ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডোনাল্ড জর্জ ব্র্যাডম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কুটামুন্ড্রা, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ২৭ আগস্ট ১৯০৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০১ কেনসিংটন পার্ক, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৯২)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | দ্য ডন, দ্য বয় ফ্রম বোওরাল, ব্রাডেলস্, শ্বেতাঙ্গ হ্যাডলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফু ৮ ইঞ্চি (১৭৩ সেমি)[১] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক, প্রশাসক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জেসি মার্থা মেঞ্জিস (স্ত্রী), জন (পুত্র), শার্লি (কন্যা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১২৪) | ৩০ নভেম্বর ১৯২৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৮ আগস্ট ১৯৪৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯২৭-৩৪ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৫-৪৯ | সাউদার্ন রেডব্যাকস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ জুন ২০০৯ |
স্যার ডোনাল্ড জর্জ ব্র্যাডম্যান, এসি (ইংরেজি: Don Bradman; ২৭ আগস্ট ১৯০৮ - ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০১), যিনি প্রায়শই দ্য ডন নামে অভিহিত, অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। তিনি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছেন।[২] ১৯২৮ থেকে ১৯৪৮ সাল অব্দি ব্র্যাডম্যানের খেলোয়াড়ী জীবনের টেস্ট ব্যাটিং গড় ৯৯.৯৪ ছিল, যা যে কোন ক্রীড়াবিদের যে-কোন বড় ধরনের ক্রীড়ায় সেরা অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।[৩]
কিশোর ব্র্যাডম্যানের একাকী একটি ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও গল্ফ বল নিয়ে অনুশীলন করার গল্প অস্ট্রেলীয় উপকথার অংশ।[৪] নিরিবিলি এলাকায় ক্রিকেট খেলা থেকে অস্ট্রেলীয় টেস্ট দলে ব্র্যাডম্যানের দ্রুতলয়ে উত্থান পর্বে দুই বছরের অধিক সময় লেগেছিল। নিজের ২২তম জন্মদিনের পূর্বেই শীর্ষ রান সংগ্রহের অনেকগুলো রেকর্ড গড়েন, তন্মধ্যে কয়েকটি এখনো টিকে রয়েছে এবং তিনি অস্ট্রেলিয়ার মহামন্দাকালীন সেরা ক্রীড়া তারকার মর্যাদা লাভ করেছিলেন।
২০ বছরের খেলোয়াড়ী জীবনে ব্র্যাডম্যান নিয়মিত এত রান করেছেন যে সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক বিল উডফুলের ভাষায় তিনি "অস্ট্রেলিয়ার তিনজন ব্যাটসম্যানের সমতুল্য" ছিলেন।[৫] তার রান নেওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে ইংল্যান্ড দল বিশেষভাবে তার বিরুদ্ধে বডিলাইন নামক এক ধরনের বিতর্কিত কৌশল অবলম্বন করেছিল। অধিনায়ক ও প্রশাসক হিসেবে ব্র্যাডম্যান আক্রমণাত্মক ও বিনোদনদায়ক ক্রিকেট খেলার অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলেন, এবং তিনি রেকর্ড সংখ্যক দর্শকদের আকৃষ্ট করেছিলেন। তিনি ক্রমাগত তোষামোদ অপছন্দ করতেন এবং এর প্রভাব তিনি অন্যদের সাথে কেমন আচরণ করছেন তাতে প্রভাব ফেলত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আরোপিত বিচ্ছেদের পর তিনি নাটকীয়ভাবে ফিরে আসেন এবং ইংল্যান্ড সফরে অপরাজিত থেকে রেকর্ড ভঙ্গ করা "অপরাজেয়" নামক অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কত্ব করেন।
ব্র্যাডম্যান একজন জটিল, বিপুল উদ্যমী ব্যক্তি ছিলেন এবং কারও সাথে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখতেন না।[৬] তিনি অবসরের পরেও প্রশাসক, নির্বাচক ও লেখক হিসেবে এই খেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তার শেষ সময়ে তিনি একান্তবাসী হয়ে গেলেও তার মতামতকে খুবই প্রাধান্য দেওয়া হত এবং জাতীয় প্রতিমা হিসেবে তার মর্যাদা অক্ষুণ্ন ছিল। টেস্ট খেলা থেকে তার অবসরের প্রায় ৫০ বছর পর ১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড তাকে "সর্বশ্রেষ্ঠ জীবিত অস্ট্রেলীয়" হিসেবে অভিহিত করেন।[৭] ব্র্যাডম্যানের ছবি ডাকটিকিট ও মুদ্রায় সংযুক্ত হয় এবং তার জীবদ্দশাতেই তাকে উৎসর্গীকৃত একটি জাদুঘর চালু করা হয়। ২০০৮ সালের ২৭শে আগস্ট তার জন্ম শতবার্ষিকীতে রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান মিন্ট ব্র্যাডম্যানের চিত্র সংবলিত $৫ স্বর্ণ মুদ্রা প্রকাশ করে।[৮] ২০০৯ সালে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে মরণোত্তর তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ডোনাল্ড জর্জ ব্র্যাডম্যান ১৯০৮ সালের ২৭শে আগস্ট নিউ সাউথ ওয়েলসের কুটামুন্ড্রায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জর্জ ও এমিলি (বিবাহপূর্ব ওয়াটম্যান) ব্র্যাডম্যানের কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন।[৯] তার বড় ভাই ভিক্টর এবং তিন বড় বোন ইসলেট, লিলিয়ান ও এলিজাবেথ মে।[৯] পিতা ও মাতা দুই দিক থেকেই তিনি ইংরেজ বংশোদ্ভূত। তার পিতামহ চার্লস অ্যান্ড্রু ব্র্যাডম্যান সাফোকের উইদার্সফিল্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন।[১০] ১৯৩০ সালে ২১ বছর বয়সী ব্র্যাডম্যান যখন তার প্রথম ইংল্যান্ড সফরে কেমব্রিজে খেলতে যান, তিনি এই অঞ্চলে তার পূর্বপুরুষদের ভিটা খুঁজতে গিয়েছিলেন।[১১] তার প্র-পিতামহদের একজন ১৮২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হওয়া প্রথম ইতালীয়দের একজন ছিলেন।[১২] ব্র্যাডম্যানের পিতামাতা স্টকিনবিঙ্গালের নিকটবর্তী ইয়ো ইয়ো নামক ছোট গ্রামে বাস করতেন। তার মাতা এমিলি কুটামুন্ড্রায় গ্র্যানি শোলৎস নামে একজন ধাত্রীর বাড়িতে তাকে জন্ম দেন। এই বাড়িটি এখন ব্র্যাডম্যানের জন্মস্থান জাদুঘর। এমিলি নিউ সাউথ ওয়েলসের দক্ষিণাঞ্চলীয় উচ্চভূমির মিটাগঙ্গের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯১১ সালে ব্র্যাডম্যানের যখন আড়াই বছর বয়স, তখন তার পিতামাতা মিটাগঙ্গের নিকটবর্তী বাউরালে স্থানান্তরিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে তারা এমিলির পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের কাছাকাছি থাকতে পারেন। তাছাড়া ইয়ো ইয়োতে বসবাস কষ্টকর হয়ে ওঠেছিল।[৯][১৩][১৪]
ব্র্যাডম্যান কিশোর বয়সে বিরামহীনভাবে ব্যাটিং অনুশীলন করতেন। তিনি ব্যাট হিসেবে ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও গলফ বল দিয়ে নিজেই একক ক্রিকেট খেলার আবিষ্কার করেন।[১৫] তাদের বাড়ির পিছনে পাকা করে বাঁধানো স্থানে বাঁকানো ইটের স্ট্যান্ডের উপর পানির ট্যাংক রাখা ছিল। এই ইটের স্ট্যান্ডে বল গিয়ে আঘাত করত, তা দ্রুত গতিতে ও বিভিন্ন কোণে ফেরত আসত এবং ব্র্যাডম্যান পুনরায় সেই বলে আঘাত করতেন। এই ধরনের অনুশীলনের ফলে তার বলে আঘাত করার সময়জ্ঞান ও বল ফেরত আসার সাথে তার প্রতিক্রিয়ার মাত্রা বেড়ে যায়।[১৬] এর চেয়ে অধিক আনুষ্ঠানিক ক্রিকেটে তিনি মাত্র ১২ বছর বয়সেই তার প্রথম শতক হাঁকান। সেই ম্যাচে বাউরাল পাবলিক স্কুলের হয়ে মিটাগং হাই স্কুলের বিরুদ্ধে তিনি অপরাজিত ১১৫ রান করেন।[১][১৭]
ব্র্যাডম্যান ২৩৪টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ৯৫.১৪ গড়ে ২৮,০৬৭ রান এবং ৫২ টেস্টে অংশ নিয়ে ৯৯.৯৪ গড়ে ৬,৯৯৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। নিজস্ব দশম প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় ডন ব্র্যাডম্যানকে দলীয় সঙ্গীরা ব্র্যাডেলস ডাকনামে আখ্যায়িত করেন।[১৮]
১৯ বছর বয়েসে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেকের পর নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে ব্যাট হাতে নিয়ে একের পর এক দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতে থাকেন 'বাউরালের বিস্ময়-বালক'। অবশেষে দুই বছরের মধ্যেই জাতীয় দলে খেলার জন্যে আহুত হন। শেফিল্ড শিল্ডের খেলায় ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো অপরাজিত ৩৪০ রানের ত্রিশতক হাঁকান। এরফলে, এসসিজিতে তিনি নতুন রেকর্ড গড়েন।[১৯] ১৯২৯-৩০ মৌসুমে তিনি ১১৩.২৮ গড়ে রান তুলেন।[২০]
১৯৩০ সালের অভিষেক টেস্টে তিক্ত অভিজ্ঞতায় সিক্ত হন। পোতানো উইকেটে কট আউটে বিদেয় নেন। অস্ট্রেলিয়া দল দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৬৬ রানে গুটিয়ে যায় ও ৬৭৫ রানের সুবিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়। অদ্যাপি, এ ব্যবধানটি টেস্ট রেকর্ড হিসেবে টিকে আছে।[২১] ১৮ ও ১ রান করার পর দল নির্বাচকমণ্ডলী তাকে বাদ দেয় ও পরের টেস্টে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে রাখে। খেলার শুরুতে বিল পন্সফোর্ডের আঘাতের কারণে ব্র্যাডম্যানকে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে ফিল্ডিং করতে হয়। প্রথম টেস্টে ৮৩৬ রানের পর ইংল্যান্ড দল ৬৩৬ রান তুলে। আরএস ডিক হুইটিংটন উল্লেখ করেন যে, সবেমাত্র উনিশ রান করেছেন ও এ অভিজ্ঞতাগুলো তাকে নতুন করে চিন্তাভাবনা করার ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে।[২২]
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট খেলার জন্য ব্র্যাডম্যানকে পুনরায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। ৭৯ ও ১১২ রানের ইনিংস খেলে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন।[২৩] অবশ্য অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত পরের টেস্টেই অস্ট্রেলিয়ার আর্চি জ্যাকসন তার অভিষেক টেস্টে ১৬৪ রান তুলে তার এ রেকর্ড ভঙ্গ করেন। তাসত্ত্বেও, খেলায় তার দল পরাজয়বরণ করেছিল। চতুর্থ টেস্টেও এ ফলাফলের পুণরাবৃত্তি ঘটে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৮ রান সংগ্রহকালে দলের বিজয়ের দিকে ধাবিত কালে রান আউটে বিদেয় নেন।[২৪] এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র রান আউটের ঘটনা ছিল। ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে হেরে যায়।[২৫] ক্রমশঃ উজ্জ্বীবিত হওয়া অস্ট্রেলীয়রা সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়। প্রথম ইনিংসে ১২৩ রান তুলে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক জ্যাক রাইডারের জয়সূচক রান সংগ্রহকালে উইকেটে অবস্থান করছিলেন। ঐ মৌসুমে ব্র্যাডম্যান ৯৩.৮৮ গড়ে ১,৬৯০ রান তুলেছিলেন।[২০]
১৯৩০ সালে ইংল্যান্ড সফরের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাইয়ের খেলায় প্রথম ইনিংসে শেষ ব্যক্তি হিসেবে ১২৪ রান তুলে আউট হন। তার দল ফলো-অনের কবলে পড়ে ও দলনেতা বিল উডফুল ব্র্যাডম্যানকে দ্বিতীয় ইনিংসে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামান। তিনি তাকে প্যাড পড়ে থাকতে বলেন ও ব্যাটিং উদ্বোধনের কথা বলেন। দিনের খেলা শেষ হলে অপরাজিত ২০৫ রান করেন ও ২২৫ রানে আউট হন। এসসিজিতে কুইন্সফল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তৎকালীন বিশ্বরেকর্ড হিসবে অপরাজিত ৪৫২ রান করেছিলেন।[২৬] এ রান সংগ্রহের জন্যে তাকে মাত্র ৪১৫ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করতে হয়েছিল।[২৭]
ইংল্যান্ড গমনে নিশ্চিতরূপেই তার স্থান ছিল। তবে, ব্র্যাডম্যানের আনঅর্থোডক্স ভঙ্গীমার কারণে ধীরগতিসম্পন্ন ইংরেজ পিচে সফল হবেন কি-না তা সন্দেহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দল নির্বাচক ডিক জোন্স তার মূল্যায়নে মন্তব্য করেন যে, জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়ের ন্যায় তার কথাবার্তা দেখতে বেশ ভালো লাগতো, সবকিছুই তিনি মনোযোগের সাথে শ্রবণ করতেন ও প্রত্যুত্তরে ধন্যবাদজ্ঞাপন করতেন।[২৮]
সেরা দল হিসেবেই স্বাগতিক ইংল্যান্ড দল ১৯৩০ সালের অ্যাশেজ সিরিজ জয় করে।[২৯] যদি অস্ট্রেলীয়রা এর অতিরিক্ত আশাবাদ ব্যক্ত করতো তা মূলতঃ তরুণ ব্যাটসম্যানদ্বয় - ব্র্যাডম্যান ও জ্যাকসনের উপর বহুলাংশে নির্ভরশীল ছিল। তবে, দর্শনীয় ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনের দিক দিয়ে জ্যাকসন শ্রেয়তর ছিলেন।[৩০] ওরচেস্টারের নিউ রোডে ২৩৬ রান তুলেন সফর শুরু করেন ও মে মাসের মধ্যে সহস্রাধিক প্রথম-শ্রেণীর রান তুলেন। এরফলে, পঞ্চম খেলোয়াড় ও প্রথম অস্ট্রেলীয় হিসেবে এ দূর্লভ কৃতিত্বের সাথে স্বীয় নামকে জড়িয়ে রাখেন।[৩১]
ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩১ রান তুলেন। তাসত্ত্বেও, স্বাগতিক ইংল্যান্ড দল খেলায় জয়লাভ করে। লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টে তার ব্যাটিংয়ের মান নয়াদিগন্তে প্রবেশ করে। ২৫৪ রান তুলে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের দিকে নিয়ে যান ও সিরিজে সমতা বিরাজ করে। জীবনের শেষদিকে ব্র্যাডম্যান মন্তব্য করেন যে, এ ইনিংসটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা ইনিংস ছিল। বস্তুতঃ প্রত্যকে বলই যেখানে যাবার দরকার ছিল, সেদিকেই চলে যায়।[৩২] উইজডেনে মন্তব্য করা হয় যে, দ্রুতলয়ে পায়ের কাজ ও উইকেটের চারদিকে শক্তিপ্রয়োগ ও নিখুঁততায় বলকে প্রেরণ করেন। পাশাপাশি, নির্ভুল ও মনোযোগের সাথে বলকে মাঠে ফেলেছিলেন।[৩৩]
১১ জুলাই, ১৯৩০ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রিকেটের ইতিহাসে পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে মধ্যাহ্নবিরতীর পূর্বেই সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন।[৩৪] অন্যরা হচ্ছেন - ভিক্টর ট্রাম্পার (১৯০২), চার্লি ম্যাককার্টনি (১৯২৬), মজিদ খান (১৯৭৬), ডেভিড ওয়ার্নার (২০১৬), শিখর ধাওয়ান (২০১৮)।
