ডোনাল্ড ম্যাকনিকোল সাদারল্যান্ড, ওসি (ইংরেজি: Donald McNichol Sutherland;(১৭ জুলাই ১৯৩৫-২০ জুন ২০২৪[১])[২] হলেন একজন কানাডীয় অভিনেতা। পাঁচ দশকের অধিক সময়ের কর্মজীবনে তিনি একটি সম্মানসূচক অস্কার, একটি এমি পুরস্কার, দুটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারসহ একাধিক সমালোচনামূলক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
সাদারল্যান্ড দ্য ডার্টি ডজন (১৯৬৭), ম্যাশ (১৯৭০), কেলিস হিরোজ (১৯৭০), ক্লুট (১৯৭১), ডোন্ট লুক নাউ (১৯৭৩), ক্যাসানোভা (১৯৭৬), নাইটিন হান্ড্রেড (১৯৭৬), অ্যানিমেল হাউজ (১৯৭৮), ইনভেশন অব দ্য বডি স্ন্যাচারস (১৯৭৮), অর্ডিনারি পিপল (১৯৮০) ও আই অব দ্য নিডল (১৯৮১) ছবিতে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি পরবর্তীতে কানাডার অন্যতম সম্মানিত, ফলপ্রসূ ও ভিন্নধর্মী চরিত্র অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি পরবর্তীতে বেশ কিছু সফল চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় ও পার্শ্ব ভূমিকায় অভিনয় করেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আ ড্রাই হোয়াইট সিজন (১৯৮৯), জেএফকে (১৯৯১), আউটব্রেক (১৯৯৫), আ টাইম টু কিল (১৯৯৬), উইদাউট লিমিটস (১৯৯৮), দি ইটালিয়ান জব (২০০৩), কোল্ড মাউন্টেন (২০০৩), প্রাইড আন্ড প্রেজুডিস (২০০৫), অরুরা বোরেলিস (২০০৬), ও দ্য হাঙ্গার গেমস চলচ্চিত্র ধারাবাহিক (২০১২-২০১৫)।
সাদারল্যান্ড আটটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং টেলিভিশন চলচ্চিত্র সিটিজেন এক্স (১৯৯৫) ও পাথ টু ওয়ার (২০০২)-এর জন্য দুটি পুরস্কার অর্জন করেন। সিটিজেন এক্স-এর জন্য তিনি একটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারও অর্জন করেন। তিনি ১৯৮১ সালের থ্রেশল্ড চলচ্চিত্রের জন্য কানাডীয় একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি হলিউড ওয়াক অব ফেম ও কানাডীয় ওয়াক অব ফেম সম্মানে ভূষিত হন। কয়েকটি গণমাধ্যম ও কয়েকজন চলচ্চিত্র সমালোচক তাকে অস্কারের মনোনয়ন না পাওয়া সেরা অভিনয়শিল্পীদের একজন বলে গণ্য করেন।[৩][৪][৫] ২০১৭ সালে তিনি চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার লাভ করেন।[৬]