ডেভিড নিভন | |
---|---|
David Niven | |
জন্ম | জেমস ডেভিড গ্রাহাম নিভন ১ মার্চ ১৯১০ |
মৃত্যু | ২৯ জুলাই ১৯৮৩ শাতো দেক্স, সুইজারল্যান্ড | (বয়স ৭৩)
সমাধি | শাতো দেক্স সমাধি |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
মাতৃশিক্ষায়তন | রয়্যাল মিলিটারি কলেজ, স্যান্ডহার্স্ট |
পেশা | অভিনেতা, লেখক |
কর্মজীবন | ১৯৩২-১৯৮৩ |
দাম্পত্য সঙ্গী | প্রিমিউলা সুজান রলো (বি. ১৯৪০; বিচ্ছেদ. ১৯৪৬) হিয়োর্দিস পলিনা গেনবের্গ তের্সমেদেন (বি. ১৯৪৮; মৃ. ১৯৮৩) |
সন্তান | ৪ |
জেমস ডেভিড গ্রাহাম নিভন (ইংরেজি: James David Graham Niven; ১ মার্চ ১৯১০ – ২৯ জুলাই ১৯৮৩)[১] ছিলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা ও লেখক। তিনি আ ম্যাটার অব লাইফ অ্যান্ড ডেথ ছবিতে স্কোয়াড্রন লিডার পিটার কার্টার, অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ ছবিতে ফিলিয়াস ফগ এবং দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ছবিতে স্যার চার্লস লাইটন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রসিদ্ধ। তিনি সেপারেট টেবলস্ (১৯৫৮) ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।
লন্ডনে জন্মগ্রহণকারী নিভন হিদারডাউন প্রিপারটরি স্কুল ও স্টুয়ে পড়াশোনা করেন। পরে তিনি স্যান্ডহার্স্টের রয়্যাল মিলিটারি কলেজে সুযোগ পান। স্যান্ডহার্স্টে পড়াশোনার পর তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং হাইল্যান্ড লাইট পদাতিক সৈন্যদলের সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পর্যন্ত কমিশন লাভ করেন। অভিনয়ে আগ্রহ জন্মানোর পর তিনি সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন এবং হলিউডে চলে যান ও সেখানে কয়েকটি চলচ্চিত্রে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি শুরুতে ব্রিটিশ চলচ্চিত্র দেয়ার গোজ দ্য ব্রাইড (১৯৩২)-এ অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে কাজ করেন। সেখান থেকে তিনি একজন প্রতিনিধি জোগাড় করেন এবং ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৫ সালে কয়েকটি চলচ্চিত্রে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে রয়েছে মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের মিউটিনি অন দ্য বাউন্টি (১৯৩৫)। ছবিটি তাকে পরিচিতি পাইয়ে দেয় এবং তিনি স্যামুয়েল গোল্ডউইনের নজরে আসেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে তিনি ব্রিটেনে ফিরে আসেন এবং পুনরায় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ও লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন। ১৯৪২ সালে তিনি সুপারমেরিন স্পিটফায়ার যোদ্ধাদের নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র দ্য ফার্স্ট অব দ্য ফিউ-এ অভিনয় করেন।
নিভন ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ চলচ্চিত্র তারকাদের জনপ্রিয়তা জরিপে দ্বিতীয় জনপ্রিয় তারকার স্বীকৃতি পান। তিনি এ সময়ে আ ম্যাটার অব লাইফ অ্যান্ড ডেথ (১৯৪৬), ক্যারি গ্র্যান্টের সাথে দ্য বিশপ্স ওয়াইফ (১৯৪৭), এবং এনচেন্টমেন্ট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, সবকয়টি চলচ্চিত্র সমাদৃত হয়। নিভন পরবর্তী কালে দি ইলুসিভ পিম্পার্নাল (১৯৫০), দ্য টোস্ট অব নিউ অরলিন্স (১৯৫০), হ্যাপি গো লাভলি (১৯৫১), ও ক্যারিংটন ভি.সি. (১৯৫৫) ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি মাইকেল টডের অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ ছবিতে ফিলিয়াস ফগ এবং দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ছবিতে স্যার চার্লস লাইটন চরিত্রে অভিনয় করেন। অভিনয়ের পাশাপাশিত তিনি লেখালেখিও করেন এবং ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেন।
জেমস ডেভিড গ্রাহাম নিভন ১৯১০ সালের ১লা মার্চ লন্ডনের বেলগ্রেভ মেনশন্সে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এডওয়ার্ড গ্রাহাম নিভন (১৮৭৮-১৯১৫) এবং মাতা হেনরিয়েটা জুলিয়া ডেগাচার।[২] তার জন্ম ১লা মার্চ হওয়ায় এই দিনে পালিত সেন্ট ডেভিডস দিবসের নামানুসারে তার নাম রাখা হয় ডেভিড। নিভন প্রায়ই দাবী করতেন যে তিনি ১৯০৯ সালে স্কটিশ কাউন্টি অ্যাঙ্গাসের কিরিয়েমিরে জন্মগ্রহণ করেছেন, কিন্তু তার জন্ম সনদে তা ভুল প্রমাণ করে।[৩]
নিভনের মাতা হেনরিয়েটা ফরাসি ও ওয়েলসীয় বংশোদ্ভূত। তিনি ওয়েলসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা উইলিয়াম ডেগাচার (১৮৪১-১৮৭৯) একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন, তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেমস ওয়েবারের কন্যা জুলিয়া ক্যারোলিন স্মিথকে বিয়ে করেন। নিভনের মাতামহ উইলিয়াম জুলু যুদ্ধের সময় আইস্যান্ডলোয়ানার যুদ্ধে (১৮৭৯) নিহত হন।[৪]
নিভনের পিতা উইলিয়াম নিভন স্কটিশ বংশোদ্ভূত। তার পিতামহ ডেভিড গ্রাহাম নিভন (১৮১১-১৮৮৪) পার্থশায়ারের সেন্ট মার্টিন্স গ্রামে বসবাস করতেন। উইলিয়াম প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বার্কশায়ার ইয়োম্যানরিতে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯১৫ সালের ২১শে আগস্ট গালিপলি অভিযান কালে নিহত হন। তাকে তুরস্কের গ্রিন হিল সমাধির বিশেষ স্মারক বিভাগের প্লট এফ. ১০ অংশে সমাহিত করা হয়।[৫]