তাকাশি মিইকে | |
---|---|
三池 崇史 | |
জন্ম | ইয়াও, ওসাকা, জাপান | ২৪ আগস্ট ১৯৬০
পেশা | পরিচালক,প্রযোজক, লেখক, অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৯১-বর্তমান |
তাকাশি মিইকে(জন্মঃ ২৪ আগস্ট, ১৯৬০), একজন জাপানি জনপ্রিয় এবং বিতর্কিত চলচ্চিত্র নির্মাতা। ১৯৯১ সালে তার প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় একশয়েরও বেশি চলচ্চিত্র, নাটক প্রযোজনা করেছেন। ২০০১ এবং ২০০২ সালে মিইকে একা পনেরটি প্রযোজনা পরিচালনা করার জন্য স্বীকৃত করা হয়। তার ছবিসমূহ হিংসাত্মক এবং উদ্ভট বা অবাস্তব থেকে নাটুকে পরিবার-বন্ধুদের বিন্যস্ত হয়ে থাকে।
মিইকে জন্মগ্রহণ করেন জাপানের ইয়াও অঞ্চলে একটি দরিদ্র কোরিয়ান অভিবাসী পরিবারে। তার পরিবার মূলত প্রবাসিত হয় কুমামোতো প্রশাসনিক অঞ্চলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তারা দাদা চীন এবং কোরিয়ার দায়িত্ব পান, এবং তার পিতা সিওল এ জন্মগ্রহণ করেন যেটি বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া। তার বাবা একজন ঢালাইকারী এবং মা দর্জি হিসাবে কাজ করেন।[১] যদিও তিনি বলেন যে তিনি খুবই কম শ্রেণীকক্ষে গেছেন, তিনি ইয়কুহামা ভোকেশনাম স্কুল অব ব্রডকাস্ট এন্ড ফিল্ম থেকে স্নাতকোত্তর করেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা শুহাই ইমামুরা এর তত্ত্বাবধানে, যিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা এবং ডিন।[২]
মিইকের প্রথম ছবি টেলিভিশন প্রযোজনা, কিন্তু তিনি সরাসরি ভিডিওতে বা ভি-সিনেমাতে কিছু মুক্তি দেন। মিইকে এখনও থেমে থেমে ভি-সিনেমা পরিচালনা করেন উৎপাদনের স্বাধীনতার জন্য যেখানে কঠোর সেন্সরশিপ কম হয় বলে।
মিইকে “তৃতীয় গুন্ডা”(দাইসান ন গকুডও) ছবি মুক্তির মাধ্যমে হলে ছবি প্রকাশ শুরু করেন।[৩] কিন্তু “শিনজুকু ত্রায়াড সোসাইটি”(১৯৯৫) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ছবিটিতে প্রদর্শীত হয় তার চরম রচনাশৈলী এবং ধরন, এবং এর সফলতা তাকে আরো বড় বাজেটের ছবি করার স্বাধীনতা দেয়।“শিনজুকু ত্রায়াড সোসাইটি” তার ব্লাক সোসাইটি থ্রিলজির প্রথম ছবি, বাকি দুটো হচ্ছে “রেইনি ডগ”(১৯৯৭) এবং “লে লাইন্স”(১৯৯৯)। সে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি পায় ২০০০ সালে তার ভৌতিক ছবি “অডিশন”(১৯৯৯), তার আক্রমণাত্মক ছবি ইয়াকুজাএপিক “ডেড অর এলাইব”(১৯৯৯) এবং তার বিতর্কমূলক মাঙ্গা রূপান্তর “ইচি দ্য কিলার” যেটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবসমূহে প্রদর্শিত হয়। এরপর থেকে সে পশ্চিমা বিশ্বে বিশাল ভক্তকূল লাভ করে যেটি বাড়তে চলে তার কাজের ডিভিডি প্রকাশের মাধ্যমে। তার ছবি “হারা-কিরিঃ ডেথ অব এ সামুরাই” ২০১১ কান চলচ্চিত্র উৎসব প্রতিযোগিতায় প্রদর্শিত হয়।[৪] তার ২০১৩ সালের ছবি “স্ট্রো শিল্ড” মনোনীত হয় পাল্ম দর এ ২০১৩ কান চলচ্চিত্র উৎসবে।[৫]
