেনের জন্য[৪১] এবং অন্যান্য পণ্য যা উল্লেখযোগ্য মিডিয়া কভারেজ পেয়ে সিল্ক রোড এবং ডায়াবোলাস বাজার এর জনপ্রিয়তার সঙ্গে শুরু হয়েছিলো। [৪২] তা পরবর্তীতে আইনি কর্তৃপক্ষ দ্বারা বাজেয়াপ্ত করা হয়। [৪৩] অন্যান্য বাজারে বিক্রি সফটওয়্যার কীর্তিকলাপ[৪৪] এবং অস্ত্র বিক্রি করা হয়। [৪৫] ডার্ক ওয়েব বাজারের পণ্যের দাম বনাম বাস্তব জীবনের বাজারে বা ওভার ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের বাজারের পণ্যের দামের তুলনা করা, সেইসাথে পণ্যের মানের উপর গবেষণা করার জন্য একটি পরীক্ষা চালানো হয়। এরকম একটি গবেষণা চালানো হয়েছিলো সেসব অবৈধ বাজারে প্রাপ্ত অবৈধ ওষুধের মানের উপর, তখনকার অত্যন্ত জনপ্রিয় ক্রাইপ্টোমার্কেট যা জানুয়ারি ২০১৪ থেকে মার্চ ২০১৫ পর্যন্ত। [৪৬] বিশ্লেষণাত্মক ফলাফলের একটি উদাহরণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যে, ডিজিটাল তথ্য যেমন গোপনীয়তার পদ্ধতি এবং দেশে অনুযায়ী রপ্তানি সঠিক দেখায়, কিন্তু অবৈধ ওষুধের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা দেখতে গিয়ে দেখা যায়, ওষুধের তথ্য তাদের তালিকায় দেয়া তথ্য থেকে ভিন্ন। [৪৬] এইসব মার্কেটে ভোক্তার প্রবেশ নিয়ে প্রেরণা প্রাপ্তি এবং এ সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে অল্প জানা গেছে। [৪৭]
অনেক হ্যাকার তাদের সেবা স্বতন্ত্রভাবে অথবা দলের একটি অংশ হিসেবে বিক্রি করে। [৪৮] এমন গ্রুপের মধ্যে রয়েছে xDedic, hackforum, Trojanforge, Mazafaka, dark0de এবং TheRealDeal ডার্কনেট মার্কেট। [৪৯] কেউ কেউ আবার পেডোপিলিসদের ট্র্যাক এবং তাদের কাছ থেকে জোর পূর্বক আদায় করার জন্য পরিচিত হয়েছে.[৫০] আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক সম্পর্কিত সাইবার অপরাধ এবং হ্যাকিং এর সেবাও ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যায়। [৫১] বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দ্বারা এই সকল কার্যক্রমের উপর নজর রাখার চেষ্টা করা হয়েছে এবং এ পরীক্ষণ সম্পন্ন করার জন্য যে সকল সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে, তার তালিকা প্রসেডিয়া কম্পিউটার সাইন্স জার্নালে পাওয়া যাবে। [৫২] ইন্টারনেট-স্কেল ডিএনএস এর ব্যবহার ডিস্ট্রিবুটেড রিফ্লেকশন ডেনিয়াল অফ সার্ভিস (ডিআরডিওএস) আক্রমণ করা হয় ডার্ক ওয়েবকে উপজীব্য করার মাধ্যমে। [৫৩] অনেক হ্যাকিং গ্রুপ যেমন, কোডঃগ্রিন হ্যাকারদের যোগ্যতার উপর নির্ভর করে তাদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। সেখানে অনেক প্রতারনা মূলক *.onion সাইট রয়েছে যারা সফটওয়্যার ডাউনলোড সুবিধা দিয়ে থাকে, তবে সেসব সফটওয়্যার ট্রোজান হর্স অথবা ব্যাকডোর দ্বারা আক্রান্ত থাকে।
