ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেল মার্টিন বেঙ্কেনস্টেইন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সলসবারি, রোডেশিয়া | ৯ জুন ১৯৭৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম, অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫১) | ২৫ অক্টোবর ১৯৯৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৬ অক্টোবর ২০০২ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৩-২০০৪ | নাটাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪-২০১০ | ডলফিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪-২০১৩ | এমসিসি (জার্সি নং ৪৪) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫-২০১৪ | ডারহাম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ |
ডেল মার্টিন বেঙ্কেনস্টেইন (ইংরেজি: Dale Benkenstein; জন্ম: ৯ জুন, ১৯৭৪) রোডেশিয়ার সলসবারিতে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত ও সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল, ডলফিন্স ও ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহামের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা অফ ব্রেক বোলিং করতেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ারের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন ডেল বেঙ্কেনস্টেইন।
রোডেশিয়ার সলসবারিতে ডেল বেঙ্কেনস্টেইনের জন্ম। এলাকাটি বর্তমানে জিম্বাবুয়ের হারারে এলাকায় অবস্থিত। তার বাবা মার্টিন বেঙ্কেনস্টেইন ১৯৭০-এর দশকে কারি কাপে রোডেশিয়ার পক্ষে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৮০ সালে জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতা লাভের প্রাক্কালে মার্টিন পরিবারসহ দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে চলে যান। সেখানে বেঙ্কেনস্টেইন ডারবান প্রিপারেটরি হাই স্কুলে ভর্তি হন। এরপর ডারবান হাই স্কুল ও মাইকেলহাউজে অধ্যয়ন করেন। ১৯৯২ সালে এসএ স্কুলস দলের অধিনায়কত্ব করেন তিনি। একই বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এসএ কোল্টস দলকে নেতৃত্ব দেন।[১]
১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে ১৮ বছর বয়সে নাটালের সদস্যরূপে বেঙ্কেনস্টেইনের অভিষেক ঘটে। ম্যালকম মার্শালের ছত্রচ্ছায়ায় খেলেন। মার্শালের বিশ্লেষণধর্মী অধিনায়কত্বের ধরন তরুণ বেঙ্কেনস্টেইনকে মুগ্ধ করে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তীকালে মন্তব্য করেন যে, ‘আমার চোখে তিনি অধিনায়কের শিল্পীস্বত্ত্বাকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছেন’।
১৯৯৬ মৌসুম শেষে ম্যালকম মার্শাল নাটাল দল থেকে চলে যাবার সময় বেঙ্কেনস্টেইনের বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। তাকে মার্শালের পরিবর্তে দলের অধিনায়কের দায়িত্বভার প্রদান করা হয়। দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম খেলায় বর্ডারের বিপক্ষে বিরাট ব্যবধানে পরাজিত হয় তার দল। পরবর্তীতে অবশ্য চারদিনের ও একদিনের খেলাগুলোয় জয়ের ধারায় ফিরে আসে নাটাল দল। ২০০৫ মৌসুমে ডারহামের পক্ষে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। প্রথম মৌসুমেই ক্লাবের বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন। এ সময়ে দলীয় অধিনায়ক মাইক হাসি ও পল কলিংউডের অনুপস্থিতির কারণে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সর্বমোট ১৪২৭ রান তুলেন যা ডারহামের জন্য রেকর্ডবিশেষ। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে মাইকেল ডি ভেনুতো এ রেকর্ডটুকু নিজের করে নেন।[২] ২০০৮ সালে ডেল মন্তব্য করেন যে, এটিই তার শেষ ক্রিকেট মৌসুম। এর প্রধান কারণ হিসেবে জানান যে, কনসেটে স্বীয় স্ত্রী জ্যাকুলিন ও সন্তানকে অধিক সময় দিতেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তরুণ অবস্থায় বেঙ্কেনস্টেইন অনেকবার দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তন্মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকান স্কুলস দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ উন্নয়ন দলেরও অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে ঢাকায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড়দের ওডিআইয়ে অভিষেক ঘটে বেঙ্কেনস্টেইনের। উইলস আন্তর্জাতিক কাপ প্রতিযোগিতায় তার দল কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পেরেছিল। ১৯৯৮ সালে কেপটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৯ রান তুলেন।[৩] ২০০২-০৩ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার বিপক্ষে ৩/৫ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান।[৪] তবে দলে তিনি কখনোই স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিতে পারেননি। বেঙ্কেনস্টেইন পরবর্তীকালে জানান যে, তিনি কখনোই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুবিধা লাভের জন্য খেলেননি।[৫]
২০০৯ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন। ইংরেজ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ডারহামের পক্ষে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপনার জন্যেই তাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।
বেঙ্কেনস্টেইন ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ও ডানহাতে অফ ব্রেক কিংবা মিডিয়াম পেস বোলিং করতে পারতেন।
২০১০-এর দশকের শুরুতে সীমিত ওভারের খেলায় হ্যাম্পশায়ার দল ব্যাপক সফলতা পেলেও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বেশ ক্রান্তিলগ্নে পৌঁছেছিল। কোচ জাইলস হোয়াইট ক্রিকেট পরিচালকের পদে নিযুক্তি পেলে ২০১৪ সালের শুরুতে দায়িত্বভার তার কাঁধে পড়ে। ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সালে হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের কোচ হিসেবে মনোনীত হন। এরপূর্বে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকান দল সানফয়েল ডলফিন্সের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।[৬][৭] তাৎক্ষণিক সফলতার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ তারিখে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে জয়ী হয়ে দলটি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। তবে পারিবারিক কারণে জুলাই, ২০১৬ সালে হ্যাম্পশায়ারের কোচের দায়িত্ব থেকে চলে আসেন।[৮] তার পরিবর্তে ক্রেগ হোয়াইটকে আপদকালীন কোচের দায়িত্বভার প্রদান করা হয়।