অনুশীলন সমিতি |
---|
প্রভাব |
অনুশীলন সমিতি |
উল্লেখযোগ্য ঘটনা |
সম্পর্কিত প্রসঙ্গ |
ঢাকা অনুশীলন সমিতি ছিল অনুশীলন সমিতির একটি শাখা। এটি তদনীন্তন পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে ১৯০৫ সালের নভেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। পুলিনবিহারী দাশের নেতৃত্বে আশি জন সদস্য নিয়ে এই দল প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর পূর্ববঙ্গ প্রদেশে অতি দ্রুত ৫০০ শাখা স্থাপন করে ঢাকা অনুশীলন সমিতি। এই দলের প্রধান কার্যালয় ছিল ঢাকা শহরেই। পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন ছোটো ছোটো বিপ্লবী দলকে গ্রাস করে এই দল অচিরেই কলকাতার মূল সংস্থাটিকে ছাপিয়ে যায়। ঢাকা অনুশীলন সমিতির শাখা স্থাপিত হয় যশোর, খুলনা, ফরিদপুর, রাজনগর, রাজেন্দ্রপুর, মোহনপুর, বরভালি, বাখরগঞ্জ ও অন্যান্য অঞ্চলে। এই দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০-এর মতো। পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে ঢাকা অনুশীলন সমিতি অহিংস অন্দোলনের বদলে সহিংস স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করে।[১][২] পরে অরবিন্দ ঘোষের সঙ্গে মতবিরোধের জন্য এই দল ভেঙে যুগান্তর দল গঠিত হয়। যুগান্তর দলের কার্যকলাপ ঢাকা অনুশীলন সমিতি যথেষ্ট মনে করেনি। এই দল একাধিক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ডি. সি. অ্যালানের হত্যাকাণ্ড। ১৯১৩ সালে বরিশাল ষড়যন্ত্র মামলায় পুলিনবিহারী দাশ গ্রেফতার হওয়ার পর এই দলের কার্যকলাপ কিছুটা স্তিমিত হয়ে পরে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এই দল জার্মান ষড়যন্ত্রের ঘটনায় অংশ নেবে না বলে স্থির করে। যুদ্ধের পর এই দল সহিংস আন্দোলন চালিয়ে যায়। এই দলের কোনো কোনো সদস্য অন্য বিপ্লবী দল গঠন করেন।