ডেভিড বোম | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৭ অক্টোবর ১৯৯২ | (বয়স ৭৪)
জাতীয়তা | আমেরিকান |
নাগরিকত্ব |
|
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পরিচিতির কারণ | |
পুরস্কার | |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | রবার্ট অপেনহাইমার |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন | আলবার্ট আইনস্টাইন জিদু কৃষ্ণমূর্তি |
যাদেরকে প্রভাবিত করেছেন | জন স্টুয়ার্ট বেল, পিটার সেন্জ |
ডেভিড জোসেফ বোম এফআরএস [১] (২০ ডিসেম্বর ১৯১৭ – ২৭ অক্টোবর ১৯৯২) ছিলেন একজন মার্কিন বিজ্ঞানী যাকে বিংশ শতাব্দীর [২] অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে পরিগণিত করা হয় এবং যিনি কোয়ান্টাম তত্ত্ব, স্নায়ুমনোবিজ্ঞান এবং দর্শনে অপ্রচলিত ধারণাসমূহ প্রবর্তন করেছেন।[১]
বোম একটি দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রচার করেন যা হলো: কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান মানে হলো বাস্তবতার পুরাতন কার্টেসিয়ান মডেল - যে দুই ধরনের পদার্থ আছে, মানসিক এবং শারীরিক, যা কোনভাবে মিথস্ক্রিয়া করে - তা খুবই সীমিত ছিল। এর পরিপূরক হিসেবে তিনি "ইমপ্লিকেট" এবং "এক্সপ্লিকেট" নামে একটি গাণিতিক ও শারীরিক তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন। [৩]
তিনি আরও বিশ্বাস করতেন যে মস্তিষ্ক কোষীয় পর্যায়ে, কিছু কোয়ান্টাম প্রভাবের গণিত অনুযায়ী কাজ করে।
বোম প্রযুক্তির বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। কমিউনিস্ট পার্টির সাথে তার সম্পৃক্ততার কারণে তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যেতে হয়। তার বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন বিভিন্ন দেশেব্যাপী পরিব্যাপ্ত ছিল। প্রথমে তিনি ব্রাজিলিয়ান এবং তারপর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে হাঙ্গেরীয় গণজাগরণের পর তিনি মার্ক্সবাদ ত্যাগ করেন।
বোম পেনিসেলভেনিয়ার উইলকেস-বারেতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা স্যামুয়েল বোহম [৪] একজন হাঙ্গেরীয় ইহুদি অভিবাসী এবং মাতা একজন লিথুয়ানিয়ান ইহুদী। তিনি প্রধানত তার বাবার (যিনি ছিলেন একটি আসবাবপত্রের দোকানের মালিক) কাছে বেড়ে উঠেন। একটি ইহুদী পরিবারে বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও, তিনি তার কিশোর বয়সে একটি অ্যাগনস্টিক হয়ে ওঠেন। [৫] বোম পেনসেলভানিয়া স্টেট কলেজ (বর্তমানে পেনসেলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি) থেকে ১৯৩৯ সালে স্নাতক, এবং তারপর ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-এ এক বছরের জন্য পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া,বার্কলি রেডিয়েশন ল্যাবেরটরির রবার্ট ওপেনহাইমার পরিচালিত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন,পরবর্তীতে তিনি সেখান থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, ম্যানহাটন প্রকল্পই প্রথম পারমাণবিক বোমা উৎপাদন প্রচেষ্টায় বার্কলির পদার্থবিজ্ঞান গবেষণাকে গতিশীল করে। যদিও ওপেনহাইমার বোমকে লস আলামোসে (পারমাণবিক বোমা নকশা করার জন্য ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত শীর্ষ গোপন গবেষণাগার) তার সাথে কাজ করতে বলেছিলেন কিন্তু প্রকল্পটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল লেসলি গ্রোভস রাজনীতিতে বোমের পদচারণা এবং উইনবার্গের সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের প্রমাণ দেখে তিনি বোমের নিরাপত্তা ছাড়পত্র অনুমোদন করেন নি।
যুদ্ধের সময়, বোহম বার্কলিতে অবস্থান করেন, যেখানে তিনি পদার্থবিজ্ঞান শেখাতেন এবং প্লাজমা, স এবং সিঙ্ক্রোসাইক্লোট্রনের গবেষণা পরিচালনা করেন। তিনি একটি অস্বাভাবিক ১৯৪৩ সালে তার পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বোম পরবর্তীতে টেনেসির ওক রিজে ওয়াই-১২ কেন্দ্রে কালুট্রনদের জন্য তাত্ত্বিক গণনা করেন, যা ১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়ামের তড়িচ্চুম্বকীয় সমৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়।
১৯৫০ এর দশকের প্রথম দিকে, বোমের প্রদানকৃত গুপ্ত চলকের ব্যাপারে নৈমিত্তিক তত্ত্ব বেশিরভাগ বিজ্ঞানীদের কর্তৃক নেতিবাচকভাবে গৃহীত হয়, যার ফলে পদার্থবিজ্ঞানীদের মধ্যে বোমকে একজন ব্যক্তি হিসেবে এবং বোমের ধারণা উভয়টিকেই উপেক্ষা করার একটি ব্যাপক প্রবণতা দেখা যেত। ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে বোমের ব্যাপারে আগ্রহের একটি উল্লেখযোগ্য পুনরুত্থান দেখা যায়; ১৯৫৭ সালে ব্রিস্টলে কলস্টন রিসার্চ সোসাইটির নবম সিম্পোজিয়াম তার প্রদানকৃত ধারণাকে আবার জনপ্রিয় করে তুলতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ ছিল।
If he identified Jewish lore and customs with his father, then this was a way he would distance himself from Samuel. By the time he reached his late teens, he had become firmly agnostic.