আয়োজক | ডয়চে ফুসবাল লিগা |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ২০১০ (১৯৮৭–১৯৯৬ ডিএফবির অধীনে) |
অঞ্চল | জার্মানি |
দলের সংখ্যা | ২ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | আরবি লাইপৎসিশ (১ম শিরোপা) |
সবচেয়ে সফল দল | বায়ার্ন মিউনিখ (৯টি শিরোপা) |
টেলিভিশন সম্প্রচারক | জেডডিএফ ডিএজেডএন আন্তর্জাতিক সম্প্রচারক |
ওয়েবসাইট | www |
ডিএফএল-সুপারকাপ (জার্মান: DFL-Supercup, জার্মান: [deː ʔɛf ˈɛlː ˈzuː.pɐ.kap] (; এছাড়াও জার্মান সুপার কাপ নামে পরিচিত) হলো )জার্মানির দুইটি ফুটবল ক্লাবের মধ্যে আয়োজিত একটি একক ফুটবল ম্যাচের প্রতিযোগিতা, যেখানে বুন্দেসলিগার চ্যাম্পিয়ন এবং ডিএফবি-পোকালের চ্যাম্পিয়ন দল প্রতিযোগিতা করে। এই ম্যাচটি ডয়চে ফুসবাল লিগা (জার্মান ফুটবল লিগ) দ্বারা পরিচালিত হয়।
এপর্যন্ত এই প্রতিযোগিতাটি ৮টি ক্লাব জয়লাভ করেছে, যার মধ্যে ৩টি ক্লাব একাধিকবার জয়লাভ করেছে। বায়ার্ন মিউনিখ এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ক্লাব, যারা সর্বমোট ৯টি শিরোপা জয়ালাভ করেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, যারা এপর্যন্ত ৬ বার এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে জার্মান ভেয়ার্ডার ব্রেমেন, যারা এপর্যন্ত ৩ বার শিরোপা জয়লাভ করেছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আরবি লাইপৎসিশ ২০২৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল।[১][২] এই প্রতিযোগিতায় বুন্দেসলিগার চ্যাম্পিয়ন ক্লাবগুলো সর্বাধিক ১৫ বার শিরোপা জয়লাভ করেছে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডিএফবি-পোকালের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবগুলো (যারা এপর্যন্ত ৫ বার শিরোপা জয়লাভ করেছে)।
১৯৯৭ সালে এটি ডিএফবি-লিগাপোকাল নামে একটি লিগ কাপ দ্বারা অপসারিত হয়েছে। ২০০৮ সালে কোন ফুটবল সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত না হওয়ায় ম্যাচটি টি-হোম সুপারকাপ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে বুন্দেসলিগা এবং ডিএফবি-পোকাল উভয় প্রতিযোগিতার শিরোপাজয়ী বায়ার্ন মিউনিখ এবং ডিএফবি-পোকালের ফাইনালে অংশগ্রহণকারী বরুসিয়া ডর্টমুন্ড প্রতিযোগিতা করেছিল। উয়েফা ইউরো ২০০৮-এর কারণে নির্ধারিত ভিড়ের কারণে উক্ত ম্যাচটি ডিএফবি-লিগাপোকাল দ্বারা এক বছরের প্রতিস্থাপিত হয়েছিল, কেননা ডিএফএল-সুপারকাপ এক মৌসুমের জন্য বাতিল করা হয়েছিল। ২০০৯ সালের ১০ই নভেম্বর তারিখে ডয়চে ফুসবাল লিগার বার্ষিক সাধারণ সভায় সুপারকাপকে ২০১০–১১ মৌসুম থেকে পুনর্বহাল করা হয়েছে।[৩] ডয়চে ফুসবাল লিগা দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারণে এই প্রতিযোগিতাকে সুপারকাপকে ডিএফএল-সুপারকাপ বলা হয়; এরপূর্বে এটিকে ডিএফবি-সুপারকাপ বলা হতো কেননা তখন এটি জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা পরিচালিত হতো।
