তারেক মাসুদ | |
---|---|
![]() সিলেটে তারেক মাসুদ, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১০ | |
জন্ম | আবু তারেক মাসুদ[১] ৬ ডিসেম্বর ১৯৫৬ |
মৃত্যু | ১৩ আগস্ট ২০১১ | (বয়স ৫৪)
মৃত্যুর কারণ | সড়ক দুর্ঘটনা |
সমাধি | নূরপুর, ভাঙ্গা উপজেলা, ফরিদপুর |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
অন্যান্য নাম | আ তা মাসুদ |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
শিক্ষা | স্নাতকোত্তর |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৯৫–২০১১ |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | মাটির ময়না |
আদি নিবাস | ফরিদপুর জেলা |
আন্দোলন | চলচ্চিত্র আন্দোলন |
দাম্পত্য সঙ্গী | ক্যাথরিন মাসুদ |
সন্তান | নিষাদ বিংহাম পুত্রা মাসুদ |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
ওয়েবসাইট | tarequemasud |
স্বাক্ষর | |
![]() |
আবু তারেক মাসুদ[১] (যিনি তারেক মাসুদ নামেই পরিচিত) (ডিসেম্বর ৬, ১৯৫৬ - আগস্ট ১৩, ২০১১)[২][৩] ছিলেন একজন বাংলাদেশি স্বাধীন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, লেখক এবং গীতিকার। মাটির ময়না (২০০২) তার প্রথম ফিচার চলচ্চিত্র যার জন্য তিনি ২০০২-এর কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন এবং এটি প্রথম বাংলাদেশি বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশী নিবেদন করা হয়েছিল।[৪][৫]
তারেক মাসুদের পরিচালিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সোনার বেড়ি (১৯৮৫)[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এবং সর্বশেষ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রানওয়ে (২০১০)।[৬] চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে।[৭][৮] ২০১৩ সালে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান/প্যাসিফিক/আমেরিকান ইন্সটিটিউট এবং দক্ষিণ এশিয়া সলিডারিটি ইনিশিয়েটিভ তার চলচ্চিত্রের প্রথম উত্তর আমেরিকান 'ফিরে দেখা' অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।[৯]
মাসুদ ১৯৫৬ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নূরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম নুরুন নাহার মাসুদ ও বাবার নাম মশিউর রহমান মাসুদ। ভাঙ্গা ঈদগা মাদ্রাসায় প্রথম পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তীতে ঢাকার লালবাগের একটি মাদ্রাসা থেকে মৌলানা পাস করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার মাদ্রাসা শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে। যুদ্ধের পর তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রাইভেটে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় অংশ নেন এবং প্রথম বিভাগে পাশ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এরপর আইএ পাশ করেন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে। গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রথমে নটর ডেম কলেজে ভর্তি হলেও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[৬] জীবনের প্রথম প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করতে গিয়ে তার আর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা হয়ে ওঠেনি।[১০]
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় তাকে বেশিরভাগ সময়েই ঢাকা আর্ট কলেজে (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) কাটাতে দেখা যেত। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়-জীবন থেকেই লেখক শিবির, বাম আন্দোলন এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকেছেন। চলচ্চিত্র আন্দোলনের মাধ্যমে তার পরিচয় হয় মোরশেদুল ইসলাম, তানভীর মোকাম্মেল, শামীম আখতারদের সাথে।[৬]