সেখানে অনেক কার্ডিং ফোরাম রয়েছে, পেপ্যাল এবং বিটকয়েন ট্রেডিং ওয়েবসাইট গুলোও জালিয়াতি এবং জাল সেবা।[৫৪] এইরকম আরও অনেক সাইট আছে যারা স্ক্যাম। [৫৫]
ডার্ক ওয়েবে ক্রাউডফান্ডেন্ড হত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনা এবং পেশাদার খুনি ভাড়া পাওয়া যায় এমন প্রতিবেদন রয়েছে,[৪৫][৫৬] কিন্তু, বেশিরভাগেরই ধারণা এসব গুজব বা স্ক্যাম ছাড়া কিছু নয়! [৫৭] ডার্ক ওয়েবের অনলাইন ব্ল্যাক মার্কেট সিল্ক রোডের নির্মাতা রস আলব্রিচিট (Ross Ulbricht)-কে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন (এইচসিআই) ছয় জনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে পেশাদার খুনি ভাড়া করার অভিযোগে গ্রেফতার করে, যা পরবর্তীতে যথাপোযুক্ত প্রমাণের অভাবে খারিজ করা হয়। [৫৮][৫৯]
লোকমুখে প্রচলিত আছে যে, ডার্ক ওয়েবে প্রকাশ্য হত্যাকারীর খোঁজ পাওয়া যায়। "রেড রুম" শব্দটি এসেছে, জাপানি অ্যানিমেশন এবং একই নামের কিংবদন্তি থেকে। তবে, উপযুক্ত প্রমাণ না থাকার কারণে সবগুলো প্রতিবেদনকেই গুজব বলে মনে করা হয়। [৬০]
জুন ২৫, ২০১৫ এ, অবস্কিউর হরর কর্নার নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল দুখী শয়তান (Sad Satan) নামক একটি ছমছমে গা শিউড়ে উঠা ইন্ডি গেমের রিভিউ প্রকাশ করে, এবং দাবি অনুসারে তারা একে ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমেই খুঁজে পেয়েছিল। তবে এক্ষেত্রেও বিভিন্ন অসঙ্গতি থাকার কারণে তাদের প্রতিবেদন সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। [৬১]
ক্লোন করা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিশিং এবং অন্যান্য অসংখ্য স্ক্যাম সাইট আছে,[৬২][৬৩] যা ডার্কনেট বাজারে প্রায়ই বিজ্ঞাপনের সঙ্গে প্রতারণাপূর্ণ ইউআরএল হিসাবে পাওয়া যায়। [৬৪][৬৫]
পাজল যেমন সিকাডা ৩৩০১ এবং উত্তরসূরিরা মাঝে মাঝে আরো অজ্ঞাতভাবে তথ্য প্রদান করার জন্য লুকানো সেবা ব্যবহার করে, প্রায়ই তাদের নির্মাতাদের নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়। [৬৬]
সেখানে শিশু পর্ণোগ্রাফি বিতরণ করা সাইটের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনের প্রয়োগ রয়েছে [৬৭][৬৮] – প্রায়ই সে সাইট এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যে ম্যালওয়ার বিতরণ করা হয়। [৬৯][৭০] সাইটগুলো জটিল সিস্টেম এর গাইড, ফোরাম এবং কমিউনিটি নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করে থাকে। [৭১] অন্যান্য কনটেন্টের মধ্যে রয়েছে যৌনতাসূচক নির্যাতন ও পশুহত্যা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] [৭২] এবং প্রতিশোধ মুলক পর্ণ। [৭৩]
