ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেনিস কিথ লিলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সুবিয়াকো, পার্থ, অস্ট্রেলিয়া | ১৮ জুলাই ১৯৪৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | এফওটি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ১১.৫ ইঞ্চি (১.৮২ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৫৪) | ২৯ জানুয়ারি ১৯৭১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ জানুয়ারি ১৯৮৪ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৩) | ২৪ আগস্ট ১৯৭২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৮ জুন ১৯৮৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৮ | নর্দাম্পটনশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৭–১৯৮৮ | তাসমানিয়ান টাইগার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৯–১৯৮৪ | ওয়েস্টার্ন ওয়ারিয়র্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ |
ডেনিস কিথ লিলি, এএম, এমবিই (ইংরেজি: Dennis Keith Lillee; জন্ম: ১৮ জুলাই, ১৯৪৯) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সুবিয়াকো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ও বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। তিনি তার সময়কালের অসাধারণ ফাস্ট বোলাররূপে বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে আছেন।[১] ক্ষীপ্রগতির বোলিং ভঙ্গীমা ও হার না মানার মানসিকতার জন্যে সমর্থকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন ডেনিস লিলি।
লিলি তার ক্রিকেট জীবনের শুরুতেই অত্যন্ত দ্রুতগামী বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু অনেকবার শারীরিক আঘাতপ্রাপ্তির কারণে তার ক্রিকেট জীবন শেষ হয়ে যায়। খেলোয়াড়ী জীবনের মাঝখানে প্রয়াত ও বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার রে লিন্ডওয়াল তার বোলিং পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেন।[২][৩]
১৯৭০-৭১ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ টেস্টের মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটান তিনি। আট বলের ওভারে ২৮.৩ ওভার বোলিংয়ে ৫/৮৪ লাভ করেন।[৪] জন এডরিচ ছিলেন তার প্রথম শিকার যা কিথ স্টেকপোল ক্যাচ নিয়েছিলেন। সিডনিতে অনুষ্ঠিত নিজস্ব ৭ম টেস্টে প্রথমবারের মতো জন হ্যাম্পশায়ারকে কট মার্শ বোল্ড লিলি নামটিকে লিপিবদ্ধ করেন।
১৯৭১-৭২ সালে বিশ্ব একাদশ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েন। তার আগ্রাসী বোলিংয়ে বিশ্ব একাদশের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপ ভেঙ্গে পড়ে। তিনি গ্যারি সোবার্স, ক্লাইভ লয়েড, রোহন কানহাই এবং সুনীল গাভাস্কারের ন্যায় ব্যাটসম্যানদেরকে আউট করেন যা পরবর্তীতে তার বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড়ায় ৮/২৯।
১৯৭২ সালে ইংল্যান্ড সফরে নিজেকে সেরা বোলাররূপে প্রতিষ্ঠিত করেন।[৫] ১৭.৬৭ রান গড়ে তিনি ৩১ উইকেট লাভ করে দলকে সিরিজে ২-২ রাখতে সক্ষম হন।
২৪ আগস্ট, ১৯৭২ তারিখে ৩ ওডিআই নিয়ে গড়া প্রুডেন্সিয়াল ট্রফি প্রতিযোগিতার প্রথম খেলায় অস্ট্রেলিয়ার রস এডওয়ার্ডস, ডেনিস লিলি, বব ম্যাসি, পল শিহান ও গ্রেম ওয়াটসন এবং ইংল্যান্ডের ডেনিস অ্যামিস, জিওফ আর্নল্ড, ব্রায়ান ক্লোজ, টনি গ্রেগ ও বব উলমারের একযোগে ওডিআই অভিষেক ঘটে।[৬] ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় তার দল ৬ উইকেটে পরাজয়বরণ করেছিল।
ডিসেম্বর, ১৯৭৯ সালে ওয়াকা গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্টে নিজ বন্ধুর প্রতিষ্ঠানে প্রস্তুতকৃত কমব্যাট ব্যাট নিয়ে খেলতে নামেন।[৭] এধরনের ব্যাট নিয়ে খেলার জন্য কোন নিয়ম ছিল না। কিন্তু এক বলে তিন রান নিতে গিয়ে সমস্যার সূত্রপাত ঘটে। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেল ভাবলেন যে বলটি চারে পরিণত হবে। এরপর ইংরেজ দলনেতা মাইক ব্রিয়ারলি আম্পায়ারদ্বয়ের কাছে বল নষ্ট করার অযুহাতে ব্যাট পরিবর্তনের বিষয়ে অভিযোগ করেন। কিন্তু, লিলি তার ব্যাট পরিবর্তন করতে অস্বীকার করেন। মাইক ব্রিয়ারলি, লিলি ও আম্পায়ারগণ দশ মিনিট এ বিষয়ে আলোচনা করলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। অতঃপর চ্যাপেলের বিনীত অনুরোধে লিলি তা পরিবর্তন করেন। তবে, রাগে-দুঃখে তিনি ব্যাটটিকে ৪০ গজ দূর থেকে প্যাভিলিয়নের দিকে নিক্ষেপ করেন।[৮] অবশ্য এ ঘটনার জন্য তিনি এসিবি কর্তৃক শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দোষী হননি। এরফলে ব্যাট ব্যবহারের বিষয়ে আইন পরিবর্তিত হয় ও নির্দিষ্ট করা হয় যে, ব্যাট অবশ্যই কাঠ দিয়ে তৈরী হতে হবে। খেলার কয়েক মাস পর ঐ ব্যাটটি নিলামে বিক্রয় করা হয়।
১৯৭৩ সালে উইজডেন নির্বাচকমণ্ডলী বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের একজনরূপে তাকে মনোনীত করে।[৯] ১৯৮৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে লিলি অবসর নেন। তখনো তিনি সবচেয়ে বেশি ৩৫৫টি টেস্ট উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী ছিলেন।[১০] এরফলে নিজেকে অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের স্বীকৃত এবং জনপ্রিয়তম ক্রীড়াবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট হল অব ফেমের উদ্বোধনে প্রথম দশজনের একজন হিসেবে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তার সাথে অন্যান্যরা ছিলেন - জ্যাক ব্ল্যাকহাম, ফ্রেড স্পফোর্থ, ভিক্টর ট্রাম্পার, ক্ল্যারি গ্রিমেট, বিল পন্সফোর্ড, স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান, বিল ও’রিলি, কিথ মিলার ও রে লিন্ডওয়াল।[১১] ২০০০ সালে শতাব্দীর সেরা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড দলেও তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১২]
১৭ ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে ডেনিস লিলি আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে জায়গা পান।[১৩] অবসর পরবর্তীকালে তিনি ভারতের চেন্নাইয়ে প্রতিষ্ঠিত এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনের সাথে জড়িত ছিলেন যা ফাস্ট বোলিংয়ের উপযোগী করে সেরা পেসার গড়ে তোলে।[১৪]
রেকর্ড | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ল্যান্স গিবস |
বিশ্বরেকর্ড - সবচেয়ে বেশি টেস্ট উইকেট লাভ ৩৫৫ উইকেট (৭০ টেস্টে ২৩.৯২ রান গড়ে) ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৮১-২১ আগস্ট, ১৯৮৬ |
উত্তরসূরী ইয়ান বোথাম |