ডেয়ারডেভিল হলো ম্যাথিউ মাইকেল "ম্যাট" মারডক এর অন্য নাম, একজন অন্ধ উকিল। তার পিছনের গল্পে দেখা যায় একটি রাসায়নিক দূর্ঘটনা তাকে বিশেষ কিছু শক্তি দেয়। নিউইয়র্কেরহেল'স কিচেনেরআইরিশ-আমেরিকান পরিবেশে বড় হওয়া ম্যাট ছোটবেলা থেকেই অপরাধের সাথে পরিচিত। তার বাবা "জ্যাক মারডক" একজন বক্সার। রুক্ষ পরিবশে থাকা সত্ত্বেও সে তার ছেলেকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। জ্যাক পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের হাতে মারা যায় ম্যাচ হারতে অস্বীকার করায়। এতিম ম্যাট একজন রহস্যময় অন্ধ বৃদ্ধ লোক "স্টিক" এর অধীনে মার্শাল আর্ট এবং তার অতিমানবীয় শক্তি উন্নত করার প্রশিক্ষণ নেয়। আইন কলেজ থেকে ভালো নম্বর পেয়ে বের হওয়ার পর ম্যাট হেল'স কিচেন এর অপরাধ সমূহ নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে থাকে। সে একটি দ্বৈত জীবনযাপন করে, যেখানে সে দিনে একজন উকিল থাকে এবং রাতে মুখোশ পরে অপরাধীদের "ন্যায়বিচার" করে। এবং বহুবার তার মুখোমুখি হয় চিরশত্রু বুলসআই এবং কিংপিন।[১০] ম্যাট পরবর্তীতে একজন সফল এবং উকিল হয় কলম্বিয়া আইন বিদ্যালয় থেকে পাশ করে৷ সে এবং তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু এবং রুমমেট "ফগি নেলসন" একসাথে আইন চর্চা করে এবং "নেলসন এন্ড মারডক" ল’ফার্ম প্রতিষ্ঠা করে।
চরিত্রটি মার্ভেল কমিক্স এর ডেয়ারডেভিল #১ (এপ্রিল, ১৯৬৪) -এ অভিষেক ঘটায়।[১৩] এটি সৃষ্টি করে লেখক-সম্পাদক স্ট্যান লি এবং শিল্পী বিল এভারেট[১৪] চরিত্রটি তৈরি করতে সহায়তা করেছে জ্যাক কার্বি, যে ডেয়ারডেভিল এর বিলি ক্লাব এর উদ্ভাবন করেন।[৬] মূল কস্টিউমটি কালো, হলুদ এবং লাল রঙের সমন্বয়ে তৈরি করা[১০]
ইস্যু #৭ এ আধুনিক লাল কস্টিউমটি প্রথমবারের মতো নিয়ে আসে ওয়েলি উড।[১৫][১৬] তার চেয়ে অধিক শক্তিশালী সাব-মেরিনার এর সাথে লড়াই এর সময় এটি চিত্রিত হয়, এবং এটি এই সিরিজের সবচেয়ে আইকনিক কাহিনী তে পরিণত হয়।[১৭][১৮]
ইস্যু #৫৭ তে ম্যাট তার গোপন পরিচয় তার বান্ধবী ক্যারেন পেজ কে জানায়।[১৯] যদিও, এই প্রকাশটি ক্যারেন এর জন্য অনেক ছিল, তাই সে তাদের সম্পর্ক ভেঙে ফেলে।[২০]
ইস্যু #১৪৪ এ জিম শুটার লেখক হিসেবে দায়িত্ব পায়।[২১] শুটার এর সময়মতো কাজ শেষ করা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল, তাই খুব তাড়াতাড়িই লেখালেখির কাজ রজার মেককেনজির হাতে চলে আসে।[২২]
মেককেনজি'র কাজে তার পূর্বের ভৌতিক কমিক্সের উপর কাজ করার অভিজ্ঞতা পরিলক্ষিত হয়, কেননা তখন ডেয়ারডেভিল এর কমিক্স এবং খোদ চরিত্রটি আরো বেশি অন্ধকারের দিকে যেতে থাকে।[২৩]
এর মাঝে ইস্যু #১৫৮ (মে, ১৯৭৯) তে মেককেনজি'র সাথে যোগ দেয় পেন্সিলার ফ্র্যাংক মিলার।[২৪]
ডেয়ারডেভিল ইস্যু #১৮৪ এর প্রচ্ছদ (জুলাই, ১৯৮২)। ফ্র্যাংক মিলার এবং ক্লস জেনসেন দ্বারা অংকিত।