১৯৮২ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ থেকে ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স শেষ করে তিনি তার প্রথম প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন। এটি নির্মাণ করতে লেগেছিল সাত বছর। ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আদম সুরত প্রামাণ্যচিত্রটি ছিল প্রখ্যাত বাংলাদেশী শিল্পী এস এম সুলতানের জীবনের উপর।[১১][১২][১৩] এরপর থেকে তিনি বেশ কিছু ডকুমেন্টারি, অ্যানিমেশন এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ১৯৯৬ সালে নির্মাণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একটি ভ্রাম্যমাণ গানের দলকে নিয়ে মুক্তির গান। ১৯৭১ সালে মার্কিন নির্মাতা লিয়ার লেভিনের ক্যামেরাবন্দী ফুটেজের সাথে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংরক্ষণাগার থেকে নেয়া ফুটেজ জুড়ে দিয়ে এই ছবিটি নির্মাণ করা হয়। প্রামাণ্যচিত্রটির জন্য তিনি ১৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্রের পুরস্কার লাভ করেন।
২০০২ সালে তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মাটির ময়না মুক্তি পায়। ছবিটি তার শৈশবে মাদ্রাসা জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে নির্মিত। ছবিটি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং মাসুদ দেশে-বিদেশে বিশেষ প্রশংসা অর্জন করে। চলচ্চিত্রটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং "একটি দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামের হৃদয়স্পর্শী ও স্বচ্ছ উপস্থাপনা"র জন্য মাসুদ ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট লাভ করেন। এই ছবির জন্য তিনি ২৭তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া মারাকেচ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে ক্যাথরিন মাসুদের সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের পুরস্কার লাভ করেন ও গোল্ডেন স্টারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং কেরালা চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন ক্রো ফিজেন্ট পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া ছবিটি বাংলাদেশ থেকে সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশী নিবেদন করা হয়েছিল। এটি বাংলাদেশ থেকে অস্কারের বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র শাখায় নিবেদন করা দ্বিতীয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র (প্রথমটি জাগো হুয়া সাভেরা) এবং প্রথম বাংলাদেশী বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র।[১৪]
তার পরবর্তী চলচ্চিত্র অন্তর্যাত্রা (২০০৬) দুটি প্রজন্মকে তুলে ধরেছে, যারা বাংলাদেশ থেকে লন্ডন চলে যায় এবং পুনরায় বাংলাদেশে ফিরে আসে। ২০১০ সালে তিনি দেশে ছড়িয়ে পরা জঙ্গিবাদ ও এর প্রভাব নিয়ে নির্মাণ করেন রানওয়ে। এতে দেখানো হয় এক যুবককে ইসলামী শিক্ষার আড়ালে জঙ্গিবাদে উদ্ধুদ্ধ করার গল্প। ছবিটির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার লাভ করেন। মাসুদের শেষ অসম্পূর্ণ কাজ কাগজের ফুল। ছবিটি ভারত বিভাগের গল্প নিয়ে। এটি মাটির ময়নার পূর্ববর্তী পর্ব।[১৪]
বাংলাদেশের বিকল্প ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সংগঠন শর্ট ফিল্ম ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি। ১৯৮৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের কো-অডিঁনেটর হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেয়ার পাশাপাশি কয়েকটি সাময়িকী ও পত্রিকায় চলচ্চিত্র বিষয়ে লেখালেখি করতেন।
তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ একজন মার্কিন নাগরিক। ক্যাথরিন এবং তারেক মিলে ঢাকায় একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন যার নাম অডিওভিশন। চলচ্চিত্র নির্মাণ ছাড়া তারেক মাসুদের আগ্রহের বিষয় ছিল লোকসঙ্গীত এবং লোকজ ধারা। এই দম্পতির 'বিংহাম পুত্রা মাসুদ নিশাদ' নামে এক ছেলে আছে। তারেক মাসুদের চাচাতো বোনের ছেলে নজরুলগীতি শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল। তারেক মাসুদের চাচাত বোন তাহমিনা রাব্বানি শাম্মি, চাচাত ভাই বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী মাহমুদুর রহমান বেনু ও ছোটো ভাই হচ্ছেন নাহিদ মাসুদ।
