ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেভিড ট্রাভোল্টা মুতেন্দেরা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৯ সলসবারি, রোডেশিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৪৬) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০০ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ?) | ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ বনাম কেনিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৭ জুন ২০০১ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ মে ২০২০ |
ডেভিড ট্রাভোল্টা মুতেন্দেরা (ইংরেজি: David Mutendera; জন্ম: ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৯) সলসবারি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ড ও মিডল্যান্ডস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ডেভিড মুতেন্দেরা।
১৯৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ডেভিড মুতেন্দেরা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মজবুত গড়নের অধিকারী ও দীর্ঘদেহী সিম বোলার ছিলেন তিনি। প্রায় দুই মিটার উচ্চতার অধিকারী ডেভিড মুতেন্দেরা উচ্চতার কারণে অপ্রত্যাশিতভাবে বলকে পিচে ফেলে উঁচুতে নিয়ে আসতে পারতেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অফ-কাটার মারতেন। তবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে খুব কমই সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। আঘাতের সমস্যাসহ ত্রুটিপূর্ণ বোলিংয়ের কারণে তার খেলা ব্যাহত হয়।
হারারের কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত এলাকা থেকে প্রথমদিকের অন্যতম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইউনিয়নের উদ্যোগে পরিচালিত উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের ফলেই তার অংশগ্রহণ সম্ভবপর হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট একাডেমি থেকে নিখাঁদ প্রথম পর্যায়ের সদস্য ও ছাত্র ছিলেন। জিম্বাবুয়ে এ দলের সদস্যরূপে ২০টি খেলায় অংশ নেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও নয়টিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ডেভিড মুতেন্দেরা। ১২ সেপ্টেম্বর, ২০০০ তারিখে বুলাওয়েতে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার। পরের মৌসুমে নিজস্ব একমাত্র টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণের পূর্বেই ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে নাইরোবীতে স্বাগতিক কেনিয়া দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ২৭ জুন, ২০০১ তারিখে বুলাওয়েতে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে তৃতীয় পরিবর্তিত বোলার হিসেবে চৌদ্দ ওভার বোলিং করলেও উইকেট শূন্য অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করেন ও দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে বোলিংয়ের সুযোগ দেয়া হয়নি। এগারো নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ ও ০ রান তুলেন। ঐ খেলায় তার দল সাত উইকেটে পরাজয়বরণ করে। দুই বছরের অধিক সময় নিয়ে নয়টি ওডিআই খেলায় নয় উইকেট পান। তন্মধ্যে, বাংলাদেশের বিপক্ষে পেয়েছিলেন ছয় উইকেট। এছাড়াও, অস্ট্রেলীয় উইকেট-রক্ষক অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে দুইবার বিদেয় করেন।
এপ্রিল, ২০০৪ সালের পর থেকে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের কোন খেলায় অংশ নেননি তিনি। এ পর্যায়ে ম্যাশোনাল্যান্ডের সদস্যরূপে ৫/৬২ পান। প্রথম ইনিংসে তার দল মিডল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩২৯ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নেয়।
বর্তমানে তিনি হারারেভিত্তিক সেন্ট জোন্স কলেজে ক্রিকেট ও ফুটবল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।