তাবু | |
---|---|
জন্ম | তাবাসসুম ফাতিমা হাশমী ৪ নভেম্বর ১৯৭১[১] হায়দ্রাবাদ, তেলেঙ্গানা, ভারত |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৮২–বর্তমান |
কর্ম | সম্পুর্ণ তালিকা |
আত্মীয় | আজমী পরিবার |
পুরস্কার | সম্পুর্ণ তালিকা |
সম্মাননা | পদ্মশ্রী (২০১১) |
তাবাসসুম ফাতিমা হাশমী (জন্ম: ৪ নভেম্বর ১৯৭১),[২][৩] যিনি তাঁর মঞ্চনাম তাবু দ্বারা অধিক পরিচিত, হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি মূলত হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তেলুগু ও তামিল চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি দু'বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন এবং রেকর্ড সংখ্যক চারটি সমালোচক পুরস্কারসহ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে সাতটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১১ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য চতুর্থ সর্বোচ্চ ভারতীয় বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী তে ভূষিত হন।[৪]
তাবু মাচিস (১৯৯৬), কালাপানি (১৯৯৬), কাদাল দেসাম (১৯৯৬), বিরাসত (১৯৯৭), হু তু তু (১৯৯৯), কান্দুকোন্দাইন কান্দুকোন্দাইন (২০০০), অস্তিত্ব (২০০০), চাঁদনী বার (২০০১), মকবুল (২০০৩), চিনি কম (২০০৭), হায়দার (২০১৪), দৃশ্যম (২০১৫), এবং আন্ধাধুন (২০১৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সমাদৃত হন। তিনি কয়েকটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে পার্শ্ব ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে কুলি নাম্বার ওয়ান (১৯৯১), বিজয়পথ (১৯৯৪), হকীকত (১৯৯৫), নিন্নে পেল্লাদাতা (১৯৯৬), জিৎ (১৯৯৬), সজন চলে সসুরাল (১৯৯৬), বর্ডার (১৯৯৭), চাচী ৪২০ (১৯৯৭), বিবি নাম্বার ওয়ান (১৯৯৯), হাম সাথ-সাথ হ্যাঁয় (১৯৯৯), হেরা ফেরি (২০০০), ফনা (২০০৬), জয় হো (২০১৪) ও গোলমাল অ্যাগেইন (২০১৭)। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার কাজের মধ্যে রয়েছে নাট্যধর্মী দ্য নেমসেক (২০০৭) চলচ্চিত্রে মিরা নায়ার এবং অ্যাং লি'র ব্যবসাসফল রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র লাইফ অব পাই (২০১২)।
তাবু ১৯৭১ সালের ৭ই নভেম্বর হায়দ্রাবাদের এক মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তার পিতা জামাল হাশমী ও মাতা রিজওয়ানা। তার জন্মের কিছুদিন পরেই তার বাবা ও মাতার মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তার মাতা একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। তার মাতামহ মোহাম্মদ আহসান গণিত বিভাগের অধ্যাপক এবং তার মাতামহী ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। তাবু হায়দ্রাবাদের সেন্ট আনস হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৩ সালে তাবু মুম্বাই আসেন এবং সেখানে দুই বছরের জন্য সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনা করেন।[৬]
তিনি শাবানা আজমি, তানবী আজমী ও বাবা আজমী'র ভাইঝি এবং অভিনেত্রী ফারাহ নাজের ছোট বোন। তিনি উর্দু, তেলুগু, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারেন।[৭]
তাবাসসুম "তাবু" হাশমী ১৯৮২ সালে বাজার ছবিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন এবং পরবর্তীতে চৌদ্দ বছর বয়সে হাম নওজয়ান (১৯৮৫) ছবিতে অভিনয় করেন। উক্ত ছবিতে তিনি দেব আনন্দের কন্যার চরিত্রে অভিনয় করেন।[৮] অভিনেত্রী হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ভেঙ্কটেশের সঙ্গে তেলুগু ভাষায় কুলি নম্বর ওয়ান। ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে বনি কাপুর দুটি বড় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, সেগুলো হল রূপ কী রানী চোরোঁ কা রাজা ও প্রেম। প্রেম ছবিতে তাবু সঞ্জয় কাপুরের বিপরীতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে আট বছর সময় লাগে এবং কিন্তু ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়।[৯]