বছর | শিরোনাম | ভূমিকা | টীকা | সূত্র | ||
---|---|---|---|---|---|---|
পরিচালক | লেখক | প্রযোজক | ||||
১৯৮৭ | সোনার বেড়ি | হ্যাঁ | হ্যাঁ | না | প্রামাণ্য চলচ্চিত্র | |
১৯৮৯ | আদম সুরত | হ্যাঁ | হ্যাঁ | না | বাংলাদেশী আধুনিক চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জীবন-কাজ নির্ভর প্রামাণ্যচিত্র | |
১৯৯২ | ইউনিসন | হ্যাঁ | হ্যাঁ | না | মানবজাতির ঐক্যের উপর এনিমেশন চলচ্চিত্র | |
১৯৯৩ | সে | হ্যাঁ | হ্যাঁ | না | মানবজাতির ঐক্যের উপর এনিমেশন চলচ্চিত্র | |
১৯৯৫ | মুক্তির গান | হ্যাঁ | হ্যাঁ | হ্যাঁ | বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একটি ভ্রাম্যমাণ গানের দলের উপর পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র | |
১৯৯৭ | শিশুকথা | হ্যাঁ | হ্যাঁ | না | বাংলাদেশের কর্মজীবী শিশুদের উপর প্রামাণ্যচিত্র | |
১৯৯৮ | নিরাপত্তার নামে | হ্যাঁ | হ্যাঁ | না | বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের উপর ডকুমেন্টারি | |
১৯৯৯ | মুক্তির কথা | হ্যাঁ | হ্যাঁ | হ্যাঁ | বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাধারণ গ্রামীণ জনগণের অভিজ্ঞতা | |
২০০০ | নারীর কথা | হ্যাঁ | হ্যাঁ | হ্যাঁ | যুদ্ধে বেঁচে থাকা নারীদের অভিজ্ঞতার উপর ডকুমেন্টারি | |
২০০২ | মাটির ময়না | হ্যাঁ | হ্যাঁ | হ্যাঁ | ষাটের দশকে পূর্ব পাকিস্তানের মাদ্রাসায় পরিচালকের বাল্য জীবনের অভিজ্ঞতার উপর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র | |
২০০২ | আ কাইন্ড অব চাইল্ডহুড | হ্যাঁ | হ্যাঁ | না | ঢাকার কর্মজীবী শিশুদের জীবন সংগ্রামের উপর ডকুমেন্টারি | |
২০০৬ | অন্তর্যাত্রা | হ্যাঁ | হ্যাঁ | না | লন্ডনপ্রবাসী এক সিলেটি পরিবারের গল্পের মাধ্যমে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ | |
২০০৮ | কানসার্টের পথে | হ্যাঁ | হ্যাঁ | না | প্রামাণ্য চলচ্চিত্র | |
২০০৯ | নরসুন্দর' | হ্যাঁ | হ্যাঁ | না | স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র | |
২০১০ | রানওয়ে | হ্যাঁ | হ্যাঁ | না | বাংলাদেশের ২০০৫-০৬ সালে চলমান ইস্যু নিয়ে চলচ্চিত্র যেখানে ধর্মভিত্তিক জঙ্গিবাদ ছাড়াও তৈরী-পোশাক শিল্পের নারীশ্রমিক, ক্ষুদ্রঋণনির্ভর এনজিও কার্যক্রম এবং বিদেশে অভিবাসী শ্রমিকদের বঞ্চনার মতো বিষয় নিয়ে। | |
- | কাগজের ফুল | না | হ্যাঁ | না | অসম্পূর্ণ মহাকাব্য নাট্য চলচ্চিত্র |
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট কাগজের ফুল নামক চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের লোকেশন দেখার জন্য তারেক মাসুদ তার সহকর্মীদের নিয়ে মানিকগঞ্জের সালজানা গ্রামে যান। লোকেশন নির্বাচন শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে তারেক মাসুদ তার গাড়িবহর নিয়ে রওনা দেন। পথে ঘিওরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনাস্থলেই তারেক মাসুদ এবং তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরের মৃত্যু হয়। তারেকের সাথে কাজ করা ওয়াসিম, সেট ডিজাইনার জামাল হোসেন, ও মাইক্রোবাসের চালক মোস্তাফিজও এই দুর্ঘটনায় মারা যান। আহত হন ক্যাথরিন মাসুদ, চিত্রশিল্পী ঢালী আল মামুন, ও তার স্ত্রী চিত্রশিল্পী দিলারা বেগম জলি।[১৫][১৬][১৭][১৮][১৯]
চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমালোচনামূলক, দর্শক এবং বাণিজ্যিক অভ্যর্থনা।
চলচ্চিত্র | রটেন টম্যাটোস | মেটাক্রিটিক | আইএমডিবি |
---|---|---|---|
আদম সুরত | — | — | ৮.৫ |
মুক্তির গান | ৫০% | — | ৮.৩ |
মুক্তির কথা | — | — | ৯.০ |
