ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেরিক রিকাল্ডো প্যারি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কটন গ্রাউন্ড, সেন্ট কিটস ও নেভিস | ২২ ডিসেম্বর ১৯৫৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ডি প্যারি (কাকা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬৪) | ৩ মার্চ ১৯৭৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৩০) | ১২ এপ্রিল ১৯৭৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৯ ডিসেম্বর ১৯৮০ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৫ - ১৯৮২ | লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৬ - ১৯৮১ | কম্বাইন্ড আইল্যান্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮২ - ১৯৮৬ | কেমব্রিজশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ আগস্ট ২০২০ |
ডেরিক রিকাল্ডো প্যারি (ইংরেজি: Derick Parry; জন্ম: ২২ ডিসেম্বর, ১৯৫৪) সেন্ট কিটস ও নেভিসের কটন গ্রাউন্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭০-এর দশকের শেষদিক থেকে ১৯৮০-এর দশকের সূচনাকাল পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে কম্বাইন্ড আইল্যান্ডস ও লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস এবং ইংরেজ ক্রিকেটে কেমব্রিজশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ডেরিক প্যারি।
১৯৭৫-৭৬ মৌসুম থেকে ১৯৮১-৮২ মৌসুম পর্যন্ত ডেরিক পেরি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অফ স্পিনার ছিলেন তিনি। তবে, তার কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী অল-রাউন্ডারের মর্যাদা এনে দেয়। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে কোন শতরানের ইনিংস বাদে ২৬.৮৬ গড়ে রান তুলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে বারোটি টেস্ট ও ছয়টিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ডেরিক প্যারি।[১] ৩ মার্চ, ১৯৭৮ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে ডুনেডিনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১২ টেস্ট নিয়ে গড়া খেলোয়াড়ী জীবনে তেমন ভূমিকা রাখেননি। তবে, ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে ত্রিনিদাদে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে সুন্দর মুহূর্ত উদ্যাপন করেন। দলের বিপর্যয় রোধ করে ব্যক্তিগত সেরা ৬৫ রান করেন দ্বিতীয় ইনিংসে। এরপর, বল হাতে নিয়ে ৫/১৫ পান। তন্মধ্যে, শেষের চারটিই বোল্ড ছিল। অস্ট্রেলিয়া দল ৯৪ রানে গুটিয়ে যায়। এটিই তার টেস্টে একমাত্র পাঁচ-উইকেট লাভের কৃতিত্ব ছিল ও ফ্রাঙ্ক ওরেল ট্রফি লাভ করেন।
ক্যারি প্যাকারের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের কারণে তার খেলার সুযোগ হয়। কিন্তু, অভিষেক পর্বটি বেশ দূর্বলমানের ছিল। প্রথম বলেই শূন্য রানে তিনি বিদেয় নেন। এরপর, প্রথম বলটিই ওয়াইড মেরেছিলেন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসেই অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। এরফলে, ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে দলের সাথে ভারত গমনার্থে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে রাখা হয়। অবশ্য, এ সফরটি তার জন্যে সুখকর হয়নি। ছয় টেস্টে অংশ নিয়ে ১৭০ রান ও নয় উইকেট দখল করেন। তাসত্ত্বেও, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান গমনার্থে তাকে দলের সদস্য করা হয়।
বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট থেকে খেলোয়াড়দের প্রত্যাবর্তন ও ফাস্ট বোলারদের দাপটে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। পাশাপাশি বিদ্রোহী দলের সদস্য হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনে দল নির্বাচকমণ্ডলীর রোষানলে পড়েন। এরপর, ডারহাম সিনিয়র লীগে অংশ নেন। হর্ডন সিসি’র পক্ষে পেশাদারী পর্যায়ে ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ১৫ মৌসুম খেলেন। কেবলমাত্র ১৯৯২ সালে ঐ লীগে খেলেননি তিনি।
১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে তৎকালীন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিষিদ্ধঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদ্রোহী দলের সদস্য ছিলেন। এ সফরে অংশগ্রহণের কারণে খেসারত গুণতে হয় তাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক তিনি আজীবন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। অবশ্য, ১৯৮৯ সালে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছিল।