মাননীয় ডি. এ. রাজপক্ষ | |
---|---|
දොන් අල්වින් රාජපක්ෂ டான் ஆல்வின் ராஜபக் | |
কৃষি ও ভূমিমন্ত্রী (শ্রীলঙ্কা) | |
কাজের মেয়াদ ১৯৫৯ – ১৯৬০ | |
শ্রীলঙ্কা সংসদের উপবক্তা | |
কাজের মেয়াদ ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪ – ১২ নভেম্বর ১৯৬৪ | |
পূর্বসূরী | হিউ ফার্নান্দো |
উত্তরসূরী | শার্লি কোরেয়া |
বেলিঅত্ত আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৪৭ – ১৯৬০ | |
পূর্বসূরী | সাংবিধানিক দায়িত্ব তৈরি |
উত্তরসূরী | ডি. পি. অতপত্তু |
কাজের মেয়াদ ১৯৬০ – ১৯৬৫ | |
পূর্বসূরী | ডি. পি. অতপত্তু |
উত্তরসূরী | ডি. পি. অতপত্তু |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ডন অলবিন রাজপক্ষ ৫ নভেম্বর ১৯০৬ মেদমুলন, ব্রিটিশ সিলন (শ্রীলঙ্কা) |
মৃত্যু | ৭ নভেম্বর ১৯৬৭ | (বয়স ৬১)
জাতীয়তা | শ্রীলঙ্কান |
রাজনৈতিক দল | শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | সংযুক্ত জাতীয় পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | দন্দিনা সমরসিংহ দেশনায়ক |
সন্তান |
|
আত্মীয়স্বজন | রাজপক্ষ পরিবার |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | রিচমন্ড কলেজ, গল্লে |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
ধর্ম | থেরবাদ বৌদ্ধধর্ম |
ডন অলবিন রাজপক্ষ (সিংহলি: දොන් අල්වින් රාජපක්ෂ, তামিল: டான் ஆல்வின் ராஜபக்; ৫ নভেম্বর ১৯০৫ – ৭ নভেম্বর ১৯৬৭) ছিলেন শ্রীলঙ্কার একজন খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার পূর্বের বছর ১৯৪৭ সাল থেকে এই ব্যক্তি শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ১৯৪৭ সালে হম্বনতোট জেলায় রাজনীতি শুরু করেন এবং বেলিঅত্ত অঞ্চল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি উক্ত এলাকার সাংসদ ছিলেন। তিনি ছিলেন রাজনৈতিক দল শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা (১৯৫১ সালে দলটি তৈরি হয়) এবং তিনি বিজয়ানন্দ দহনায়কের সরকারের কৃষি ও ভূমিমন্ত্রী ছিলেন, যখন বিজয়ানন্দ ১৯৫৯-’৬০ মেয়াদে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ডি. এ. রাজপক্ষের দুই ছেলে মহিন্দ রাজপক্ষ এবং গোঠাভয় রাজপক্ষ শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন যথাক্রমে ২০০৫ এবং ২০১৯ সালে।
ডন অলবিন ১৯০৬ সালের ৫ই নভেম্বর একটি ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্ম হয়েছিল মেদমুলনে। তাঁর বাবা ডন ড্যাভিড রাজপক্ষ জমিদার ছিলেন। মন্দদুব স্কুলে অধ্যায়ের পর অলবিন রিচমন্ড কলেজে (গল্লে) ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর বাবার বড় কৃষিজমি ছিল এবং প্রচুর নারকেল ব্যবসা করে অলবিন নিজেই অল্প বয়সে টাকা আয় করা শুরু করেছিলেন। এছাড়াও চালের বড় ব্যবসাও ছিল তাঁর বাবার।
দু’বোন আর তিন ভাইয়ের মধ্যে অলবিন ছিলেন সবার ছোট, তিনি পড়ালেখার পাট রিচমন্ড কলেজ থেকে চুকিয়ে সিংহলী জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠেছিলেন। ১৯৩২ সালে তরুণ বয়সে তিনি ‘সিলন ন্যাশনালিস্ট পার্টি’তে যোগ দেন।
১৯৪৫ সাল, শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতা আন্দোলনের দাবি তখন তুঙ্গে, অলবিন তখন সিংহলী ভাষার মর্যাদার দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচীতে অংশ নেন, যদিও তিনি তামিলভাষীদের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছুই বলেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে অলবিন জি. জি. পোন্নমবলমের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন, যিনি ছিলেন একজন তামিলভাষী।
১৯৪৭ সালে সংযুক্ত জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে অলবিন সংসদে প্রবেশ করতে সক্ষম হন এবং খুব শীঘ্রই ১৯৪৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি চলে আসে যেদিন ব্রিটিশরা শ্রীলঙ্কাকে স্বাধীন এবং সার্বভৌম দেশ ঘোষণা করে।
১৯৫১ সালে সলোমন বণ্ডারনায়কের সঙ্গে মিলে অলবিন শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি গঠনে ভালো ভূমিকা রেখেছিলেন।[১] ১৯৫১ সালের ১২ই জুলাই ফ্রিডম পার্টির গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন অলবিন।[২][৩] ১৯৫৯ সালে তিনি ভূমি ও কৃষি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীত্ব লাভ করেন বিজয়ানন্দ দহনায়ক সরকারের অধীনে। ১৯৬৪ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি অলবিন সংসদের উপসভাধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হন।[৪] ১৯৬৭ সালের ৭ নভেম্বরে কলম্বোতে ৬১ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান অলবিন।
ডন ডেভিড রাজপক্ষ বিধানারচ্চি
তিনি হম্বনতোট জেলার ইহল বালিকদ কোরল, গিরুবপত্তুবের আরচ্চির ঔপনিবেশিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
ডন ম্যাথিউ রাজপক্ষ (১৮৯৭–১৯৪৫)
হম্বনতোট জেলার স্টেট কাউন্সিলর
ডন অলবিন রাজপক্ষ (১৯০৫–১৯৬৭)
তিনি ছিলেন শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং শ্রীলঙ্কান আইনসভার ডেপুটি স্পিকার ও কেবিনেট মন্ত্রী।
১. ডন ডেভিড রাজপক্ষ বিধানারচ্চি (সামন্তীয় পদ) + ডোনা গিমর বীরকূন রত্ননায়ক