মাটির ময়না | ৮৯% | ৭৫ | ৮.৪ |
অন্তর্যাত্রা | ৬৩% | — | ৭.৬ |
রানওয়ে | — | — | ৮.২ |
তার ৬২ তম জন্মদিনে গুগল ডুডল সম্মননা প্রদান করে।[২০]
তারেক মাসুদ ফিল্ম সোসাইটি তারেক মাসুদের নামে গড়ে তোলা বাংলাদেশের একটি চলচ্চিত্র সংসদ। ২০২২ সালের ২৬ মার্চ তারেক মাসুদের জন্মস্থান ফরিদপুরে এর যাত্রা শুরু।[২১][২২][২৩][২৪][২৫][২৬] তারেক মাসুদ ফিল্ম সোসাইটির প্রধান উদ্যোক্তা সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক এইচ. এম. মেহেদী হাসান। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠক রেজাউল করিমকে সাথে নিয়ে এক বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়ে ২৬ শে মার্চ ২০২২ তারিখে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের নিয়ে একটি সম্মেলন আয়োজন করেন। ফরিদপুরের কমলাপুরে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে নির্ধারিত হয় সংসদের নাম, প্রণীত হয় গঠনতন্ত্র এবং গঠিত হয় কার্যনির্বাহী পরিষদ। সভাপতি নির্বাচিত হন রেজাউল করিম, আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এইচ. এম. মেহেদী হাসান। প্রতিষ্ঠার কিছুদিনের মধ্যে সোসাইটি সব শর্ত পূরণ করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে সনদ লাভ করে।
তারেক মাসুদের মৃত্যুর পর ২০১২ সালে বিভিন্ন সময়ে লেখা তার চলচ্চিত্র সম্পর্কিত প্রবন্ধগুলোকে একত্র করে একটি বই প্রকাশিত হয় "চলচ্চিত্রযাত্রা" নামে। বইটিতে ভূমিকা লিখেছেন তার স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ। লেখক হবার একটা টান সবসময়ই তার মাঝে ছিল। তিনি বলেছিলেন
চলচ্চিত্রকার না হলে লেখক হওয়ার চেষ্টা করতাম।
পুরস্কার | বছর | পুরস্কারের বিভাগ | মনোনীত চলচ্চিত্র | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | ১৯৯৬ | শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র | মুক্তির গান | বিজয়ী |
২০০৩ | শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার | মাটির ময়না | বিজয়ী | |
ফিল্ম সাউথ এশিয়া | ১৯৯৭ | বিশেষ পুরস্কার | মুক্তির গান | বিজয়ী |
কান চলচ্চিত্র উৎসব | ২০০২ | ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট | মাটির ময়না | বিজয়ী |
মারাকেচ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব | ২০০২ | শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য | মাটির ময়না | বিজয়ী |
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | মনোনীত | |||
থ্রি কন্টিনেন্টস উৎসব | ২০০২ | শ্রেষ্ঠ বর্ণনামূলক প্রামাণ্যচিত্র | মুক্তির কথা | বিজয়ী |
বাচসাস পুরস্কার | ২০০৩ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | মাটির ময়না | বিজয়ী |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার | বিজয়ী | |||
চ্যানেল আই চলচ্চিত্র পুরস্কার | ২০০৩ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | মাটির ময়না | বিজয়ী |
ভারতীয় আন্তর্জাতিক ভিডিও উৎসব | ২০০৩ | জুরি পুরস্কার | আ কাইন্ড অব চাইল্ডহুড | বিজয়ী |
কারা চলচ্চিত্র উৎসব | ২০০৩ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | মাটির ময়না | বিজয়ী |
কেরালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব | ২০০৩ | গোল্ডেন ক্রো ফিজেন্ট | মাটির ময়না | মনোনীত |
ডিরেক্টরস গিল্ড অব গ্রেট ব্রিটেন | ২০০৪ | শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্রের পরিচালক | মাটির ময়না | মনোনীত |
ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব বাংলাদেশ | ২০০৬ | শ্রেষ্ঠ পরিচালক | অন্তর্যাত্রা | বিজয়ী |
সিনেফান ফেস্টিভ্যাল অব এশিয়ান অ্যান্ড আরব সিনেমা | ২০০৬ | বিশেষ পুরস্কার | অন্তর্যাত্রা | বিজয়ী |
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার | ২০১০ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (সমালোচক পুরস্কার) | রানওয়ে | বিজয়ী |