ডিয়ানা সাইম তেওয়ারি (১৯৩৯ - ২৮শে মার্চ ২০২৪) বেঙ্গালুরুর একজন ভারতীয় ক্রীড়াবিদ ছিলেন। ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকের গোড়ার দিকে তিনি সক্রিয় ছিলেন। ১৯৮২ সালে নতুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে তিনি ভারতের হয়ে মশাল বাহক ছিলেন।[১][২]
ডিয়ানা সাইমের জন্ম বেঙ্গালুরুতে। তাঁর বাবা ও মায়ের নাম যথাক্রমে ফিলিস সাইম এবং সিরিল সাইম। তাঁর বাবা-মা দুজনেই দৌড়বিদ ছিলেন এবং তাঁর পরিবারের অনেক সদস্য খেলাধুলায় আগ্রহী হওয়ায় তিনিও খেলাধুলায় মনোনিবেশ করেছিলেন। তাঁর পিসি মার্জোরি সুয়ারেস ১৯৫১ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর পিসেমশাই আর্থার সুয়ারেস জাতীয় পর্যায়ে বক্সিংয়ে আগ্রহী ছিলেন। ডিয়ানা ক্লিভল্যাণ্ড টাউনের সেন্ট জনস হাই স্কুল এবং সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার হাই স্কুল থেকে তাঁর স্কুলজীবনের পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। পরে, তিনি মাউন্ট কারমেল কলেজ থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি কলকাতায় ইতিহাস পড়াতেন, পরে বেঙ্গালুরুতে ফিরে এসে তিনি সোফিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হন। এরপর ১৯৯৩ সালে তিনি দুবাই চলে যান। সেখানে তিনি ইংরেজি পড়াতে থাকেন এবং তাঁর নিষ্ঠার জন্য স্বীকৃতি পান।
তিনি স্কুল জীবন থেকেই দীর্ঘ লম্ফ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে শুরু করেছিলেন এবং ১৯৫৬ সালে মাউন্ট কারমেল কলেজে পড়ার সময় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি মহীশূর রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ১৯৫৭ সালে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর পিসি মার্জোরি সুয়ারেসের রেকর্ড ভেঙে দীর্ঘ লম্ফে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।[৩] তাঁর পিসি হকি এবং বাস্কেটবলে মহীশূর রাজ্যের অধিনায়কত্বও করেছিলেন।[৪] পরের বছর ১৯৫৮ সালে কটকে অনুষ্ঠিত জাতীয় গেমসে তিনি একটি জাতীয় রেকর্ড তৈরি করেন। রীত আব্রাহাম এই রেকর্ড ভাঙার আগে পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে এটি টিঁকে ছিল। ১৯৬২ সালে, তিনি জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং ৮০০ মিটার দৌড়ে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিলেন।[৪] ১৯৮২ সালে দিল্লির এশিয়ান গেমসে তিনি ছিলেন মশাল বাহক।[৪] ১৯৬৪ সালে, তিনি মিলখা সিং এবং গুরবচন সিং রন্ধাওয়ার সাথে পশ্চিম জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও সুইজারল্যান্ড সফরের জন্য নির্বাচিত হন।[৪]
২০২৪ সালের ২৮শে মার্চ ডিয়ানা সাইম তেওয়ারি ৮৫ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে দুবাইতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর শেষকৃত্য বেঙ্গালুরুর অ্যাসেনশন চার্চে অনুষ্ঠিত হয়।[৪]