সেখানে অন্তত কিছু বাস্তব এবং প্রতারণাপূর্ণ ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আইএসআইএল দ্বারা ব্যবহারিত হওয়ার দাবি করে, যার মধ্যে অপারেশন অনিমোউস দ্বারা জিম্মি হওয়া একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে। [৭৪] নভেম্বর ২০১৫ এ প্যারিস আক্রমণের প্রাক্কালে প্রকৃত সে ধরনের একটি সাইটই গোস্টসেক নামক হ্যাকিং গ্রুপের দ্বারা হ্যাক হয় এবং সাইটটি প্রোজ্যাক এর একটি বিজ্ঞাপন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। [৭৫] রাউতি শাক্স ইসলামপন্থী দলকে এক সময় ডার্ক ওয়েব পরিচালনা করতে দেখা যায়। [৭৬]
ডার্ক ওয়েবেও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মতো অনুরূপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে। ফেসবুক এবং অন্যান্য কিছু ঐতিহ্যগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাদের সেবা অব্যাহত রাখার জন্য এবং তাদের পরিষেবা সব স্থানে সমান ভাবে দেয়ার জন্য তাদের ওয়েবসাইটের ডার্ক ওয়েব ভার্সন তৈরি করছে।[৭৭]
সম্প্রতি বিবিসি ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশনের জন্য তাদের ওয়েব সাইটের ডার্ক ওয়েব কপি তৈরি করেছে। ফলে চীন, ইরান, ভিয়েতনামের মত যেসব দেশে বিবিসির ওয়েব সাইট নিষিদ্ধ, সেসব দেশেও যাতে পাঠকেরা বিবিসির সংবাদ পড়তে পারেন, তাই প্রতিষ্ঠানটি ডার্ক ওয়েব কপি তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করে।[৭৮]
মারিয়ানা ওয়েব ডার্ক ওয়েবের এমন একটি জায়গা যাকে সমুদ্রের গভীরতম জায়গার সঙ্গে তুলনা দেয়া হয়ে থাকে। এখানে বিশ্বের ভয়ানক সব গোপন তথ্য রয়েছে বলে জানা যায়। এসব ওয়েবসাইট খুজে পাওয়া খুবই কষ্টকর এবং এখানে বিভিন্ন অবৈধ কাজ হয়ে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
যদিও ডার্ক ওয়েবের বেশির ভাগই ক্ষতি করে না এমন ধরনের, কিন্তু কিছু প্রসিকিউটর এবং সরকারি সংস্থা এটা ভেবে উদ্বিগ্ন যে, অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্য এটি একটি স্বর্গ স্বরূপ আশ্রয়স্থল। [৭৯] ডিপডটওয়েব এবং অল থিংস ভাইসের মতো বিশেষায়িত সংবাদ পত্র ডার্ক ওয়েব [৮০][৮১][৮২] এবং তাদের সেবা সম্পর্কে কাভারেজ এবং ব্যবহারিক তথ্য প্রদান করে। দ্যা হিডেন উইকি এবং এর মিরর এবং লুকানো উইকি এবং ফরকে যেকোন প্রদত্ত সময়ে বিষয়বস্তুর বৃহত্তম ডিরেক্টরি রয়েছে।
.onion সংবলিত লিঙ্কের জনপ্রিয় উৎসের মধ্যে রয়েছে পেস্টবিন, ইউটিউব, টুইটার, রেডিট এবং অন্যান্য ইন্টারনেট ফোরাম। [৮৩] ডার্কসান এবং রেকর্ডেড ফিউচারের মতো বিশেষায়িত কোম্পানি আইন প্রয়োগের উদ্দেশ্যে ডার্ক ওয়েবে ঘটে যাওয়া সাইবার অপরাধের উপর নজর রাখে। [৮৪] ২০১৫ তে ঘোষণা করা হয় যে, ইন্টারপোল এক ধরনের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করে, এতে টর সম্পর্কে টেকনিক্যাল তথ্য দেয়া, সাইবার সিকিউরিটি এবং কৃত্রিম ভাবে ডার্কনেট মার্কেট সরিয়ে ফেলার উপায় শিখানো হয়। [৮৫]