মিলার রজার মেককেনজি'র লেখা অপছন্দ করতেন।[২২] তাই নতুন সম্পাদক ডেনি ও'নেইল মেককেনজি কে বহিষ্কার করে যেন মিলার নিজের মতো করে সিরিজটি লিখতে পারে।[২৫]
মিলার মেককেনজি'র অনুরূপ ধারা বজায় রাখে। পূর্ববর্তী লেখকের কঠোর রূপান্তর তিনি অব্যাহত রেখে, তিনি আরো এক কদম এগিয়ে যান। ম্যাট এর নিবেদিত এবং স্নেহময় পিতাকে একজন মাতাল দেখানো হয়, যে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। এবং এসব কিছুর জন্যই সে বড় হয়ে উকিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।[২৬]
ইস্যু #১৯১'র পর মিলার সিরিজ ছেড়ে দেয়, পরে ও'নেইল সম্পাদক থেকে লেখকের দায়িত্ব পায়।[২৫] মিলার নিয়মিত লেখক হিসেবে ফিরে আসে, এবং ও'নেইল এর সাথে #২২৬ ইস্যুটি লিখে। মিলার এবং শিল্পী ডেভিড মাজুচেল্লি মিলে তৈরি করে প্রশংসিত কাহিনী বর্ন এগেইন যা #২২৭ থেকে #২৩৩ ইস্যু পর্যন্ত চলে।[২৭]
যদিও চরিত্রটি অন্ধ, তার অবশিষ্ট চারটি ইন্দ্রিয় অতিমানবীয় নির্ভুলতা এবং সংবেদনশীলতার সাথে কাজ করে, যা একজন দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন মানুষেরও সীমার বাইরে। অল্প কিছু চরিত্র জানে যে নায়ক দেখতে পারে না। ডেয়ারডেভিল একটি রাডার অনুভূতি তৈরি করেছে[২৯] সেইসাথে ইকোলোকেশন।
লেখক/সহ-স্রষ্টা স্ট্যান লি বলেছেন যে তিনি চিন্তিত ছিলেন যে একজন অন্ধ ব্যক্তির অবশিষ্ট ইন্দ্রিয়গুলিকে যেভাবে তিনি বাড়াবাড়ি করেছেন তাতে অন্ধ লোকেরা ক্ষুব্ধ হবেন, কিন্তু দ্য লাইটহাউস ফর দ্য ব্লাইন্ড-এর মতো সংগঠনের চিঠির মাধ্যমে তার আশঙ্কা দূর হয়, যেখানে বলা হয় যে অন্ধরা তাদের কাছে ডেয়ারডেভিলের কমিক্স শুনে খুব উপভোগ করে।[৩০]
জ্যাক মারডক - ম্যাট এর পিতা৷ নিজে বক্সার হলেও সে তার ছেলেকে অহিংসা শিখিয়েছে। এবং তার অন্ধ ছেলেকে কোনো প্রকার শারীরিক প্রশিক্ষণ নিতে মানা করেছে।[৩১]
ফগি নেলসন - ম্যাট এর কলেজ জীবনের রুমমেট, ল' পার্টনার এবং সবচেয়ে কাছের বন্ধু।[১০]
স্টিক - একজন অন্ধ নিনজা মাস্টার। ম্যাট অন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সে তাকে প্রশিক্ষণ দেয়।[৩২]
ক্যারেন পেজ - ম্যাট এর সহকারী এবং প্রেমিকা।
স্পাইডার-ম্যান - ডেয়ারডেভিল এর কাছের বন্ধু। তারা একে অপরের গোপন পরিচয় সম্পর্কে অবগত।[৩৩]
আয়রন ফিস্ট - ডেয়ারডেভিল এর অন্যতম প্রিয় বন্ধু। পরবর্তীতে এক সময়ে সে ডেয়ারডেভিল এর জায়গা নেয়।[৩৪]
জেসিকা জোন্স - সাবেক সুপারহিরো যে পরবর্তীতে একজন ব্যক্তিগত গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করে। তাকে ম্যাট মারডক এর বডিগার্ড হিসেবে দেখা হয়।[৩৫]
লুক কেজ - সুপারহিরো এবং ম্যাট এর বন্ধু। জেসিকা জোন্স এর স্বামী।[৩৫]
বেন উইরিক - ডেইলি বিউগল এর একজন সাংবাদিক। সে ডেয়ারডেভিল এর পরিচয় জেনে যায়, পরবর্তীতে তার সাথে বন্ধুত্ব করে৷[৩৬]
