ক্রিকেট তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ |
ডেবোরাহ ডেবি অ্যান হকলি, এমএনজেডএম (ইংরেজি: Debbie Hockley; জন্ম: ৭ নভেম্বর, ১৯৬২) ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় প্রমিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যান্টারবারি ম্যাজিসিয়ান্সের প্রতিনিধিত্ব করতেন ডেবি হকলি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। তবে দলের প্রয়োজনে ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন।
নিউজিল্যান্ড জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের হয়ে ১৯টি টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৬* রানসহ ৫২.০৪ রান গড়ে সর্বমোট ১,৩০১ রান সংগ্রহ করেন। ১৯৮৪-৮৫ মেয়াদকালে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। এ দায়িত্বে থাকাকালে ডেবি হকলি ৬ টেস্টে নেতৃত্ব দেন। ইংল্যান্ড ও ভারত দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজ দুইটি ড্রয়ে পরিণত হয়। ১১৮টি একদিনের আন্তর্জাতিকে ৪১.৮৯ গড়ে ৪,০৬৪ রান করেন। একদিনের আন্তর্জাতিকে ২৭ খেলায় নেতৃত্ব দিয়ে ১২টিতে জয় পান ও ১৫টিতে পরাজয়বরণ করেন।
১৯৮২-২০০০ সময়কাল পর্যন্ত সর্বমোট ৫টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন। এ সময়ে ১৫০১ রান তুলেন তিনি যা প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বাধিক রান।[১] তন্মধ্যে ১৯৯৭ সালের আসরে সর্বাধিক ৪৫৬ রান তুলেন।[২][৩] ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি দুইটি শতরান[৪] ও দুইটি অর্ধ-শতরানের সন্ধান পান।[৫] ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় তার দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি হয়। ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে তিনি ১২১ বলে ৭৯ রান তুলেন যা তার দলের মোট সংগ্রহের ৪৮%। দুই অঙ্কের কোটায় শুধুমাত্র অধিনায়ক মাইয়া লুইস ১০ ও উইকেট-রক্ষক রেবেকা রোলস ১৮ তুলতে সক্ষম হন। ৪৯.৩ ওভারে নিউজিল্যান্ড ১৬৪ রানে গুটিয়ে গেলে বেলিন্ডা ক্লার্কের ৮১ বলে গড়া ৫২ রানের কল্যাণে অস্ট্রেলিয়া ৪৭.৪ ওভারে ১৬৫/৫ সংগ্রহ করে ও ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয়।[৬] ঐ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।
১৯৯৯ সালে নববর্ষের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ক্রিকেট খেলায় অবদান রাখায় তাকে এমএনজেডএম পদকে ভূষিত করা হয়।[৭] ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের হল অব ফেমে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৮] সাবেক ইংরেজ অধিনায়ক র্যাচেল হেহো ফ্লিন্ট, অস্ট্রেলীয় বেলিন্ডা ক্লার্ক ও ইংরেজ এনিড বেকওয়েলের পর তিনি হচ্ছেন প্রথম নিউজিল্যান্ডীয়, যিনি এ তালিকায় প্রবেশ করেছেন।