বিজ্ঞান ও দর্শনের আলোচনায় তাত্ত্বিক পরিকাঠামো বা তাত্ত্বিক প্রসঙ্গ-কাঠামো বলতে ইতিহাসের কোনও নির্দিষ্ট পর্বে জ্ঞান-বিজ্ঞানের কোনও বিশেষ শাখাতে অধীত বিষয়বস্তুগুলিকে কীভাবে অনুধাবন করা হয় এবং এতে ব্যবহৃত গবেষণা পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক অনুমিতি, বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও গৃহীত আদর্শগুলির পেছনে কী ধরনের অন্তর্নিহিত সার্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে, সেই সংক্রান্ত কিছু তত্ত্বের সমষ্টিকে বোঝায়।[১][২] কোনও গবেষক বা বিজ্ঞানী তাঁর বিশেষায়িত ক্ষেত্রের তাত্ত্বিক পরিকাঠামোর অধীনে থেকে কাজ করলে তাঁর সৃষ্টিকর্মগুলিকে সিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়।
বিজ্ঞানের ইতিহাসবিদ টমাস কুন ১৯৬২ সালে প্রকাশিত দ্য স্ট্রাকচার অভ সায়েন্টিফিক রেভোলিউশন্স ("বৈজ্ঞানিক বিপ্লবসমূহের কাঠামো") নামক গ্রন্থে সর্বপ্রথম ইংরেজি "প্যারাডাইম" (Paradigm) শব্দটিকে "তাত্ত্বিক পরিকাঠামো" অর্থে ব্যবহার করেন। কুনের মতে বৈজ্ঞানিক তাত্ত্বিক পরিকাঠামো বলতে "সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত কিছু বৈজ্ঞানিক সাফল্যকে বোঝায়, যেগুলি কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিজ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আদর্শ সমস্যাবলি ও তাদের সমাধান প্রদান করে।"[৩] কুনের মতে, বৈজ্ঞানিক তাত্ত্বিক পরিকাঠামো নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করে:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)