মুখ্য অভিনেত্রী হিসেবে তাবুর প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র ছিল পেহলা পেহলা প্যায়ার (১৯৯৪), যা তেমন সাড়া পায়নি।[৮] তিনি অজয় দেবগনের বিপরীতে বিজয়পথ (১৯৯৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রথম খ্যাতি অর্জন করেন এবং এই কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।[১০] এরপর তার বেশকয়টি চলচ্চিত্র বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। যদিও এই সময়ে তিনি ব্যবসাসফল হকীকত (১৯৯৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[১১]
১৯৯৬ সালের তাবু অভিনীত আটটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। সজন চলে সসুরাল ও জিৎ চলচ্চিত্র দুটি ব্যবসাসফল হয় এবং সেই বছরের শীর্ষ পাঁচ ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।[১২] জিৎ ছবিতে তুলসী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[১৩] মাচিস চলচ্চিত্রটি সমাদৃত হয় এবং পাঞ্জাবি নারী চরিত্রে তার কাজ প্রশংসিত হয়। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[১৪] একই বছর তিনি দক্ষিণেও কয়েকটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি আক্কিনেনি নাগার্জুনার বিপরীতে তেলুগু ভাষার ব্লকবাস্টার নিন্নে পেল্লাদাতা ছবিতে অভিনয় করেন, যা শ্রেষ্ঠ তেলুগু ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। তিনি প্রিয়দর্শন পরিচালিত মালয়ালম ভাষার মহাকাব্যিক কালাপানি চলচ্চিত্রে মোহনলাল ও প্রভু গনেসনের সাথে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন। ছবিটি বিপুল সমাদৃত হয় এবং এতে তার কাজ তাকে দক্ষিণ ভারতে প্রশংসিত করে। তিনি কাথির পরিচালিত তামিল ভাষার ব্যবসাসফল কাদাল দেসাম ছবিতে আব্বাস ও বিনীতের বিপরীতে অভিনয় করেন।
১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তাবুর প্রথম চলচ্চিত্র হল জে. পি. দত্ত পরিচালিত বর্ডার। এটি ১৯৭১ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের লঙ্গেওয়ালা যুদ্ধের সত্য ঘটনা নিয়ে নির্মিত। ছবিতে তিনি সানি দেওলের চরিত্রের স্ত্রীর ভূমিকায় একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি ১৯৯৭ সালের অন্যতম ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ছিল।[১৫] এই বছর তিনি সমাদৃত বিরাসত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি বক্স অফিসে সফল হয় এবং তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেন ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[১৬] একই বছর তিনি মণি রত্নমের তামিল ভাষার রাজনৈতিক নাট্যধর্মী ইরুভার চলচ্চিত্রে মোহনলাল, ঐশ্বর্যা রাই, প্রকাশ রাজ ও গৌতমীর সাথে অভিনয় করেন।[১৭]
১৯৯৮ সালে তিনি তামিল ভাষার থায়িঁ মানিকোদি, তেলুগু ভাষার আলবিদা মা আলবিদে ও হিন্দি ভাষার ২০০১: দো হাজার এক ছবিতে অভিনয় করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি একাধিক অভিনয়শিল্পী-সমৃদ্ধ বিবি নাম্বার ওয়ান ও হাম সাথ-সাথ হ্যাঁয় ছবিতে অভিনয় করেন। এই দুটি ছবি যথাক্রমে সেই বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র।[১৮] একই বছর তিনি হু তু তু ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেন ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[১৯][২০]
