তাকি উদ্দিন আস-সুবকি | |
---|---|
উপাধি | শায়খুল ইসলাম[১] কাজিউল কুজাত[২] |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | হিজরি ৬৮৩ (১২৮৪ খ্রিঃ)[১] |
মৃত্যু | হিঃ ৭৫৬ (১৩৫৫ খ্রিঃ)[১] |
ধর্ম | ইসলাম |
যুগ | মধ্য যুগ |
অঞ্চল | আরব |
ব্যবহারশাস্ত্র | শাফেঈ |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | আশআরি[৩][৪] |
প্রধান আগ্রহ | ইসলামি ধর্মতত্ত্ব, হাদিস,ইসলামি আইন |
মুসলিম নেতা | |
যার দ্বারা প্রভাবিত | |
যাদের প্রভাবিত করেন |
তাকি উদ্দিন সুবকি বা তাকি উদ্দিন আস-সুবকি যার পূর্ণ নাম আবুল হাসান তাকি উদ্দিন আলী ইবনে আবদুল কাফি ইবনে আলী আল-খাজরাজি আল-আনসারি আস-সুবকি (আরবি: أبو الحسن تقي الدين علي بن عبد الكافي بن علي الخزرجي الأنصاري السبكي ; ইংরেজি: Abu Al-Hasan Taqī al-Dīn Ali ibn Abd al-Kafi ibn Ali al-Khazraji al-Ansari al-Subkī) সুন্নি ইসলামের একজন বিখ্যাত[৫] শাফিঈ পন্ডিত,[৬] হাদিস বিশারদ, আইনবিদ,[৭] কুরআনের ব্যাখ্যাকারী এবং দামেস্কের প্রধান বিচারক ছিলেন।[৬]
তাকি উদ্দিন আস-সুবকি মিশরের সুবক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। [১]
তিনি কায়রোতে অসংখ্য ইসলামি পণ্ডিতদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করেন। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের তাফসির সম্পর্কীয় জ্ঞান অর্জন করেন আল-ইরাকি-এর কাছ থেকে। ইলমে হাদিস বা হাদিসের জ্ঞান লাভ করেন আল-দিমিয়াতির কাছ থেকে। আর কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক পবিত্র আইন বা ইলমে ফিকহ অর্জন করেন ইবনে রিফা'-এর নিকট থেকে।[৪] এভাবে প্রমুখ পণ্ডিতদের দ্বারা তিনি তার শিক্ষা অর্জন করেন। এছাড়াও তাকি উদ্দিন সুবকি সিরিয়া, আলেকজান্দ্রিয়া ও হিজাজের সুবিজ্ঞ আলেমদের কাছ থেকে হাদিসের জ্ঞান অর্জনের জন্যও ভ্রমণ করেছিলেন।[৪] অবশেষে তিনি ইবনে তুলুন মসজিদ-এ অবস্থিত মনসুরিয়া স্কুলে শিক্ষকতা করেন।[১]
তিনি তরুণ বয়সে মিশর ত্যাগ করে চলে যান সিরিয়ায় এবং সেখানে তিনি বসতি স্থাপন করেন। একসময় তিনি সিরিয়ার প্রধান বিচারক নিযুক্ত হন। দামেস্কের উমাইয়া মসজিদের দায়িত্ব প্রপ্ত হন এবং বেশ কয়েকটি কলেজে অধ্যাপকের পদে তিনি উন্নীত হন।[৩] তাকি উদ্দিন আস-সুবকি সতের বছর পর্যন্ত প্রধান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবশেষে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে আসীন হন তারই ছেলে তাজ উদ্দিন আস-সুবকি। তাকি উদ্দিন কায়রোতে ফিরে আসেন।[৪]
তিনি ৭৫৬ হিজরি মুতাবেক ১৩৫৫ খ্রিষ্টাব্দে কায়রোতে মৃত্যু বরণ করেন।