ওয়াশিংটন ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | |||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() | |||||||||||||||||||||||||||
![]() গোধূলির আলোয় ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মূল টার্মিনাল, আগস্ট ২০১১ | |||||||||||||||||||||||||||
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||||||||||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | সরকারি | ||||||||||||||||||||||||||
পরিচালক | মেট্রোপলিটান ওয়াশিংটন এয়ারপোর্টস অথরিটি | ||||||||||||||||||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | ওয়াশিংটন ডি.সি. মহানগর এলাকা | ||||||||||||||||||||||||||
অবস্থান | ডালেস, ভার্জিনিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ||||||||||||||||||||||||||
চালু | ১৭ নভেম্বর ১৯৬২ | ||||||||||||||||||||||||||
যে হাবের জন্য | |||||||||||||||||||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ৩১৩ ফুট / ৯৫ মিটার | ||||||||||||||||||||||||||
স্থানাঙ্ক | ৩৮°৫৬′৪০″ উত্তর ০৭৭°২৭′২১″ পশ্চিম / ৩৮.৯৪৪৪৪° উত্তর ৭৭.৪৫৫৮৩° পশ্চিম | ||||||||||||||||||||||||||
ওয়েবসাইট | www | ||||||||||||||||||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||||||||||||||||||
![]() এফএএ বিমানবন্দর নকশা | |||||||||||||||||||||||||||
![]() | |||||||||||||||||||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||
পরিসংখ্যান (২০২২) | |||||||||||||||||||||||||||
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় সরকার | |||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||
ওয়াশিংটন ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ইংরেজি: Washington Dulles International Airport, (আইএটিএ: IAD, আইসিএও: KIAD, এফএএ এলআইডি: IAD)), যাকে সচরাচর ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ডালেস বিমানবন্দর, ওয়াশিংটন ডালেস বা শুধুই ডালেস নামে ডাকা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-আটলান্টিক অঞ্চলের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের লাউডন কাউন্টি ও ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টিতে,[৪] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রাজধানী ওয়াশিংটন ডি.সি.-র নগরকেন্দ্র থেকে ২৬ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।[৫]
১৯৬২ সালে উন্মুক্ত এই বিমানবন্দরটিকে স্নায়ুযুদ্ধকালীন প্রভাবশালী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন ফস্টার ডালেসের নামে নামকরণ করা হয়েছে।[৬][৭] বিমানবন্দরটির মূল টার্মিনালটি একটি সুপরিচিত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, যা ফিনিশ-মার্কিন স্থপতি এরো সারিনেন নকশা করেন (এর আগে তিনি নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের টিডব্লিউএ ফ্লাইট সেন্টারটির নকশা করেছিলেন)। বিমানবন্দরটির পরিচালনার দায়িত্বে আছে মেট্রোপলিটান ওয়াশিংটন এয়ারপোর্টস অথরিটি ("ওয়াশিংটন মহানগর বিমানবন্দরসমূহের কর্তৃপক্ষ")। বিমানবন্দরটি প্রায় ১৩ হাজার একর জমির উপরে দাঁড়িয়ে আছে।[২][৮][৯]}} এটি জমির আয়তনের দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪র্থ বৃহত্তম বিমানবন্দর (ডেনভার, ডালাস ও দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্লোরিডা বিমানবন্দরগুলির পরে)। বিমানবন্দরের সিংহভাগই লাউডন কাউন্টির ডালেস লোকালয়ের অধীনে পড়েছে, এবং ছোট একটি অংশ ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির শ্যান্টিলি লোকালয়ে পড়েছে।
ওয়াশিংটন-বাল্টিমোর মহানগর এলাকাকে বিমানসেবা প্রদানকারী তিনটি প্রধান বিমানবন্দরের মধ্যে একটি হল ডালেস বিমানবন্দর। অন্য দুইটি হল রোনাল্ড রেগান ওয়াশিংটন জাতীয় বিমানবন্দর এবং বাল্টিমোর/ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী এটি ওয়াশিংটন-বাল্টিমোর এলাকার ২য় ব্যস্ততম এবং সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৮তম বৃহত্তম বিমানবন্দর।[১০] ওয়াশিংটন-বাল্টিমোর এলাকায় বিদেশ থেকে আগত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের প্রায় ৯০% এই বিমানবন্দরটি দিয়ে প্রবেশ করে। নিউ ইয়র্ক মহানগর এলাকার পরে এটিই সর্বোচ্চ এরূপ সংখ্যা।[১১] ২০০৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ২ কোটিরও বেশি যাত্রী এখান থেকে বিমানে চড়েন।[১২][১৩] প্রতিদিন গড়ে ৬০ হাজার যাত্রী ১৩৯টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে ও উৎসস্থল থেকে যাওয়া-আসা করেন।[১২][১৪][১৫]
রেগান জাতীয় বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ বিমানযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডালেসের অভ্যন্তরীণ বিমানযাত্রাপথের সংখ্যা কমে গেছে।[১০] ২০১৯ সালে ডালেস বিমানবন্দর বিমানে আরোহণকারী যাত্রীর সংখ্যার নিরিখে রেগান বিমানবন্দরকে ছাড়িয়ে যায়।[১৬] এর আগে ২০১৮ সালে ডালেস বিমানবন্দর রেগান বিমানবন্দরকে বাৎসরিক যাত্রীসংখ্যাতেও ছাড়িয়ে যায়।[১৭] তবে এটি এখনও বাল্টিমোর-ওয়াশিংটন বিমানবন্দরের তুলনায় বাৎসরিক যাত্রীসংখ্যায় পিছিয়ে আছে।[১৮]
ডালেস বিমানবন্দরটি ইউনাইটেড এয়ারলাইনস নামক বিমান সংস্থার একটি দুর্গকেন্দ্র (ফোরট্রেস হাব)। সংস্থাটির সাথে অন্যান্য যেসব বিমান সংস্থার সংকেত অংশিদারী চুক্তি আছে, তারাও এটি ব্যবহার করে, যাদের বেশিরভাগই স্টার অ্যালায়েন্সভুক্ত সদস্য যেমন টার্কিন এয়ারলাইনস ও লুফটহানজা।