১৯৩২-৩৩ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে। এ সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশগ্রহণের পূর্বে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়াকে তাদের কৌশল অবলম্বনের বিষয়টি গোপন রাখেন। সফরকারীরা হ্যারল্ড লারউড ও বিল ভস-সহ পাঁচজন ফাস্ট বোলারের নাম ঘোষণা করে। তবে, একটি দলে এতগুলো ফাস্ট বোলার অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি বেশ অপ্রত্যাশিত ছিল। ব্র্যাডম্যান বুঝতে পারেন যে, তারা নতুন কিছু প্রয়োগ করতে চলছে। প্রস্তুতিমূলক খেলায় দলটি প্রথম নতুন ধরনের বোলিং আক্রমণ পরিচালনা করে। ঐ খেলায় ব্র্যাডম্যানকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল।[৩৫] সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্র্যাডম্যান খেলেননি। ফলে, কিছুসংখ্যক ক্রীড়ামোদীর ধারণা পোষণ করেছিলেন যে, তিনি হয়তোবা স্নায়ুবিক বৈকল্যে ভুগছেন। ইংল্যান্ড দল নতুন ধরনের বোলিং আক্রমণ পরিচালনা করে ও জয়লাভ করলেও অস্ট্রেলীয় দল খুশী।[২৭]
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্রগুলো এ ধরনের বোলিং কৌশল অবলম্বনকে বডিলাইন নামে বর্ণনা করে। কেননা, বলগুলো প্রায়শঃই শরীর বরাবর ধেয়ে আসছিল। এতে বলা হয় যে, এ ধরনের বোলিং অখেলোয়াড়ীসূলভ ও বিপজ্জ্বনক। ১৯৩০-এর দশকে ব্যাটসম্যানেরা মাথায় কোন ধরনের সুরক্ষা আবরণ বা হেলমেট ব্যবহার করতেন না। তাসত্ত্বেও সফরটি এগুতে থাকে। দ্বিতীয় টেস্টে ব্র্যাডম্যান খেলেন। প্রথম ইনিংসের প্রথম বলেই তিনি বোল্ড হন। তিনি ভেবেছিলেন বলটি বেশ উঁচু হয়ে আসছে। ফলে তিনি এক প্রান্তে চলে যান ও বাউন্ডারি হাঁকানোর লক্ষ্যে ব্যাট স্পর্শ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, যতোটা ভেবেছিলেন ততোটা হয়নি। স্ট্যাম্পে আঘাত হলে প্রথমবারের মতো খেলোয়াড়ী জীবনের প্রথম বলে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথে ফিরে আসতে হয়। দর্শকেরা মনোবেদনায় ভুগে। কেননা, তারা ব্র্যাডম্যানের স্বভাবসূলভ শতরানের দিকে দৃষ্টিপাত করেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ ভালো খেলে ১০৩ রান তুলেন। বিল ও’রিলি ও বার্ট আইরনমঙ্গারের চমৎকার বোলিংয়ের কল্যাণে স্বাগতিক দল জয়লাভ করতে সমর্থ হয়। অস্ট্রেলীয়রা এ ধরনের বোলিংয়ের বিপক্ষে রুখে বেশ তৃপ্তি লাভ করে।[৩৬]
ইংল্যান্ড দল সিরিজের শেষ তিন টেস্টে জয়লাভ করে। তখনও সফরকারীরা বডিলাইন বরাবর বোলিং করে যাচ্ছিল। ব্র্যাডম্যান তার ব্যাটিংয়ের ধরন পরিবর্তন করেন ও রান সংগ্রহ করতে বেশ চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। এ পর্যায়ে ইংল্যান্ড দল লেগ সাইডে অনেক ফিল্ডার রাখে। ফলে, ব্র্যাডম্যান কিছুটা পিছিয়ে বলকে অফ সাইডে ফেলে রান সংগ্রহের পরিকল্পনা করেন। ঐ অঞ্চলে খুব কম ফিল্ডার ছিল। এটি স্বাভাবিক পরিকল্পনার অংশ না হলেও এ সিরিজে তিনি ৫৬.৫৭ গড়ে রান তুলেছিলেন। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান জ্যাক ফিঙ্গলটনের মতে, এ সফরের ফলে ব্র্যাডম্যানের ব্যাটিংয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে ও খেলোয়াড়ী জীবনের বাকীটা সময় বহমান থাকে।[৩৭]
খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেবার পর পরবর্তী তিন দশক প্রশাসক, দল নির্বাচক ও লেখক হিসেবে আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন। খেলার জগৎ থেকে দূরে থাকা সত্ত্বেও তার মতামত বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেতো ও তার মর্যাদা জাতীয় পর্যায়ের সমতুল্য ছিল। টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে অবসর গ্রহণের প্রায় ৫০ বছর পর ১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড তাকে ‘সর্বশ্রেষ্ঠ জীবিত অস্ট্রেলীয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।[৩৮] ডাকটিকিট ও মুদ্রায় ব্র্যাডম্যানের প্রতিচিত্র উপস্থাপন করা হয়। জীবিত অবস্থাতেই তার জীবনের সবগুলো দিক জাদুঘরে উৎসর্গ করা হয়েছিল। ২৭ আগস্ট, ২০০৮ তারিখে রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান মিন্ট কর্তৃপক্ষ তার প্রতিকৃতিসহ $৫ ডলার মূল্যমানের স্বর্ণমুদ্রা প্রকাশ করে।[৩৯] ২০০৯ সালে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে তাকে মরণোত্তর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
