ডেভিড আয়রনসাইড

ডেভিড আয়রনসাইড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ডেভিড আর্নেস্ট জেমস আয়রনসাইড
জন্ম(১৯২৫-০৫-০২)২ মে ১৯২৫
লরেনকো মার্কুস, মোজাম্বিক
মৃত্যু২১ আগস্ট ২০০৫(2005-08-21) (বয়স ৮০)
বার্মিংহাম, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৯০)
২৪ ডিসেম্বর ১৯৫৩ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৯ জানুয়ারি ১৯৫৪ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩১
রানের সংখ্যা ৩৭ ১৩৫
ব্যাটিং গড় ১৮.৫০ ৬.৪২
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১৩ ১৬*
বল করেছে ৯৮৬ ৮৪২৩
উইকেট ১৫ ১৩০
বোলিং গড় ১৮.৩৩ ২১.১৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/৫১ ৭/৩৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ১১/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ মে ২০১৯

ডেভিড আর্নেস্ট জেমস আয়রনসাইড (ইংরেজি: David Ironside; জন্ম: ২ মে, ১৯২৫ - মৃত্যু: ২১ আগস্ট, ২০০৫) মোজাম্বিকের লরেনকো মার্কুস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৪ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করেছেন ডেভিড আয়রনসাইড

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

নিখুঁত আকারে ডানহাতে সুইং বোলিং করতেন তিনি। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম থেকে ১৯৫৫-৫৬ মৌসুম পর্যন্ত ডেভিড আয়রনসাইডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। এ সময়ে তিনি ট্রান্সভালের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছিলেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে বর্ডারের বিপক্ষে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৭/৩৬ গড়েন।[]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন ডেভিড আয়রনসাইড। ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড দল দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে আসে। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৩ তারিখে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। অংশগ্রহণকৃত সবগুলো টেস্টেরই প্রতিপক্ষীয় দল ছিল নিউজিল্যান্ড। জোহেন্সবার্গে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অভিষেক ঘটিয়ে প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট লাভ করার কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছিলেন তিনি।[] একে-একে তিনি জিওফ রাবোন, লরি মিলার, ফ্রাঙ্ক মুনি, টনি ম্যাকগিবনগাই ওভারটনকে আউট করেন। ব্যাট হাতে ১৩ ও অপরাজিত রান ১১ রান করার পাশাপাশি ৫/৫১ ও ৩/৭৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ঐ খেলায় তার দল জয়লাভ করেছিল।

পরবর্তী খেলাগুলোয় বিচিত্রমানের বল ব্যবহার করা হয়েছিল। এরফলে বলগুলোকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে প্রেরণে তার জন্যে বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। পঞ্চম টেস্টের পূর্বেই ১৮.৩৩ গড়ে ১৫ উইকেট পেয়েছিলেন। কিন্তু বিমানে আরোহণের কারণে ঐ টেস্টে তার অংশগ্রহণে বাঁধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এভাবেই তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর তিনি আরও দুই বছর ট্রান্সভালের পক্ষে খেলেন।

মূল্যায়ন

[সম্পাদনা]

অদ্যাবধি মোজাম্বিকের একমাত্র টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। তরুণ বয়সে ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। তবে, হাঁটুর সমস্যার কারণে সুইং বোলারে রূপান্তরিত হন। ট্রান্সভাল ও দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় সঙ্গী নিল অ্যাডককের মতে, তার এ সুইংই শাপে বর হয়ে দাঁড়ায়।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। জোহেন্সবার্গে হিসাবরক্ষকের চাকরি করেন। এরপর স্বীয় কন্যাকে নিয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। ২১ আগস্ট, ২০০৫ তারিখে ৮০ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে ডেভিড আয়রনসাইডের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Transvaal v Border 1952–53
  2. "2nd Test: South Africa v New Zealand at Johannesburg, Dec 24–29, 1953"espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৮ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]