ডেভিড ফ্রলি (বামদেব শাস্ত্রী) | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | মার্কিন |
পেশা | বেদাচার্য, আয়ুর্বেদিক শিক্ষক, বৈদিক জ্যোতিষ, লেখক |
দাম্পত্য সঙ্গী | যোগিনী শম্ভবী চোপড়া |
ওয়েবসাইট | www |
ড. ডেভিড ফ্রলি (বর্তমান নাম বামদেব শাস্ত্রী) হলেন একজন বিখ্যাত পশ্চিমা বৈদিক পণ্ডিত, যিনি ১৯৭০ সালে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হন এবং আচার্য অবধূত শাস্ত্রীর কাছ থেকে “শ্রী বামদেব শাস্ত্রী” নাম গ্রহণ করেন।
ডেভিড ফ্রলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে একজন যোগ শিক্ষক এবং বেদ বিশেষজ্ঞ। তিনি মূলত মহর্ষি দয়ানন্দ কর্তৃক অনুপ্রানিত শ্রী অরবিন্দ এর ভাবধারী যিনি আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বেদিক স্টাডিস,সান ফে,নিউ ম্যক্সিকোর প্রধান। তাঁকে জর্জ ফুরস্টেইন ও এন্ড্রু হার্ভের সাথে পশ্চিমা বিশ্বের সেরা তিনজন বৈদিক পণ্ডিতদের একজন ধরা হয়। ড. ফ্রলি মূলত বেদ,যোগ,আয়ুর্বেদ নিয়ে গবেষণা করেন। ২০০০ সালে তাঁর বিখ্যাত বই 'হাউ আই বিকেম এ হিন্দু' বইটি প্রকাশিত হয়।এছাড়া বিবেকানন্দের সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে তাঁর আরেকটি বই,"Vivekananda,the maker of modern era" প্রকাশিত হয়। তিনি তাঁর অন্যতম গ্রন্থ 'ইন সার্চ অব ক্রেডল অব বেদিক সিভিলাইজেশন' বইটিতে আর্য আগমন তত্ত্বের খন্ডন করেন এবং সমগ্র পৃথিবীতে একসময় বৈদিক সভ্যতা বিরাজ করার প্রমাণ দেন। ২০০২ সালের আগস্ট মাসে The Sonaton Hindu পত্রিকায় তাঁর দুটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় যাতে তিনি পশ্চিমা ম্যাক্স মুলার,গ্রিফিথ ও পূর্বের সায়নদের কর্তৃক বেদের বিকৃত ভাষ্য ও অনুবাদের কঠোর সমালোচনা করেন[১]।
২০১৫ সালে দক্ষিণাঞ্চলীয় শিক্ষা সমিতি (এসআইইএস)দ্বারা ভারতের মুম্বাইয়ে(যা কাঞ্চি কামাকোটি পিঠম অনুমোদিত) তাকে "বিশেষত জাতীয় ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ হিসাবে" "জাতীয় সম্মাননা পুরস্কার" দিয়েছিল আয়ুর্বেদ, যোগ, এবং বৈদিক জ্যোতিষে বিশেষ অবদানের জন্য[২]। ২ জানুয়ারী ২০১৫, ভারত সরকার ফ্রলিকে পদ্মভূষণ সম্মাননা দিয়ে সম্মানিত করে।[৩] ।