১৯৪৯ সালে অর্জন করলেন সম্মানসুচক 'নাইটহুড'। উইজডেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারের পুরস্কারটি একাই দশবার এবং গ্যারি সোবার্স আটবার লাভ করেছিলেন। এছাড়া, অন্য কোন খেলোয়াড়ই তিনবারের বেশি লাভ করতে পারেননি। ২০০০ সালে শতাব্দীর সেরা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড দলে তাকে অধিনায়ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৪০]
ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান | ৯৯.৯৪
|
গ্রেইম পোলক | ৬০.৯৭
|
জর্জ হ্যাডলি | ৬০.৮৩
|
হার্বার্ট সাটক্লিফ | ৬০.৭৩
|
এডি পেন্টার | ৫৯.২৩
|
কেন ব্যারিংটন | ৫৮.৬৭
|
এভারটন উইকস | ৫৮.৬১
|
ওয়ালি হ্যামন্ড | ৫৮.৪৫
|
গারফিল্ড সোবার্স | ৫৭.৭৮
|
জ্যাক হবস | ৫৬.৯৪
|
ক্লাইড ওয়ালকট | ৫৬.৬৮
|
লেন হাটন | ৫৬.৬৭
|
উৎস: ক্রিকইনফো যোগ্যতা: পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ী জীবনে কমপক্ষে ২০ ইনিংস। |
ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক, দল নির্বাচক, লেখক, প্রশাসক - প্রতিটি ক্ষেত্রেই ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান নিজেকে খ্যাতির তুঙ্গে নিয়ে যান। জেফ থমসন মন্তব্য করেছিলেন যে, ডনের বিপক্ষে বোলিং করার বিষয়টি তার জন্যে সেরা মুহূর্ত ছিল। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে অ্যাডিলেডে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে খেলাকালে ঘটে। থমসনের ভাষায়, স্যার ডন স্যুট পরিহিত অবস্থায় কোন প্যাড বা গ্লাভসবিহীন অবস্থায় শুধুমাত্র ব্যাট নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন তার বয়স ৭০-এর কাছাকাছি এবং প্রায় ৩০ বছর তিনি ব্যাট ছাড়া দিনাতিপাত করেছিলেন। তাসত্ত্বেও, তিনি চমৎকার খেলেছিলেন।
২০ বছরব্যাপী খেলোয়াড়ী জীবনে ক্রমাগত রান সংগ্রহ করে ব্র্যাডম্যান নিজেকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন যে, সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক বিল উডফুলের কণ্ঠ থেকে ‘অস্ট্রেলিয়ার তিনজন ব্যাটসম্যানের সমতুল্য’ শব্দগুচ্ছ নিঃসৃত হয়েছিল।[৫] ইংল্যান্ড দলের বডিলাইন নামীয় বিতর্কিত কৌশল গ্রহণের ফলে তার রানের ধারা কিছু বক্রতায় রূপ নেয়।
অধিনায়ক ও প্রশাসক হিসেবে ব্র্যাডম্যান আক্রমণাত্মক ও বিনোদনধর্মী ক্রিকেট খেলায় আগ্রহী ছিলেন। অনেকবার তিনি দর্শকদের কাছ থেকে বাহ্বা পেয়েছেন। তোষামোদকে তিনি একেবারেই ঘৃণা করতেন। এরফলে, অন্যদের সাথে তার বেশ তিক্ততাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। জটিল কিন্তু ক্ষিপ্রগতিসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে জোড়ালো ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ার দিকে মনোযোগী ছিলেন না।[৬]
