![]() ১৩তম এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক জয়ের পরে ডিঙ্গকো সিং. | ||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডিঙ্গকো সিং | |||||||||||
জাতীয়তা | ![]() | |||||||||||
জন্ম | মণিপুর, India | ১ জানুয়ারি ১৯৭৯|||||||||||
মৃত্যু | ১০ জুন ২০২১ | (বয়স ৪২)|||||||||||
ওজন | ৫৪ কিলোগ্রাম (১১৯ পাউন্ড) | |||||||||||
সামরিক কর্মজীবন | ||||||||||||
আনুগত্য | ![]() | |||||||||||
সেবা/ | ![]() | |||||||||||
পদমর্যাদা | ![]() | |||||||||||
পুরস্কার | পদ্মশ্রী অর্জুন পুরস্কার | |||||||||||
ক্রীড়া | ||||||||||||
ক্রীড়া | মুষ্টিযুদ্ধ | |||||||||||
ওজন শ্রেণী | ব্যান্টমওয়েট | |||||||||||
পদকের তথ্য
|
মাস্টার চিফ পেট্টি অফিসার ডিঙ্গকো সিং (জন্ম: ১লা জানুয়ারী ১৯৭৯ - ১০ই জুন ২০২১) একজন ভারতীয় মুষ্টিযোদ্ধা, যিনি ১৯৯৮ সালে ব্যাংককে এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের অধিবাসী। [১] ২০১৩ সালে তিনি ভারত সরকার দ্বারা পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন [২]
নাঙ্গাঙ্গোম ডিঙ্গকো সিং, সাধারণত 'ডিংকো সিং' নামে পরিচিত তিনি একজন ভারতীয় মুষ্টিযোদ্ধা এবং ভারতের অন্যতম সেরা বক্সার হিসাবে বিবেচিত। ১৯৯৭ সালে তিনি ব্যাঙ্ককের কিং কাপ জিতেছিলেন এবং ১৯৯৮ সালে ব্যাংকক এশিয়ান গেমসে ৫৪ কেজি বিভাগে স্বর্ণ জিতেছিলেন। তিনি ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন সার্ভিস কর্মী। ১৯৯৮ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক এশিয়ান গেমসে বক্সিং ইভেন্টে স্বর্ণপদক অর্জনের জন্য তিনি সুপরিচিত।
তিনি ১৯৭৯ সালের ১লা জানুয়ারি মণিপুরের পূর্ব ইম্ফল জেলার সেকতা নামে প্রত্যন্ত গ্রামে খুব দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ডিংকোকে জীবনের প্রথম থেকেই প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছিল এবং অনাথআশ্রমে বড় হয়েছিলেন তিনি। বক্সিং থেকে অবসর নেওয়ার পরে তিনি ভারতীয় নৌসেনার অফিসার রূপে কাজ করতেন। ২০১৭ সালে লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তিনি। দীর্ঘ রোগভোগের পরে মাত্র ৪২ বছর বয়সে ২০২১ সালের ১০ই জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের এই অসাধারণ বক্সার।
১৯৯৭ সালে তিনি আন্তর্জাতিক বক্সিংয়ের অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ১৯৯৭ এর কিং কাপ জিতেছিলেন। টুর্নামেন্ট জেতার পাশাপাশি ডিংকো সিংকেও এই টুর্নামেন্টের সেরা বক্সার হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
তিনি ১৯৯৮ সালে ব্যাংককের এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়ে ভারতীয় বক্সিং দলের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। অজানা কারণে তাকে শেষ মুহুর্তে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল এবং এই ঘটনায় ডিঙ্গকো ভেঙে পড়েন। অবশেষে তিনি নির্বাচিত হন এবং ইভেন্টটি তার ক্যারিয়ারের শীর্ষস্থানীয় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল কারণ তিনি ৫৪ কেজি ব্যান্টমওয়েট বিভাগে স্বর্ণপদক জয়ের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।
বক্সিং খেলাধুলায় তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব এবং তাঁর নিরন্তর প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠার দ্বারা জাতির প্রতি তাঁর অসাধারণ অবদানের স্মরণে তাকে ১৯৯৯ সালে মর্যাদাপূর্ণ অর্জুন পুরস্কার এবং পরে ২০১৩ সালে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল।