ডেবি হকলি

ডেবি হকলি
ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১৯ ১১৮
রানের সংখ্যা ১৩০১ ৪০৬৪
ব্যাটিং গড় ৫২.০৪ ৪১.৮৯
১০০/৫০ ৪/৭ ৪/৩৪
সর্বোচ্চ রান ১২৬* ১১৭
বল করেছে ৪৯২ ১৫২২
উইকেট ২০
বোলিং গড় ২৯.২০ ৪২.৬৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৩/২০ ৩/৪৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৯/- ৪১/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ডেবোরাহ ডেবি অ্যান হকলি, এমএনজেডএম (ইংরেজি: Debbie Hockley; জন্ম: ৭ নভেম্বর, ১৯৬২) ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় প্রমিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যান্টারবারি ম্যাজিসিয়ান্সের প্রতিনিধিত্ব করতেন ডেবি হকলি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। তবে দলের প্রয়োজনে ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

নিউজিল্যান্ড জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের হয়ে ১৯টি টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৬* রানসহ ৫২.০৪ রান গড়ে সর্বমোট ১,৩০১ রান সংগ্রহ করেন। ১৯৮৪-৮৫ মেয়াদকালে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। এ দায়িত্বে থাকাকালে ডেবি হকলি ৬ টেস্টে নেতৃত্ব দেন। ইংল্যান্ড ও ভারত দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজ দুইটি ড্রয়ে পরিণত হয়। ১১৮টি একদিনের আন্তর্জাতিকে ৪১.৮৯ গড়ে ৪,০৬৪ রান করেন। একদিনের আন্তর্জাতিকে ২৭ খেলায় নেতৃত্ব দিয়ে ১২টিতে জয় পান ও ১৫টিতে পরাজয়বরণ করেন।

ক্রিকেট বিশ্বকাপ

[সম্পাদনা]

১৯৮২-২০০০ সময়কাল পর্যন্ত সর্বমোট ৫টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন। এ সময়ে ১৫০১ রান তুলেন তিনি যা প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বাধিক রান।[] তন্মধ্যে ১৯৯৭ সালের আসরে সর্বাধিক ৪৫৬ রান তুলেন।[][] ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি দুইটি শতরান[] ও দুইটি অর্ধ-শতরানের সন্ধান পান।[] ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় তার দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি হয়। ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে তিনি ১২১ বলে ৭৯ রান তুলেন যা তার দলের মোট সংগ্রহের ৪৮%। দুই অঙ্কের কোটায় শুধুমাত্র অধিনায়ক মাইয়া লুইস ১০ ও উইকেট-রক্ষক রেবেকা রোলস ১৮ তুলতে সক্ষম হন। ৪৯.৩ ওভারে নিউজিল্যান্ড ১৬৪ রানে গুটিয়ে গেলে বেলিন্ডা ক্লার্কের ৮১ বলে গড়া ৫২ রানের কল্যাণে অস্ট্রেলিয়া ৪৭.৪ ওভারে ১৬৫/৫ সংগ্রহ করে ও ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয়।[] ঐ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

১৯৯৯ সালে নববর্ষের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ক্রিকেট খেলায় অবদান রাখায় তাকে এমএনজেডএম পদকে ভূষিত করা হয়।[] ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের হল অব ফেমে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[] সাবেক ইংরেজ অধিনায়ক র‌্যাচেল হেহো ফ্লিন্ট, অস্ট্রেলীয় বেলিন্ডা ক্লার্ক ও ইংরেজ এনিড বেকওয়েলের পর তিনি হচ্ছেন প্রথম নিউজিল্যান্ডীয়, যিনি এ তালিকায় প্রবেশ করেছেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Records / Women's World Cup / Most runs"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  2. "Records / Women's World Cup / Most runs in a series"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  3. Most runs - Hero Honda Women's World Cup, 1997/98 from CricInfo retrieved 2 June 2008
  4. Most hundreds - Hero Honda Women's World Cup, 1997/98 from CricInfo retrieved 2 June 2008
  5. Most fifties - Hero Honda Women's World Cup, 1997/98 from CricInfo retrieved 2 June 2008
  6. Australia Women v New Zealand Women - Hero Honda Women's World Cup - Final from CricInfo retrieved 2 June 2008
  7. 1999 New Year Honours List, Department of the Prime Minister and Cabinet. Retrieved 8 December 2012.]
  8. "Simpson to be inducted into the ICC Cricket Hall of Fame"। International Cricket Council। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]