ডেমোনিক রিজারেকশন | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
উদ্ভব | মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, ভারত |
ধরন | সিম্ফোনিক মেটাল ব্ল্যাকেন্ড ডেথ মেটাল |
কার্যকাল | ২০০০–বর্তমান |
লেবেল | ক্যান্ডেল লাইট রেকর্ডস[১] ডেমনস্টিলার রেকর্ডস[২] |
সদস্য | সহিল দ্যা ডেমন স্টিলার মাখিজা ডেনিয়্যাল রেগো হুসেইন বন্দুকওয়ালা ভিরেন্ড্রো ভিরু কাইথ মেফিস্টো |
প্রাক্তন সদস্য | নিকিতা শাহ নন্দনী আশীস প্রশান্ত প্রদীপ অদ্বিতীয়া ইয়াস পাঠক জেপি ড্যানি এস |
ওয়েবসাইট | demonicresurrection |
ডেমোনিক রিজারেকশন একটি ভারতের মুম্বাইয়ের ব্ল্যাকেন্ড ডেথ মেটাল ব্যান্ড যা ২০০০ সালে গঠিত হয়। ডেমোনিক রিজারেকশন ব্যান্ডের বর্তমান লাইন আপ হলো সহিল দ্যা ডেমন স্টিলার মাখিজা ভোকালে ও রিদম গিটারে, বেসে হুসেইন বন্দুকওয়ালা, ডেনিয়্যাল রেগো লিড গিটারে, ভিরেন্ড্রো ভিরু কাইথ ড্রামসে ও মেফিস্টো কি-বোর্ডে।[৩]
তাদের প্রথম মিউজিক ভিডিও দ্যা আনরিলেন্টিং সার্জ অব ভিনজ্যান্স মুক্তি পায় ২০১০ সালের অ্যালবাম দ্যা রিটার্ন টু ডার্কনেস অ্যালবাম থেকে যা চলচ্চিত্র সনদের কেন্দ্রীয় বোর্ড থেকে ইউ/এ রেটিং পায় এবং ভারতের জাতীয় চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত হতে পারে এমন ছাড় পায়। ২০১০ সালের এপ্রিলে তারা ক্যান্ডেললাইট রেকর্ডসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় আন্তর্জাতিক বণ্টনের জন্য। এর আগে তারা ভারতের ডেমন স্টিলার রেকর্ডসের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিল।[৪] ২০০০ সালে মার্চে ডেমনিক রিজারেকশন ব্যান্ড গঠিত হওয়ার মাত্র ৯ মাসের মাথায় তারা তাদের প্রথম অ্যালবাম ডেমনস্টিলার বের করে। এক্সট্রিম মেটালের ধারার সূত্রপাত হয় ভারতে যেখানে এমন ধারার গান ছিল অপরিচিত। তারা শৌখিনভাবে শুরু করলেও এটা ছিল একটি স্বাধীন ও সাহসী পদক্ষেপ। ব্রাজিলীয় ভ্যাম্পারাইয়ান রেকর্ডস এই অ্যালবামটি ক্যাসেটে তাদের স্থানীয় মার্কেটে ছাড়ে।
২০০২ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায় ও ২০০৩ সালে আবার গঠিত হয়। তাদের গানের ধারা ব্ল্যাকেন্ড ডেথ মেটালের দিকে ধাবিত হয়। ২০০৫ সালে তাদের ২য় অ্যালবাম আ ডার্কনেস ডিসেন্ডস প্রকাশিত হয় যা সারা বিশ্বে সমাদৃত হয় সমালোচক মহলে। মেটাল অবজার্ভার ম্যাগাজিন ১০-এ ৯ দেয় অ্যালবামটিকে, যা ভারতীয় মেটাল গানের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই অ্যালবাম একটি স্বাধীন রেকর্ড লেবেল ডেমনস্টিলারের জন্ম দেয় যা ভারতের শীর্ষ মেটাল ব্যান্ডদের অ্যালবাম প্রকাশ করে এবং যার মালিকানা ডেমোনিক রিজারেকশন ব্যান্ডের দ্যা ডেমনস্টিলারের। তাদের ৩য় বারের স্টুডিও প্রকাশনা একটা ইপি বিয়ন্ড দ্যা ডার্কনেস যা একটা খণ্ডিত অ্যালবাম রাইজ অব দ্যা ইস্টার্ন ব্ল্যাডে প্রকাশ হয়। এখানে পাকিস্তানের ব্যান্ড ডাস্ক ও বাংলাদেশের ব্যান্ড সীভিয়র ডিমেনশিয়ার ইপিও প্রকাশিত হয়। বিখ্যাত প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা স্যাম ড্যুন তার গ্লোবাল মেটাল নামের প্রামাণ্যচিত্রে এই ব্যান্ডকে তুলে ধরেন।[৫] গ্লোবাল মেটালে আরো ছিল ল্যাম্ব অব গড, সেপালচুরা ও ইন ফ্লেমস-এর মতো ব্যান্ডের অংশ গ্রহণ।২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা ওপেথ ব্যান্ডের সাথে গান করে ও আমন আমার্থ ও টেক্সচার ব্যান্ডের সাথে গান গায় ঐ বছরের ডিসেম্বরে।[৬] ২০১০ সালের জানুয়ারিতে তাদের অ্যালবাম দ্যা রিটার্ন টু ডার্কনেস মুক্তি পায় ও এরপরই তারা দ্যা রিজারেকশন ফেস্টিভ্যালে অংশ সারা দেশ জুড়ে। সফল ১০ বছরপূর্তিতে তারা ২০১০ সালে এপ্রিলে নরওয়ের মর্যাদাপূর্ণ ইনফারনো মেটাল ফেস্টিভ্যালে অংশ নেয় ও আগস্টে চেক প্রজাতন্ত্র-এ ব্রুটাস অ্যাসাল্ট ফেস্টিভ্যালে অংশ নেয়।