২০১৩ এর অক্টোবরে যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থা এবং জিসিএইচকিউ সাইবার অপরাধের দিকে দৃষ্টি দেয়ার উদ্দেশ্যে 'জয়েন্ট অপারেশন সেল' এর গঠন ঘোষণা করে। [৮৬] ২০১৫ এর নভেম্বরে এই দলকে শিশু শোষণ এবং ডার্ক নেটে ঘটে যাওয়া অন্যান্য সাইবার অপরাধের মোকাবেলা করার জন্য বলা হবে। [৮৭]
অনেক স্বতন্ত্র সাংবাদিক, বিকল্প সংবাদ সংস্থা এবং শিক্ষাবিদ অথবা গবেষকরা ডার্কনেট সম্পর্কে বলা এবং লিখার ক্ষেত্রে অনেক প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন, তারা ডার্কনেটকে জনগনের সামনে আরো পরিষ্কার করে তুলে ধরছেন।
জেমি বার্টলেট টেলিগ্রাফের একজন সাংবাদিক এবং টেক ব্লগার এবং তিনি ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স এর সাথে সংযুক্ত সেন্টার ফর দ্য এনালাইসিস অফ সোশ্যাল মিডিয়া ফর ডেমোস এর পরিচালক। তার বই ডার্ক নেট, [৮৮] এতে বার্টলেট ডার্কনেট জগত এবং বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানুষের আচরনের উপর এর প্রভাব নিয়ে বর্ণনা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, বইটি একজন যুবতীর একটি কাহিনী দিয়ে শুরু করা হয়, সে যুবতী অনলাইনে নগ্ন হওয়ার মাধ্যমে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেতে চায় এবং আত্ম সম্মান গড়ে তুলতে চায়। ঘটনাচক্রে তাকে পাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে, যেখানে তার পরিবার এবং বন্ধুরা তার নগ্ন ছবিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছিলো। এই গল্প বিভিন্ন মানবিক আচরণকে তুলে ধরে, যা ডার্কনেট অনুমোদন দেয়।কিন্তু পাঠককে এটাও মনে করিয়ে দেয় কীভাবে ডার্কনেটের মতো আবৃত নেটওয়ার্কে যোগদান করার মাধ্যমে একটি বৃহৎ ওয়েব থেকে আলাদা হয়ে যেতে হয়। বার্টলেট এর প্রধান উদ্দেশ্য হল ডার্কনেট নিয়ে অনুসন্ধান করা এবং সমাজের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে জানা। তিনি বিভিন্ন উপ-সংস্কৃতির অনুসন্ধান করেন, যার মধ্যে কিছুর সমাজের প্রতি ইতিবাচক ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে এবং কিছুর নেতিবাচক.[৮৯]
জুন ২০১৫ এ বার্টলেট বিষয়টিকে আরো পরীক্ষা করে একটি টেডটক দেন।[৯০] তার কথার শিরোনাম দেয়া হয়েছিলো "কীভাবে রহস্যময় ডার্কনেট যাচ্ছে মূলধারায়", একটি ওয়েবসাইটের উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি সিল্ক রোডকে দেখান এবং এটি শ্রোতাদের সামনে ডার্কনেটের পিছনের ধারণাকে তুলে ধরে। তিনি বৃহত্তর বাণিজ্যিক ওয়েবের ভোক্তা সাইট গুলোর সাথে ডার্কওয়েবের সাইট গুলোর ডিজাইনের সাদৃশ্যতা তুলে ধরেন। তারপর তিনি কীভাবে একটি অপারেটিং সিস্টেম অনিশ্চিত হতে পারে, তার উদাহরণ দেখান। তিনি