ব্যক্তিগত সফলতায় মনোযোগ দেয়ার কারণে কয়েকজন দলীয় সঙ্গী, প্রশাসক ও সাংবাদিকদের সাথে আন্তরিকতাশূন্য পরিবেশের সৃষ্টি করে। তাদের মতে, তিনি উদাসীন ও সাবধানী ছিলেন।[৪১] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর খেলার জগৎ থেকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও দূরে থাকার পর নাটকীয়ভাবে নিজেকে মেলে ধরেন। ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্বে মনোনীত হন ও দলটি অপরাজেয় নামধারী হয়। ঐ সফরে তার দল কোন খেলায় পরাজিত হয়নি।
ব্রাডম্যান তার সবগুলো টেস্টই অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলেছেন। ভারতীয় উপমহাদেশের স্পিনবহুল ট্র্যাকে তার খেলা হয়নি। ভারতের বিরুদ্ধে ক্রিকেট জীবনের অন্তিমে এসে ঘরের মাঠে একটি টেস্ট সিরিজ খেলেন। ভারতীয় দলের পক্ষে বিজয় হাজারে তার উইকেট পান।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ফাস্ট বোলার রডনি হগ মনে করেন, এই যুগে ক্রিকেট খেললে হয়তোবা বিশ্বের সেরা গড়ে পৌঁছুতে পারতেন না ডন ব্র্যাডম্যান। তিনি বলেন, আমি জানি এটা অসম্মানের। কিন্তু পরিসংখ্যান দেখে আমার মনে হয়, আধুনিক যুগে খেললে ব্র্যাডম্যান এতটা সফল হতেন না।[৪২]
ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। জেসি মার্থা মেঞ্জিস নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। ১৯৯৯ সালে জেসি’র মৃত্যু পূর্ব-পর্যন্ত ৬৫ বছর সাংসারিক জীবন অতিবাহিত করেন।[২৭][৪৩] বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীর গুণগান গেয়েছেন তিনি। একবার তিনি বলেছিলেন, জেসি’র সহযোগিতা ছাড়া আমি কখনো এ অর্জনগুলোর সন্ধান পেতাম না।[৪৪] এ দম্পতির তিন সন্তান ছিল। কিন্তু, তাদের পারিবারিক জীবন শান্তিময় ছিল না। তাদের প্রথম সন্তান কিশোর অবস্থায় ১৯৩৬ সালে মৃত্যুবরণ করে।[৪৫] দ্বিতীয় সন্তান জন ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করলেও পোলিও ভাইরাস সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়।[৪৬] তৃতীয় সন্তান শার্লি ১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ করলেও জন্মকালীন সেরিব্রাল পালসি রোগে আক্রান্ত।[৪৭]
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০১ তারিখে ৯২ বছর বয়সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের দেহাবসান ঘটে।
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "TelOb" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
অস্ট্রেলিয়ার স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান বিতর্কাতিতভাবে সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান এবং ২০শ শতাব্দীর সেরা ক্রিকেটার ছিলেন। শুধু ডব্লিউ. জি. গ্রেস এই খেলায় কয়েক বছর তার সমমর্যাদা থেকেও দূরবর্তী অবস্থানে ছিলেন।
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ভিক রিচার্ডসন বিল ব্রাউন |
অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৩৬/৩৭-১৯৩৮ ১৯৪৬/৪৭-১৯৪৮ |
উত্তরসূরী বিল ব্রাউন লিন্ডসে হ্যাসেট |
পূর্বসূরী বিল ডোলিং বব প্যারিস |
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ১৯৬০-১৯৬৩ ১৯৬৯-১৯৭২ |
উত্তরসূরী ইউয়ার্ট ম্যাকমিলান টিম কল্ডওয়েল |
রেকর্ড | ||
পূর্বসূরী অ্যান্ডি স্যান্ডহাম |
বিশ্বরেকর্ড – টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ৩৩৪ ব ইংল্যান্ড, লিডস, ১৯৩০ |
উত্তরসূরী ওয়ালি হ্যামন্ড |
পূর্বসূরী বিল পন্সফোর্ড |
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ৪৫২* নিউ সাউথ ওয়েলস ব কুইন্সল্যান্ড, সিডনি, ১৯২৯-৩০ |
উত্তরসূরী হানিফ মোহাম্মদ |