পানিশার/ফ্র্যাংক ক্যাসল - ডেয়ারডেভিল এর অনিচ্ছাকৃত বন্ধু, যদিও তাদের অন্যায়ের সাথে লড়াই করার দর্শন সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই তাদের একে অপরের প্রতিপক্ষ হিসেবেও দেখানো হয়।[৩৭]
ইলেকট্রা - ম্যাট এর উল্লেখযোগ্য প্রেমিকা। একজন পেশাদার গুপ্ত হত্যাকারী, যাকে খুন করা হয় এবং পরবর্তীতে আবার পুনরুজ্জীবিত করা হয়।[৩৮]
↑DeFalco, Tom; Gilbert, Laura (২০০৮)। "1960s"। Marvel Chronicle A Year by Year History। London, United Kingdom: Dorling Kindersley। পৃষ্ঠা 100। আইএসবিএন978-0756641238। Stan Lee chose the name Daredevil because it evoked swashbucklers and circus daredevils, and he assigned Bill Everett, the creator of the Sub-Mariner to design and draw Daredevil #1.
↑ কখMithra, Kuljit (জুলাই ১৯৯৮)। "Interview With Jim Shooter"। ManWithoutFear.com। মার্চ ২১, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৭, ২০১৩।
↑McKenzie, Roger (লে), Colan, Gene (p), Janson, Klaus (i). "Ring of Death!" Daredevil 156 (January 1979), Marvel Comics
↑Sanderson "1970s" in Gilbert (2008), p. 189: In this issue, the great longtime Daredevil artist Gene Colan was succeeded by a new penciler who would become a star himself: Frank Miller.
↑ কখMithra, Kuljit (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮)। "Interview With Dennis O'Neil"। ManWithoutFear.com। মার্চ ২১, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৭, ২০১৩।
↑Miller, Frank (লে), Miller, Frank (p), Austin, Terry (i). "Roulette" Daredevil 191 (May 1980), Marvel Comics
↑DeFalco "1980s" in Gilbert (2008), p. 226: "'Born Again' was a seven-issue story arc that appeared in Daredevil from issue #227 to #233 (Feb. – Aug. 1986)."
↑Thomas, Roy (আগস্ট ২০১১)। "Stan Lee's Amazing Marvel Interview!"। Alter Ego। Raleigh, North Carolina: TwoMorrows Publishing (104): 10। The one thing that worried me about Daredevil – I wondered if blind people would be offended, because we were exaggerating so much what a blind person can do, and they might have felt that we're making it ridiculous. But I was so pleased – after the books were published, we started getting letters from charities for blind people, like the Lighthouse for the Blind in New York. Letters saying, 'We've been reading these stories to the people here and they love them, and they're so pleased you have a super-hero who is sightless.' And, oh boy, that made me feel great!