২০০০ সালে তাবু অভিনীত হাস্যরসাত্মক হেরা ফেরি বক্স অফিসে সফল হয়[২১] এবং নাট্যধর্মী অস্তিত্ব সমাদৃত হয়।[২২] অস্তিত্ব ছবিতে তার অভিনয় সম্পর্কে হিন্দুস্তান টাইমস-এর সমালোচক অর্নব ব্যানার্জী লিখেন, "তাবু অসাধারণ এবং অভিনেত্রী হিসেবে তার দক্ষতা পুনরায় প্রমাণ করেছেন। তার চিত্তাকর্ষক আবেগ, তার উজ্জ্বল মুখ এবং তার সূক্ষ্ম শান্ত চরিত্র, তাকে তার চলচ্চিত্র জীবনে অনেক দূরে নিয়ে যাবে। এই ছবিতে তার অভিনয়ের জন্য তিনি তার তৃতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেন।[২৩] দক্ষিণে তাবু তামিল ভাষায় রাজীব মেনন পরিচালিত কান্দুকোন্দাইন কান্দুকোন্দাইন ও প্রিয়দর্শন পরিচালিত স্নেগিথিয়ে এবং মালয়ালম ভাষার কভার স্টোরি চলচ্চিত্রে কাজ করেন।[২৪]
২০০১ সালে তাকে মধুর ভান্ডারকর পরিচালিত চাঁদনী বার চলচ্চিত্রে বার নৃত্যশিল্পী চরিত্রে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি প্রশংসিত হন এবং তার দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[২৫] সমালোচক তরণ আদর্শ লিখেন, "চাঁদনী বার সব মিলিয়ে তাবুর চলচ্চিত্র এবং এতে কোন দ্বিমত নেই। তার অভিনয় সর্বোচ্চ নম্বর এবং অবশ্যই সকল পুরস্কার পাওয়ার দাবীদার।"[২৬] রেডিফ-এ সলিল কুমার লিখেন, "যদি কোন একজন অভিনেত্রী একটি চলচ্চিত্রের ভার বহন করতে পারে, তবে সেটা তাবু। স্বাভাবিকভাবেই তিনি তার জৌলুস দেখিয়েছেন।[২৭]
২০০৬ সালে তিনি আমির খান ও কাজল দেবগন অভিনীত ফনা চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি সেই বছরের চতুর্থ সর্বাধিক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ছিল।[২৮] ২০০৭ সালে তাবু তার প্রথম হলিউড চলচ্চিত্র দ্য নেমসেক-এ অভিনয় করেন। মিরা নায়ার পরিচালিত চলচ্চিত্রটিতে তাকে ইরফান খানের বিপরীতে দেখা যায়। ছবিটি বিদেশে ব্যবসাসফল হয়।[২৯] তিনি চিনি কম চলচ্চিত্রে ৩৪ বছর বয়সী এক নারী চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি ৬৪ বছয় বয়সী অমিতাভ বচ্চনের প্রেমে পড়েন।[৩০] সমালোচকগণ এই চলচ্চিত্র নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। সমালোচক তরণ আদর্শ লিখে, "দুর্দান্ত সহশিল্পীর অধিপত্য বিস্তারকারী উপস্থিতির পরও তাবু তার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।"[৩১] যদিও ছবিটি ভারতে মোটামুটি রকমের সফল হয়, তবে এটি বিদেশে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে, বেশ আয় করে।[৩২] চিনি কাম ছবিতে তার কাজের জন্য তাবু শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তার চতুর্থ ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেন।[৩৩] এছাড়া এই বছর তাকে শাহরুখ খান অভিনীত ওম শান্তি ওম ছবিতে "দিওয়াঙ্গি দিওয়াঙ্গি" গানে ক্ষণিক চরিত্রে দেখা যায়।[৩৪]
২০০৮ সালে পুণ্ডলিকের জীবনী নিয়ে তেলুগু ভাষায় নির্মিত পাণ্ডুরাঙ্গাডু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণের মনোনয়ন লাভ করেন।[৩৫]
২০১২ সালে তাবু তার দ্বিতীয় হলিউড চলচ্চিত্র লাইফ অব পাই-এ কাজ করেন। অ্যাং লি পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে তিনি কেন্দ্রীয় চরিত্রের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৩ সালে তার অভিনীত একমাত্র চলচ্চিত্র হল তামিল-হিন্দি দোভাষী চলচ্চিত্র ডেভিড। বিজয় নাম্বিয়ার পরিচালিত ছবিটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন বিক্রম। ২০১৪ সালে তিনি মূলধারার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন এবং তেলুগু ভাষার চলচ্চিত্র স্টালিন-এর হিন্দি পুনর্নির্মাণ জয় হো চলচ্চিত্রে সালমান খানের বড় বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেন। ছবিটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া লাভ করে এবং বক্স অফিসে সফল হয়। এরপর তিনি বিশাল ভরদ্বাজের শেকসপিয়ারীয় হ্যামলেট নাটকের হিন্দি উপযোগকরণ হায়দার-এ নাম ভূমিকায় অভিনয় করা শাহিদ কাপুরের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতে তিনি "রসে ভাল্লে" গানে কণ্ঠও দেন।[৩৬] ছবিটি সমালোচনামূলক ও বাণিজ্যিকভাবে সফলতা অর্জন করে এবং গজলা মীর চরিত্রে তাবুর কাজ সমাদৃত হয়। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখে ছবিটির শিরোনাম হায়দারের পরিবর্তে গজলা হওয়া উচিত ছিল।[৩৭] এই ছবিতে তার কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।[৩৮]
