ডুয়ার্স শব্দের অর্থ দরজা বা প্রবেশদ্বার।এটি পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশের
কাছে
পশ্চিমবঙ্গ ও অসম নিয়ে গঠিত। ডুয়ার্স দ্বারা ভুটান ও ভারতের মধ্যে যোগাযোগ সম্পন্ন হয়। এই অঞ্চল ভুটান তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার। এই অঞ্চলের গড় উচ্চতা ১৫০-১৭০০ মিটারের মধ্যে। [১]
হিমালয়ের পাদদেশ তথা সমভূমি ও পর্বত অঞ্চলের মিলনস্থানে ডুয়ার্স এর অবস্থান।ডুয়ার্সকে সংকোশ নদী দুই ভাগে ভাগ করেছে। এই নদীর পূর্বের অংশকে বলা হয় পূর্ব ডুয়ার্স বা অসম ডুয়ার্স এবং পশ্চিমের অংশকে বলে পশ্চিম ডুয়ার্স বা পশ্চিমবঙ্গ ডুয়ার্স। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার এবং অসমের ধুবড়ি, কোকড়াঝাড়, বরপেটা, গোয়ালপাড়া ও বঙাইগাঁও জেলা নিয়ে ডুয়ার্স অঞ্চল গঠিত।
এই অঞ্চলের নদীগুলি হিমালয়ের বরফগলা জলে পুষ্ট বলে নদীতে সারাবছর জল থাকে। প্রধান নদীগুলি হল তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, মহানন্দা, কলজানি, বালাসন প্রভৃতি। রঙ্গিত তিস্তার প্রধান উপনদী।
এই স্থানে বালি কাঁকড় ও নুড়িপূর্ণ মাটি বিদ্যমান। স্থানে স্থানে কালো রঙের আর্দ্র মৃত্তিকা দেখা যায়।জৈব পদার্থ ও গাছের পাতা-পচা সার থাকায় এই মাটিতে চা, কমলালেবু প্রভৃতির চাষ ভালো হয়।[২]
ডুয়ার্সের বেশির ভাগ অংশ ঘনবনাঞ্চল দ্বারা আবৃত। এই বনাঞ্চল হল ভারতীয় গণ্ডার ও হাতির প্রধান বাসভূমি। এছাড়া এখানে বাঘ, চিতা, হরিণও নানাধরনের পাখি রয়েছে। এখানকার বনাঞ্চলগুলি হল-
এই অঞ্চলে বহু দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে।এই পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে প্রতি বছর বহু দেশ-বিদেশের পর্যটক আসে।প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলি হল-