বিশ্বাস করেন যে, ডার্কনেটে সেসব উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন মার্কেট মূলত নতুন প্রযুক্তির জন্ম দেয়, যা ভবিষ্যতে সকল মার্কেটের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যেতে পারে। যেহেতু তিনি উল্লেখ করেছেন, বিক্রেতারা সবসময়ই পাশাপাশি পৌঁছানো এবং নিজেদের রক্ষা করার জন্য নতুন উপায় ভেবে চলেছে, ফলে ডার্ক নেট হয়ে উঠেছে বিকেন্দ্রীভূত, আরো গ্রাহক বন্ধুত্বপূর্ণ, সমালোচনা করা কঠিন এবং আরো উদ্ভাবনী। যেহেতু আমাদের সমাজ অনলাইনে নিজের গোপনীয়তা বজায় রাখা নিয়ে আরো উপায় খুঁজে চলেছে, সেহেতু ডার্কনেটে ঘটে চলা উপায় গুলো শুধু উদ্ভাবনীই নয়, কিন্তু বাণিজ্যিক অনলাইন ওয়েবসাইট এবং বাজারের ক্ষেত্রে ভীষণ উপকারী হতে পারে।
ভাইস নিউস ভাইস মিডিয়া ইনকর্পোরেটের চলিত বিষয়াবলির চ্যানেল, যা দৈনন্দিন তথ্যচিত্র বিষয়ক প্রবন্ধ এবং ভিডিও নিজের ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে প্রকাশ করে। এটি নিজেকে নিজের অনূর্ধ্ব রিপোর্ট এবং অফ-স্ট্রিম গল্পের কভারেজের মাধ্যমে প্রমোট করে। ভাইস মিডিয়া ইনকর্পোরেট ২০১৩ এর ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত, কিন্তু এর সারা বিশ্বে কার্যালয় রয়েছে। ভাইস নিউসের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটি উদীয়মান ঘটনা এবং ব্যাপক সমস্যা এমন ভাবে প্রচার করেছে, যা অন্যান্য মিডিয়া করতে পারে নি বা পারে না। একটি "বিকল্প" নিউস স্টেশন হিসাবে এটি অনেক বিতর্কমূলক এবং অসম্পাদিত বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারে। তেমনই একটি বিষয় ডার্কনেট। ভাইসের এখন এমন অনেক গল্প আছে যা ডার্কনেটের বিভিন্ন বিষয় এবং এর গুপ্ত মার্কেটকে পরীক্ষা করে, যার মধ্যে রয়েছে ডার্কনেটের অবৈধ পশু শিকার, শিশু পর্ণোগ্রাফি, এবং ওষুধ সম্পর্কিত বিষয়।
এবিসি নিউজের মত সনাতন মিডিয়া এবং সংবাদ চ্যানেলও ডার্কনেটকে পরীক্ষা করে এমন নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। [৯১] ভেনিটি ফেয়ার ম্যাগাজিন অক্টোবর ২০১৬ এ 'দ্য আদার ইন্টারনেট' শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। সে নিবন্ধে ডার্কনেটের উত্থানের কথা বলা হয়েছে, সাথে বলা হয়েছে যে আইন অমান্যকারী ডিজিটাল প্রান্তরে পুরস্কার বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছিল যে ভালনেরাবিলিটি নেটওয়ার্কের ডিফেন্সে একটি দুর্বলতা হিসাবে কাজ করে। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে প্রচলিত কালো বাজারের ই-কমার্স সংস্করণ, দ্যরিয়েলডিল থেকে সাইবার অস্ত্র ব্যবসা, এবং অপারেশন নিরাপত্তার ভূমিকা। [৯২]