মিইকে তার কাজের আন্তর্জাতিকভাবে দুর্নাম রয়েছে চরম হিংস্রতা এবং যৌন বিকৃতি চিত্র বর্ণনার জন্য। তার অনেক ছবিতেই গ্রাফিক এবং ভয়াবহ রক্তপাত দেখা যায়। তার বেশির কাজেই চিত্রিত করা হয় অপরাধীদের(বিশেষ করে ইয়াকুজা) বা গাইজিন, জাপানি প্রবাসী। সে তার কৌতুকপ্রদতা এবং সেন্সরশিপের সীমানাকে যতটুকু প্রসারিত করা যায় এর জন্যও পরিচিত।
তার কুখ্যাতির পরও, মিইকে বিভিন্ন ধরনের ছবি পরিচালনা করেছেন। সে শিশুতোষ চলচ্চিত্র “জেব্রাম্যান” এবং “দ্য গ্রেইট ইয়োকাই ওয়ার”, ভ্রমণ চলচ্চিত্র “দ্য বার্ড পিপল অব চীন”, কিশোর নাটক “দ্য হ্যাপিনেস অব দ্য কারাকুরিস” এবং এমনকি ভিডিও গেইম রূপান্তর “লাইক এ ড্রাগন” এবং “এইস এটর্নি” নির্মাণ করেছেন।
যেখানে মিইকের ছবি কম সুগম এবং লক্ষ থাকে চরম আক্রমণাত্নক চলচ্চিত্র ভক্তদের যেমন “ইজো”, এবং “থ্রী... এক্সট্রিমস”, এছাড়াও সে কিছু মূলধারার এবং বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র নির্মান করেছে যেমন ভৌতিক ছবি “ওয়ান মিসড কল” এবং কাল্পনিক-নাট্য ছবি “দ্য গ্রেইট ইয়কাই ওয়ার”।
মিইকে বলেছে যে “স্টারশিপ ট্রুপারস” তার প্রিয় চলচ্চিত্র।[৬] সে শ্রদ্ধা করে চলচ্চিত্র পরিচালক “আকিরা কুরুসাওয়া”,[৭] হিদো গসা,[৭][৮] ডেভিড লাইঞ্চ,[৯] ডেভিড ক্রনেনবার্গ,[৯] এবং পল ভারহোভেন[৯]
তার সবচেয়ে বিতর্কমূলক ছবিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে অতি-হিংস্রাত্নক চলচ্চিত্র “ইচি দ্য কিলার”(২০০১), যেটি মাঙ্গা থেকে রূপান্তর করা হয়। আর এই অতিরিক্ত হিংস্রাত্নতা কাজে লাগানো হয় ছবির প্রচারণায় এটির আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ২০০১ সালে, যেখানে দর্শকদের "বমি করার থলে দেয়া" হয় যেটি শোভা পায় চলচ্চিত্রের লগোর সাথে প্রচারণার জন্য[১০] (ছবিটির একটি দৃশ্য ছিল যে একটি চরিত্র অন্যটিকে আধটুকরো করে কেটে ফেলে বা মাথা কেটে ফেলা)।
কিন্তু ব্রিটিশ বোর্ড অব ফিল্ম ক্লাসিফিকেশন অসম্মতি জানায় ছবিটি বিনাকর্তনে যুক্তরাজ্যে প্রকাশ করতে, বর্ণনা করে এটি মহিলাদের প্রতি চরম মাত্রার যৌন সহিংসতা রয়েছে। হং কং এ ছবিটির প্রায় ১৫ মিনিট কেটে প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ছবিটি বিনাকর্তনে প্রকাশ পায়।
২০০৫ সালে তাকাশি মিইকে পরিচালনা করেন একটি মঞ্চ নাটক “ডেমন পন্ড” নামে।[১১][১২]