জেনারেল ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট ফর পিস ইন বসনিয়া এন্ড হার্জেগোভিনা | |
---|---|
খসড়া | ১ নভেম্বর ১৯৯৫ |
স্বাক্ষর | ১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৫ |
স্বাক্ষরকারী | |
অংশগ্রহণকারী |
"জেনারেল ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট ফর পিস ইন বসনিয়া এন্ড হার্জেগোভিনা" যা সংক্ষেপে ডেটন চুক্তি, প্যারিস প্রটোকল, ডেটন প্যারিস চুক্তি নামে পরিচিত, (বসনীয়: Dejtonski mirovni sporazum, সার্বীয়: Dejtonski mirovni sporazum, ক্রোয়েশীয়: Daytonski sporazum) একটি শান্তিচুক্তি যা ১৯৯৫ সালের ১ নভেম্বর যুক্তরাষ্টের ওহাইও অংগরাজ্যের ডেটনে অবস্থিত রাইট প্যাটারসন বিমানবাহিনীর দপ্তরে সাক্ষরিত হয় এবং ১৯৯৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রান্সের প্যারিসে সাক্ষরিত হয়। এটা যুগোস্লাভ যুদ্ধের অন্যতম দীর্ঘ যুদ্ধ বসনিয়া যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়।
নব্বই দশকের গোড়ার দিকের বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার যুদ্ধ ছিল ১৯৪৫ সালের পর থেকে ইউরোপ অঞ্চলে হওয়া সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ। এতে প্রায় এক লাখ মানুষ নিহত এবং ২০ লাখের বেশি লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছিল, সেই সঙ্গে বসনিয়ার নারীদের সম্ভ্রমহানি, প্রিজন ক্যাম্প, মুসলিমদের গণহত্যাসহ অসংখ্য সমস্যা মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছিল, যার সমাপ্তি ঘটেছিল এক 'অসম' শান্তিচুক্তির হাত ধরে। আর এ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দীর্ঘসূত্রতার কারণ ছিল যুদ্ধের প্রকৃতি সম্পর্কে জাতিসংঘ ও ন্যাটোর অদূরদর্শিতা এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে মতৈক্যের অভাব।
যা হোক, ১৯৯৫ এর শেষের দিকে বেশ কিছু রাজনৈতিক পদক্ষেপ ও কংগ্রেসের চাপে অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে নেতৃত্ব দিতে সম্মত হয় এবং সামরিক হস্তক্ষেপ কার্যকরের পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
এরই হাত ধরে ১৯৯৫ সালের ২১ নভেম্বর 'জেনারেল ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট ফর পিস' প্রণীত হয়, যা 'ডেটন চুক্তি' নামে সর্বাধিক পরিচিত। আজ থেকে ২০ বছর আগে ১৪ ডিসেম্বর প্যারিসে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষরকারীরা হলেন- ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট ফ্রানজো তুজমান, সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট সেস্নাবোডান মিলোসেভিক (যাকে পরে হেগে 'যুদ্ধাপরাধী' হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল) এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট এলিজা আইজেৎবেগোভিক।