এমন যুক্তি রয়েছে যে ডার্ক ওয়েব নাগরিক স্বাধীনতাকে প্রচার করে, যেমন "স্বাধীনতা, গোপনীয়তা, পরিচয় গোপন রাখা।[১০৫] কিছু প্রসিকিউটর এবং সরকারী সংস্থা উদ্বিগ্ন যে এটি অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য একটি আশ্রয়স্থল।[১০৫] গভীর এবং অন্ধকার ওয়েব গোপনীয়তা এবং পরিচয় গোপন রাখার জন্য অবিচ্ছেদ্য ইন্টারনেট বৈশিষ্ট্যগুলির অ্যাপ্লিকেশন। পুলিশিং বেআইনি বলে বিবেচিত বা ইন্টারনেট সেন্সরশিপের সাপেক্ষে ব্যক্তিগত ওয়েবের নির্দিষ্ট কার্যকলাপকে লক্ষ্য করা জড়িত।
অনলাইন সন্দেহভাজনদের তদন্ত করার সময়, পুলিশ সাধারণত ব্যক্তির আইপি (ইন্টারনেট প্রোটোকল) ঠিকানা ব্যবহার করে; যাইহোক, টর ব্রাউজার বেনামি তৈরি করার কারণে, এটি একটি অসম্ভব কৌশল হয়ে ওঠে। ফলস্বরূপ, আইন প্রয়োগকারীরা অন্ধকার ওয়েবে অবৈধ কার্যকলাপে জড়িতদের চিহ্নিত করতে এবং গ্রেফতার করার জন্য অন্যান্য অনেক কৌশল নিযুক্ত করেছে। OSINT, বা ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স, তথ্য সংগ্রহের সরঞ্জাম যা আইনত জনসাধারণের উত্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।[১০৬] OSINT সরঞ্জামগুলি ডার্ক ওয়েব নির্দিষ্ট হতে পারে যাতে অফিসারদের তথ্যের বিটগুলি খুঁজে পেতে সহায়তা করে যা তাদের ডার্ক ওয়েবে চলা মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে আরও জ্ঞান অর্জনের দিকে নিয়ে যায়।[১০৭]
২০১৫ সালে এটি ঘোষণা করা হয়েছিল যে ইন্টারপোল এখন টর, সাইবারসিকিউরিটি এবং সিমুলেটেড ডার্কনেট মার্কেট টেকডাউনের প্রযুক্তিগত তথ্য সমন্বিত একটি ডেডিকেটেড ডার্ক ওয়েব ট্রেনিং প্রোগ্রাম অফার করে। অক্টোবর ২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি এবং GCHQ সাইবার অপরাধের উপর ফোকাস করার জন্য একটি "জয়েন্ট অপারেশন সেল" গঠনের ঘোষণা দেয়।
নভেম্বর ২০১৫-এ এই দলটিকে ডার্ক ওয়েবের পাশাপাশি অন্যান্য সাইবার অপরাধে শিশু শোষণের মোকাবিলা করার দায়িত্ব দেওয়া হবে। মার্চ ২০১৭ সালে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস ডার্ক ওয়েবে একটি বিস্তৃত প্রতিবেদন প্রকাশ করে, এতে তথ্য কীভাবে অ্যাক্সেস করা হয় এবং উপস্থাপন করা হয় তার পরিবর্তনশীল গতিশীলতা লক্ষ্য করে; অজানা দ্বারা চিহ্নিত, এটি গবেষক, আইন প্রয়োগকারী, এবং নীতিনির্ধারকদের আগ্রহ বাড়ছে।[১০৮] আগস্ট ২০১৭-এ, রিপোর্ট অনুযায়ী, সাইবার নিরাপত্তা সংস্থাগুলি যারা ব্যাঙ্ক এবং খুচরা বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে ডার্ক ওয়েবের উপর নজরদারি এবং গবেষণায় বিশেষজ্ঞ তারা নিয়মিতভাবে তাদের ফলাফলগুলি FBI এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে "যখন সম্ভব এবং প্রয়োজন হয়" অবৈধ বিষয়বস্তু সম্পর্কে শেয়ার করে। রাশিয়ান-ভাষী ভূগর্ভস্থ একটি অপরাধ-হিসাবে-একটি-পরিষেবা মডেল প্রস্তাব বিশেষভাবে শক্তিশালী হিসাবে গণ্য করা হয়।[১০৯]