সাইটের প্রকার | উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার |
---|---|
উপলব্ধ | ইংরেজি |
মালিক | লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | doaj |
অ্যালেক্সা অবস্থান | ২২,৭৮৪ (অক্টোবর ২০১৮) doaj.org ট্রাফিক পরিসংখ্যান |
বাণিজ্যিক | না |
চালুর তারিখ | ২০০৩[১] |
বর্তমান অবস্থা | অনলাইন |
ওসিএলসি সংখ্যা | 913575257 |
উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার জার্নাল ডিরেক্টরি (ডোয়াজ) (ইংরেজি: Directory of Open Access Journals DOAJ) হলো একটি ওয়েবসাইট যা উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার জার্নাল তালিকা প্রকাশ করে এবং উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারের জন্য পরিকাঠামো সেবা (IS4OA) কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণকৃত হয়ে থাকে।[২] প্রকল্পটি উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার জার্নাল বলতে সেইসব বৈজ্ঞানিক ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ জার্নালগুলিকেই বোঝায় যেগুলি পিয়ার রিভিউ অনুশীলন করার মাধ্যমে বা সম্পাদকীয় গুণমান নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে উচ্চ গুণমান সম্পন্ন হয় এবং "যেগুলি একটি অনুদান ব্যবস্থা ব্যবহার করে যা প্রবেশাধিকারের জন্য পাঠক বা তার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো অর্থ গ্রহণ করে না"।[১] যেকোনো জার্নাল ডোয়াজের উপভুক্ত হতে হলে বুদাপেস্ট ওপেন এক্সেস ইনিশিয়েটিভের নির্ধারিত উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারের সংজ্ঞায় উল্লিখিত স্বত্বগুলি পাঠককে প্রদান করতে হবে; সেগুলি হলো "পাঠ করা, ডাউনলোড করা, অনুলিপি করা, বিতরণ করা, ছাপা, খোঁজা বা সম্পূর্ণ নিবন্ধগুলিকে সরাসরি লিংক করা"।[১][৩] ডোয়াজের লক্ষ্য হলো "উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারযুক্ত বৈজ্ঞানিক ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ জার্নালগুলির প্রচার ও সহজে ব্যবহার করার সুবিধা বাড়ানো ও তার মাধ্যমে এগুলির ব্যবহার ও প্রভাব বৃদ্ধি"।[১]
মার্চ ২০১৫ অনুযায়ী, ডোয়াজ-এর তথ্যাধারে ১০ হাজারের অধিক জার্নালের তালিকা রয়েছে।[১] ২০১২ সালে, প্রতিদিন গড়ে চারটি জার্নাল এর তালিকায় যুক্ত হয়েছে।[৪] মে ২০১৬ সালে, ডোয়াজ ঘোষণা করে যে, প্রায় ৩৩০০ টি জার্নাল তাদের তালিকা থেকে অপসারণ করা হয়েছে, তালিকায় থাকা বিষয়বস্তুর নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।[৫] বাদ দেয়া জার্নালসমূহ পুনরায় অন্তর্ভুক্ত হবার জন্য একটি বর্তমান প্রক্রিয়া অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে।[৬] ২৫শে অক্টোবর ২০১৮ অনুযায়ী, এই তালিকায় ১২,১৯৫টি জার্নাল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[৭]
বুদাপেস্ট ওপেন এক্সেস ইনিশিয়েটিভের পর ওপেন সোসাইটি ইন্সটিটিউট মুক্ত প্রবেশাধিকার সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অনুদান প্রদান করে, এটি ছিল তার মধ্যে একটি।[৮] ২০০২ সালে পাণ্ডিত্যপূর্ণ যোগাযোগের উপর প্রথম নর্ডিক কনফারেন্সে ডোয়াজের পরিকল্পনা করা হয়। ডোয়াজের গঠন ও পরিচালনা করার জন্য লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচিত হয়।[৯] ২০১৩ সাল পর্যন্ত লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় এটির দায়িত্বে ছিল, এরপর উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারের জন্য পরিকাঠামো সেবা (IS4OA) এই দায়িত্ব গ্রহণ করে।
ক্যারোলিন সাটন ও আলমা সোয়ান, দুজন উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার প্রচারক, ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যে একটি অ-বাণিজ্যিক দাতব্য সংস্থা হিসেবে উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারের জন্য পরিকাঠামো সেবা (IS4OA) গঠন করেন।[১০] এটি ডোয়াজ ও ওপেন সাইটেসনস কর্পাস, দুটিরই পরিচালনা করে।