ডেভিড স্টোরি | |
---|---|
স্থানীয় নাম | David Malcolm Storey |
জন্ম | ডেভিড ম্যালকম স্টোরি ১৩ জুলাই ১৯৩৩ ওয়েকফিল্ড, ইয়র্কশায়ার |
পেশা | নাট্যকার, চিত্রনাট্যকার, ঔপন্যাসিক |
ভাষা | ইংরেজি |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | স্লেড স্কুল অফ ফাইন আর্ট |
ধরন | নাটক, চলচ্চিত্র, উপন্যাস |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | সেভিলা |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | ম্যান বুকার পুরস্কার |
সক্রিয় বছর | ১৯৬০-২০০৪ |
দাম্পত্যসঙ্গী | বারবারা হ্যামিলটন (বি. ১৯৫৬) |
সন্তান | ৪ জন |
ডেভিড ম্যালকম স্টোরি (ইংরেজি: David Malcolm Storey; জন্ম: ১৩ জুলাই, ১৯৩৩) হলেন একজন ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও চিত্রনাট্যকার। এছাড়া তিনি একজন প্রাক্তন রাগবি খেলোয়াড়। তিনি ১৯৭৬ সালে সেভিলা উপন্যাসের জন্য ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন।
স্টোরি ১৯৩৩ সালের ১৩ জুলাই ইয়র্কশায়ারেরর ওয়েকফিল্ডে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতা ছিলেন ইয়র্কশায়ারের এক খনির কর্মী। তিনি ওয়েকফিল্ডের কিউইজিএস পড়াশুনা করেন। পরে তিনি স্লেড স্কুল অফ ফাইন আর্ট-এ ভর্তি হন এবং সেখানকার খরচ চালানোর জন্য লিডস রাইনোস দলে রাগবি খেলতেন।[২]
১৯৬০ সালে স্টোরি তার প্রথম উপন্যাস দিস স্পোর্টিং লাইফ উপন্যাস রচনা করেন। এই উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৬০ সালে ম্যাকমিলান ফিকশন পুরস্কার লাভ করেন। তার রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস হল ফাইট ইনটু ক্যামডেন। বইটি ১৯৬১ সালে জন লেওয়েলিন রাইস পুরস্কার লাভ করে। তার তৃতীয় উপন্যাস র্যাডক্লিফ। এই উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৬৩ সালে সমারসেট মম পুরস্কার লাভ করেন। পাসমোর (১৯৭২) উপন্যাসের জন্য তিনি জিওফ্রে ফেবার স্মারক পুরস্কার অর্জন করেন। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হল সেভিলা (১৯৭৬)। এই উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৭৬ সালে ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন।[৩] দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৮ সালে অ্যা সিরিয়াস ম্যান এবং ২০০২ সালে অ্যাজ ইট হ্যাপেন্ড উপন্যাস প্রকাশিত হয়। তার সর্বশেষ উপন্যাস থিন আইস স্কেটার ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয়।[৪]
তার প্রথম নাটক দ্য রেস্টোরেশন অফ আরনল্ড মিডলটন ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত হয়। এই নাটকের জন্য তিনি সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নাট্যকার হিসেবে ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ড পুরস্কার লাভ করেন। তার দ্য কনট্রাক্টর (১৯৬৯), নাটক(১৯৭০) ও দ্য চেঞ্জিং রুম (১৯৭২) নাটক তিনটি বছরের সেরা নাটক হিসেবে নিউ ইয়র্ক ক্রিটিক পুরস্কার লাভ করে।[৪] আর্লি ডেজ (১৯৮০), দ্য মার্চ অফ রাশিয়া (১৯৮৯) ও স্টেজেস (১৯৯২) নাটকগুলো রয়্যাল ন্যাশনাল থিয়েটার-এ প্রথম মঞ্চন্থ করা হয়।[৫]
স্টোরি তার প্রথম উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত দিস স্পোর্টিং লাইফ (১৯৬৩) চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য রচনা করেন এবং রাগবি খেলোয়াড় চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন লিন্ডসে এন্ডারসন।[২] এই চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি লিন্ডসের সাথে দীর্ঘ চলচ্চিত্র কর্মজীবনে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে স্টোরির ইন সেলিব্রেশন নাটক ও তার চিত্রনাট্য অবলম্বনে এন্ডারসন নির্মিত চলচ্চিত্রটি ১৯৭৫ সালে আমেরিকান ফিল্ম থিয়েটার ধারাবাহিকের অংশ হিসেবে মুক্তি পেয়েছিল। তার উপন্যাস ও চিত্রনাট্য অবলম্বনে হোম (১৯৭২) ও আর্লি ডেজ (১৯৮১) টেলিভিশন চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল।
স্টোরি ১৯৫৬ সালে বারবারা হ্যামিলটনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির দুই পুত্র ও দুই কন্যা, হেলেন স্টোরি ও কেট স্টোরি।[১]