২০১০ সাল থেকে, ডিএফবি-সুপারকাপের বিপরীতে যদি একটি দল লিগ এবং কাপ উভয় শিরোপা জয়লাভ করে, তবে এই প্রতিযোগিতায় বুন্দেসলিগার রানার-আপ অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। ৯০ মিনিট পর খেলা সমতায় থাকবে অতিরিক্ত সময়ের খেলা আয়োজন না করে পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করা হয়।
— | গাঢ় দ্বারা উক্ত আসরের চ্যাম্পিয়ন দল নির্দেশ করে |
জার্মান চ্যাম্পিয়ন দল বেশ কয়েকবার কাপ বিজয়ী দলের মুখোমুখি হয়েছিল, যা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেনি।
বছর | জার্মান চ্যাম্পিয়ন | ফলাফল | কাপ চ্যাম্পিয়ন | মাঠ | নাম |
---|---|---|---|---|---|
১৯৪১ | শালকে ০৪ | ২–৪ | ড্রেসডনার | ডিএসসি-স্টাডিওন, ড্রেসডেন | হেরাউসফর্ডারুংসকাম্ফ[৪] |
১৯৭৭ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩–২ | হামবুর্গার | ফোক্সপার্কস্টাডিওন, হামবুর্গ | ডয়চার সুপারকাপ[৫] |
১৯৮৩ | হামবুর্গার | ১–১ (২–৪ পে.) |
বায়ার্ন মিউনিখ | অলিম্পিক স্টেডিয়াম, মিউনিখ | |
২০০৮ | বায়ার্ন মিউনিখ | ১–২ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (রানার-আপ) | সিগনাল ইডুনা পার্ক, ডর্টমুন্ড | টি-হোম সুপারকাপ[৫] |
২০০৯ | ভিএফএল ভলফসবুর্গ | ১–২ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ফোক্সওয়াগেন এরিনা, ভলফসবুর্গ | ফোক্সওয়াগেন সুপারকাপ[৬] |
ক্লাব | বিজয়ী | রানার-আপ | বিজয়ের বছর | রানার-আপের বছর |
---|---|---|---|---|
বায়ার্ন মিউনিখ | ১০ | ৭ | ১৯৮৭, ১৯৯০, ২০১০, ২০১২, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮, ২০২০, ২০২১, ২০২২ |
১৯৮৯, ১৯৯৪, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৯, ২০২৩ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৬ | ৬ | ১৯৮৯, ১৯৯৫, ১৯৯৬, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৯ |
২০১১, ২০১২, ২০১৬, ২০১৭, ২০২০, ২০২১ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩ | ১ | ১৯৮৮, ১৯৯৩, ১৯৯৪ | ১৯৯১ |
কাইজারস্লাউটার্ন | ১ | ২ | ১৯৯১ | ১৯৯০, ১৯৯৬ |
শালকে ০৪ | ১ | ১ | ২০১১ | ২০১০ |
আরবি লাইপৎসিশ | ১ | ১ | ২০২২ | ২০২৩ |
ভিএফবি স্টুটগার্ট | ১ | ০ | ১৯৯২ | — |
ভিএফএল ভলফসবুর্গ | ১ | ০ | ২০১৫ | — |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ০ | ২ | — | ১৯৮৮, ২০১৮ |
হামবুর্গার | ০ | ১ | — | ১৯৮৭ |
হানোফার ৯৬ | ০ | ১ | — | ১৯৯২ |
বায়ার লেভারকুজেন | ০ | ১ | — | ১৯৯৩ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ০ | ১ | — | ১৯৯৫ |
প্রতিযোগিতা | বিজয়ী | রানার-আপ |
---|---|---|
বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন | ১৫ | ৯ |
ডিএফবি-পোকাল চ্যাম্পিয়ন | ৫ | ১২ |
বুন্দেসলিগা রানার-আপ | ৪ | ৩ |