পদক রেকর্ড | ||
---|---|---|
পুরুষ অ্যাথলেটিকস | ||
কাতার-এর প্রতিনিধিত্বকারী | ||
এশিয়ান গেমস | ||
১৯৮৬ সিউল | ১০০ মি | |
১৯৯০ বেইজিং | ১০০ মি | |
১৯৯৪ হিরোশিমা | ১০০ মি | |
১৯৯৪ হিরোশিমা | ২০০ মি | |
১৯৯৪ হিরোশিমা | ৪×১০০ মি রিলে |
তালাল মনসুর আল-রহিম ( আরবি: طلال منصور , জন্ম ৮ই মে, ১৯৬৪) একজন অবসরপ্রাপ্ত কাতারি স্প্রিন্টার যিনি মূলত ১০০ মিটারে প্রতিযোগিতা করতেন। তিনি মাত্র ৬.৫১ সেকেন্ডে ৬০ মিটারের এশিয়ান ইনডোর রেকর্ডটি ধরে রেখেছেন।
মনসুরের জন্ম কাতারের রাজধানী দোহায় । তার বাবা-মা যাযাবর ছিলেন যারা রুব আল খালি মরুভূমি থেকে দোহায় চলে এসেছিলেন। তিনি সীমিত শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন এবং কয়েকটি কর্মসংস্থানের জন্ ১৭ বছর বয়সে তিনি কাতার সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। অল্প বয়স থেকেই তিনি বাস্কেটবল, সাঁতার এবং অ্যাথলেটিকসে অংশ করতেন। ১৯৮৩ সালে, যখন তার ১৯ বছর বয়স তখন তার কোচ অলি কুনস্ট তাকে কেবল অ্যাথলেটিক্সেই মনোনিবেশ করার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে তিনি উচ্চ লম্ফ শুরু করেন, পরে কুনস্টের দিকনির্দেশনায় একজন স্প্রিন্টার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। [১]
তিনি ১৯৮৫ এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন, ১০০ মিটার বিভাগে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলেন। ফলস্বরূপ, তিনি তার প্রশংসার জন্য সেই সময়ে খুব কম স্বীকৃতি পেয়েছিলেন, কারণ শীর্ষ ৩ জন প্রতিযোগী তাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। [২]
১৯৮৬ এশিয়ান গেমসে, তিনি একটি স্বর্ণপদক অর্জন করেন। টুর্নামেন্ট চলাকালীন বেশিরভাগ মিডিয়া প্রাথমিকভাবে সে সময়কার এশিয়ান রেকর্ডধারী ঝেং চেনকে কেন্দ্র করে ছিল। তবে মনসুরের উচ্চ হাঁটু-লিফট এবং শক্তি চলমান কৌশলটি দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। সেমিফাইনালে আনাত রতনাপলকে ছুঁড়ে ফেলেছিল, সময় নিয়েছিলেন ১০:৩২ সে। ফাইনালে তিনি ১০:৩০ সে সময় নিয়েছিলেন। তিনি হয়ত এশিয়ান রেকর্ডটা ভেঙ্গে দিতে পারতেন যদি না তিনি টেপ স্পর্শ করা আগেই দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত না নাড়তেন। [২]
তিনি ১৯৯৩ সালের ৩ মার্চ এলবিবিডাব্লু সভাতে ৬০ মিটার স্প্রিন্টে একটি এশিয়ান রেকর্ড তৈরি করেছিলেন যেখানে তিনি সময় নিয়েছিলেন ৬.৫১ সে। তিনি ১৯৯৩ সালের আইএএএফ ওয়ার্ল্ড ইন্ডোর চ্যাম্পিয়নশিপে পুরুষদের ৬০ মি স্প্রিন্টে একটি ব্রোঞ্জ মেডেলও পেয়েছিলেন, যা তাকে কাতারের প্রথম স্প্রিন্টার হিসাবে গ্লোবাল অ্যাথলেটিক্সে পদক জিতিয়েছিল। [৩]
অ্যাথলেটিকস থেকে অবসর নেওয়ার পরে, তিনি আল সাদ স্পোর্টস ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নির্বাচিত হন। [৪]