ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ড্যারেন স্কট লেহম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | গলার, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | বুফ, শ্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৭৫ মিটার (৫ ফুট ৯ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ক্রেগ হোয়াইট (শ্যালক), জেএস লেহম্যান (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৭৮) | ২৫ মার্চ ১৯৯৮ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১২৮) | ৩০ আগস্ট ১৯৯৬ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৭–১৯৮৯ | দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯০–১৯৯৩ | ভিক্টোরিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৪–২০০৭ | দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৭–২০০৬ | ইয়র্কশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ | ডেকান চার্জার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ জুন ২০১৩ |
ড্যারেন স্কট লেহম্যান (ইংরেজি: Darren Scott Lehmann; জন্ম: ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার গলার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ও বিখ্যাত আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট তারকা। প্রধানত তিনি আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমায় বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন ও দলের প্রয়োজনে বামহাতি অর্থোডক্স বোলিং করতেন।
শারীরিক যোগ্যতা ও আধুনিককালের স্বাস্থ্যসচেতনতাকে অবজ্ঞা করে চলতেন ‘বুফ’ ডাকনামে পরিচিত ড্যারেন লেহম্যান। ২০১৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজ শুরুর মাত্র দুই সপ্তাহ পূর্বে দলকে ভাল ফলাফল আনয়ণের লক্ষ্যে মিকি আর্থারকে বরখাস্ত করে[১] তাকে অস্ট্রেলিয়ার কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়।[২] এছাড়াও, আইপিএলে কিংস ইলাভেন পাঞ্জাবের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।[৩]
১৯৯০-এর দশকে তিনি পুরোপুরি জাতীয় নির্বাচকদের দৃষ্টির বাইরে ছিলেন। সাবেক কোচ সিম্পসনের সুনজরে ছিলেন না লেহম্যান। মূলতঃ তার স্থূলকায় দেহ ও শারীরিক গড়নই এর জন্য দায়ী। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার পর সিম্পসন অবসর নেন। এরপরই নিয়মিত বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতির ফলে শারজায় ৩০ আগস্ট, ১৯৯৬ তারিখে শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে লেহম্যানের। কিন্তু ১৯৯৭/৯৮ মৌসুমে সাবেক অধিনায়ক মার্ক টেলর দল থেকে বাদ পড়ার পূর্ব পর্যন্ত মাঝে মাঝে দলে খেলতেন।
১৯৯৮-এর শুরুতে ভারত সফরে ওডিআই দলে অর্ধ-নিয়মিত খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ২৫ মার্চ, ১৯৯৮ সালে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে অভিষিক্ত হন। ২০০১ সাল থেকে একদিনের আন্তর্জাতিকে জাতীয় দলে ও ২০০২ সালের শেষদিকে টেস্ট ক্রিকেটে নিয়মিত সদস্য হন তিনি। কিন্তু ২০০৫ সালের শুরুতে দল থেকে বাদ পড়ে যান। নভেম্বর, ২০০৭ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।[৪]
লেহম্যানের ব্যাটিং শৈলী শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন ছিল। লেগ স্টাম্পের বাইরে গার্ড নিতেন ও বোল্ড হবার পূর্ব মুহুর্তে পিছনে কিংবা সামনে এসে বলকে মোকাবেলা করতেন। এ ধরনের অদ্ভুত কৌশল প্রয়োগের ফলে শর্ট পীচের বলের জন্য তাকে পিছনে যাবার দরকার পড়তো না। স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করতেন। এছাড়াও নিজে কার্যকরী বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার হিসেবে বোলিং করতেন। ২০০৪ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে ৯২ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট লাভ করেন।
২০০১ সালে অ্যান্ডি ক্যাড্ডিক, মার্টিন বিকনেল, জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও মার্ক অ্যালেনের সাথে তিনিও উইজডেন কর্তৃক পাঁচজন বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের একজনরূপে মনোনীত হন।[৫]
২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। অবিশ্বাস্যভাবে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডকে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের মতে, ড্যারেন তাদের হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে সাহায্য করেছিলেন। এছাড়াও তিনি অস্ট্রেলিয়াকে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ বিজয়ে পরোক্ষভাবে সহায়তা করেন।
সাবেক ইংরেজ ক্রিকেটার ক্রেগ হোয়াইটের বোন আন্দ্রিয়াকে ড্যারেন লেহম্যান বিয়ে করেন।