ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেল রবার্ট হ্যাডলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড | ৬ জানুয়ারি ১৯৪৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ওয়াল্টার হ্যাডলি (পিতা) রিচার্ড হ্যাডলি (ভ্রাতা) ব্যারি হ্যাডলি (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১১৯) | ২৪ জুলাই ১৯৬৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫) | ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৯–১৯৮৪ | ক্যান্টারবারি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ মার্চ ২০১৯ |
ডেল রবার্ট হ্যাডলি (ইংরেজি: Dayle Hadlee; জন্ম: ৬ জানুয়ারি, ১৯৪৮) ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৮ সময়কালে নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন ডেল হ্যাডলি।
বেশ কয়েকবছর আঘাতের কারণে খেলার মাঠে অনুপস্থিত ছিলেন। ১৯৭১-৭২ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত প্লাঙ্কেট শীল্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। ক্যান্টারবারির পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে শীল্ড প্রতিযোগিতায় ১৩.৫০ গড়ে ৩২ উইকেট পান। ১৫.৬৪ গড়ে ২৮ উইকেট লাভকারী স্বীয় ভ্রাতা রিচার্ড হ্যাডলি’র সাথে বোলিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন তিনি।[১] ডেল হ্যাডলি ওতাগোর বিপক্ষে ৬/৪২ ও নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে ৭/৮৮ পেয়েছিলেন।
১৯৭৭-৭৮ মৌসুমের শুরুতে ওয়েলিংটনের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ক্যান্টারবারির সদস্যরূপে ৭/৫৫ পেয়েছিলেন তিনি।[২] ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে শ্রীলঙ্কা দল নিউজিল্যান্ড সফরে যায়। ক্যান্টারবারির সদস্যরূপে তিনি তার সেরা ব্যাটিংশৈলী উপহার দেন। সফরকারীদের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৯ রান তুলে দলের জয়ে সবিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এ ইনিংসই তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে একমাত্র সেঞ্চুরি ছিল।[৩]
১৯৮৩-৮৪ মৌসুম শেষে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেন। ঐ মৌসুমে ১৬.৮৮ গড়ে ১৭ উইকেট পেয়েছিলেন ডেল হ্যাডলি।[৪]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ২৬ টেস্ট ও ১১টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ২৪ জুলাই, ১৯৬৯ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ডেল হ্যাডলি’র। মাত্র তিনটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের পরপরই ইংল্যান্ড, ভারত ও পাকিস্তান গমনকল্পে নিউজিল্যান্ড দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন। তবে, ঐ তিনটি খেলার কোনটিই প্লাঙ্কেট শীল্ডের ছিল না।
ইংল্যান্ড গমন করে দুই টেস্টে অংশ নেন ও ছয় উইকেট পান। ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের সবকটি টেস্টেই সপ্রতিভ অংশগ্রহণ ছিল তার। ছয় টেস্টে ১৫.৯৫ গড়ে ২১ উইকেট দখল করেছিলেন ডেল হ্যাডলি। হায়দ্রাবাদে নিজস্ব ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৪/৩০ গড়েন। ১৬.৮৮ গড়ে ১৫২ রান তুলেন। তন্মধ্যে, করাচীতে একমাত্র টেস্ট অর্ধ-শতক ৫৬ রান তুলেন। এ পর্যায়ে ব্রায়ান ওয়াইলের সাথে অষ্টম উইকেট জুটিতে ৯০ মিনিটে ১০০ রানের জুটি গড়েছিলেন।[৫]
সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে রিচার্ড হ্যাডলি’র অভিষেক ঘটলেও সিরিজের শেষ দুই টেস্টে ডেল হ্যাডলি তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। তবে, কোন ভ্রাতাই খেলাগুলোয় তেমন প্রভাববিস্তার করতে পারেননি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের মাঝখানে নিউজিল্যান্ড দল তাদের ইতিহাসের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেয়। ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় স্বাগতিক দল ২২ রানে পাকিস্তানকে পরাভূত করেছিল। ডেল হ্যাডলি ৪/৩৪ লাভ করেন।[৬]
১৯৭৩ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম-শ্রেণীর খেলায় প্রাপ্ত ৩৮ উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন। ডেল হ্যাডলি সিরিজের তিন টেস্টের সবকটিতেই অংশ নেন। ৩৪.০০ গড়ে ১০ উইকেট পান। তন্মধ্যে, সিরিজের প্রথম টেস্টে ৪/৪২ পেয়েছিলেন।[৭] ঐ খেলায় উভয় ভ্রাতা একযোগে খেলেন। তবে, রিচার্ড হ্যাডলি ঐ সিরিজের এটিই একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।
১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। সিরিজের তিন টেস্টের সবগুলোয় অংশ নেন। এরপর ঐ মৌসুমের গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়া দল ফিরতি সফরে নিউজিল্যান্ড গমন করলে তিন টেস্টেই অংশ নেন তিনি। ছয় খেলায় সর্বমোট ১৬ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ১/৪২ ও ৪/৭৫ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।[৮] ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে মাইক ডেনিসের নেতৃত্বাধীন সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে উভয় টেস্টে অংশ নেন।
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৭৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। গ্রুপ পর্বের তিন খেলায় অংশ নিয়ে মিতব্যয়ী বোলিং করে সাত উইকেট পান। কিন্তু, সেমি-ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটিং তারকা আলভিন কালীচরণের কাছে বেশ নাকানিচুবানী খান।
১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে ভারত দল নিউজিল্যান্ড গমন করে। সিরিজের তিন টেস্টে অংশ নেন তিনি। তন্মধ্যে, ওয়েলিংটন টেস্টে স্বাগতিক দলের বিজয়গাঁথায় তিন উইকেট নিয়ে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন। স্বীয় ভ্রাতা রিচার্ড হ্যাডলি পেয়েছিলেন ১১ উইকেট।[৯] ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। তন্মধ্যে, ওয়েলিংটন টেস্টে নিউজিল্যান্ড দল ইংরেজদের বিপক্ষে ইতিহাসের প্রথম জয় তুলে নেয়। খেলায় তিনি কোন উইকেট পাননি। তবে, রিচার্ড হ্যাডলি ১০ উইকেট পেয়েছিলেন।[১০]
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ১৯৯৯ সালে ইংরেজ ক্রিকেটার ইয়ান বেলকে তার দেখা সেরা ১৬-বছর বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে আখ্যায়িত করেন।[১১] ২০০৮ সালে দুবাইভিত্তিক গ্লোবাল ক্রিকেট একাডেমির কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন।[১২]
নিউজিল্যান্ডের খ্যাতিমান ক্রিকেটার ওয়াল্টার হ্যাডলি সম্পর্কে তার পিতা হন। এছাড়াও, বিখ্যাত ক্রিকেটার রিচার্ড হ্যাডলি ও ব্যারি হ্যাডলি সম্পর্কে তার জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ ভ্রাতা হন।