২০১৫ সালে তিনি নিশিকান্ত কামাতের হত্যা-রহস্য চলচ্চিত্র দৃশ্যম-এ ১৬ বছর পর অজয় দেবগনের সাথে কাজ করেন। ছেলের হত্যা মামলার তদন্তকারী কঠোর পুলিশ কর্মকর্তা চরিত্রে তার কাজ বিপুল প্রশংসিত হয় এবং তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৩৯] একই বছর তিনি মেঘনা গুলজারের পরিচালনায় অভিষেক চলচ্চিত্র তালবার-এ ক্ষণিক চরিত্রে অভিনয় করেন।[৪০] পরের বছর তিনি চার্লস ডিকেন্সের গ্রেট এক্সপেক্টেশন্স উপন্যাস অবলম্বনে অভিষেক কাপুরের ফিতুর ছবিতে অদিত্য রায় কাপুর ও ক্যাটরিনা কাইফের সাথে অভিনয় করেন। এতে তাকে মিস হ্যাভিশাম চরিত্রের অনুকরণে বেগম হজরত চরিত্রে দেখা যায়। যদিও ছবিটি বক্স অফিসে ব্যবসা করতে পারেনি, তবে তার অভিনয় ইতিবাচক পর্যালোচনা অর্জন করে।[৪১]
রাশভারী চলচ্চিত্রে থেকে বাইরে এসে তাবু ২০১৭ সালে রোহিত শেঠীর হাস্যরসাত্মক গোলমাল অ্যাগেইন ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি এতে ঘোস্ট বাস্টার চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এই ছবিতে তার অন্তর্ভুক্তিকে "অপ্রত্যাশিত আনন্দ" বলে আখ্যায়িত করেন এবং তিনি চলচ্চিত্রটিকে টেনে নিয়ে গেছেন বলে উল্লেখ করেন।[৪২] ছবিটি সেই বছরের শীর্ষ আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় প্রবেশ করে। পরের বছর তিনি মুকুল অভয়ঙ্করের লোমহর্ষক মিসিং ছবিতে মনোজ বাজপেয়ীর বিপরীতে অভিনয় করেন। যদিও রক্ষণশীল মায়ের ভূমিকায় তার কাজ সমাদৃত হন, ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়।[৪৩] তিনি শ্রীরাম রাঘবনের ব্ল্যাক কমেডি আন্ধাধুন ছবিতে অভিনয় করে পুনরায় সকলের নজর কাড়েন। তিনি আয়ুষ্মান খুরানার সাথে সমান্তরালভাবে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন। সিমি চরিত্রে তার অভিনয়ের জন্য বিপুল প্রশংসিত হন[৪৪][৪৫] এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৪৬] একই বছর তিনি রাজকুমার হিরানী পরিচালিত সঞ্জয় দত্তের জীবনীভিত্তিক সঞ্জু চলচ্চিত্রে ক্ষণিক চরিত্রে অভিনয় করেন।[৪৭]
২০১৯ সালে তাবু আকিব আলীর প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র দে দে প্যায়ার দে-এ অজয় দেবগন ও রাকুল প্রীত সিঙের সাথে[৪৮] এবং আলী আব্বাস জাফরের থ্রিলার চলচ্চিত্র ভারত-এ সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফের সাথে অভিনয় করেন।[৪৯] সেপ্টেম্বর মাসে তিনি প্রায় এক দশক পরে ত্রিবিক্রম শ্রীনিবাস ও অল্লু অর্জুনের সাথে আলা ভাইকুন্টাপুরামলো দিয়ে তেলুগু চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন।[৫০] এছাড়া তিনি পারিবারিক বিনোদন প্রদানকারী জওয়ানি জানেমন চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হন। এতে তিনি প্রায় ২০ বছর পর সাইফ আলি খানের সাথে অভিনয় করছেন।[৫১]
১৯৯৮ সালে তাবুর সহ-তারকা সালমান খান, সাইফ আলি খান, কারিশমা কাপুর, সোনালী বেন্দ্রে এবং নীলম কোথারী সাথে "হাম সাথ সাথা হে" চিত্রগ্রহণের সময় কানকানিতে দুটি কৃষ্ণসার শিকারের অভিযোগ আনা হয়।[৫২] একটি নিম্ন আদালত ওয়াইল্ডলাইফ আইন এবং আইপিসির অধীনে অন্যদের সঙ্গে তিনিও অভিযুক্ত হন। তিনি ভারতীয় পেনাল কোড অফ ওয়াইল্ডলাইফ আইনের ধারা ৫১ (বন্যপ্রাণী ক্ষতি ঘটছে) এবং ১৪৭ (দাঙ্গা সংগঠিত জন্য শাস্তি) উভয় এবং ১৪৯ (ব্যক্তি বেআইনি সমাবেশ) তিনি কারামুক্ত যা একটি দায়রা আদালত আগে একটি সংস্করণ পিটিশন দায়ের করেন।[৫৩]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; encyclo
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; নিহলানী ও চ্যাটার্জি
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি