![]() | |
ব্যবহার | জাতীয় পতাকা এবং ensign |
---|---|
অনুপাত | ২:৩ |
গৃহীত | ২০ অক্টোবর ১৮২৭ |
অঙ্কন | লাল পটভূমির মাঝে লাল পাঁচ কোণা তারা ও নতুন চাঁদ সংবলিত সাদা বৃত্ত। |
এঁকেছেন | দ্বিতীয় আল-হুসেইন ইবনে মাহমুদ |
![]() | |
তিউনিসিয়ার পতাকার রূপভেদ | |
অঙ্কন | রাষ্ট্রপতির পতাকা |
তিউনিসিয়ার জাতীয় পতাকা (আরবি: علم الجمهورية التونسية) লাল আয়তক্ষেত্রের মাঝে লাল নতুন চাঁদ ও পাঁচ কোণা তারা সংবলিত সাদা বৃত্ত। ১৯৫৯ সালে এ পতাকাটি জাতীয় পতাকা হিসেবে গৃহীত হয়। এর আগে ১৮৩১ সাল থেকে এটি তিউনিস রাজ্য (কিংডম অফ তিউনিস) এর নৌ-নিশান হিসেবে ব্যবহৃত হত। বর্তমানে পতাকার যে নকশাটি ব্যবহৃত হচ্ছে তা ১৯৯৯ সালে নির্ধারণ করা হয়।
আঠারো শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত তিউনিসের জাহাজগুলোতে যেসব পতাকা ব্যবহৃত হত সেগুলোর নকশার কারণ ও তাৎপর্য সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে পতাকাগুলোর মধ্যে কিছু মিল শনাক্ত করা গিয়েছে। যেমন: সাধারণত এগুলো হতো নীল, সবুজ, লাল বা সাদা এবং এতে একটি চন্দ্রাকৃতির নকশা করা থাকতো।[১]
হাফসি রাজত্বে তিউনিসিয়ায় চন্দ্রখচিত হলুদ পতাকা ব্যবহৃত হত।
১৯ শতকের গোড়ার দিকে অনুভূমিক নীল, লাল এবং সবুজ রেখা নিয়ে গঠিত উসমানীয় পতাকা ব্যবহার শুরু হয়। একাধিক ব্যান্ড এবং অনিয়মিত কনট্যুর সহ এই জাতীয় পতাকাটি উত্তর আফ্রিকার উপকূলে ভাসমান জাহাজগুলোতে ব্যবহৃত হতো। এছাড়া ভিন্ন বর্ণ ও বিন্যাসের অনুরূপ পতাকাও এ মহাদেশে ব্যবহার করা হত[কোনটি?]।[১]
অটফ্রেড নেউবেকারের মতে[৩] তিউনিস বে এর নিজস্ব পতাকাও ছিল। এই পতাকাটি সম্ভবত শাসকের ব্যক্তিগত পতাকা ছিল।[৪] এটি নৌবাহিনীর জাহাজে এবং তিউনিসিয়ার জাতীয় প্রতীকের কেন্দ্রে, বার্দো প্রাসাদে এবং তিউনিস দুর্গের উপরে ব্যবহৃত হতো। ১৮৪০ সালের ২১ শে মার্চ উসমানীয় সংবিধানের ঘোষণাসহ[৫] বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানগুলোতেও এ পতাকাটি ব্যবহৃত হতো। ১৯৫৭ সালের ২৫ জুলাই বেইলিকের বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে পতাকাটির ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়।[৩][৬]
তিউনিসিয়ায় ফরাসি প্রোটেক্টরেট[ক] যুগে ফরাসি কর্তৃপক্ষ তিউনিসিয়ার পতাকা পরিবর্তন করেনি। [সন্দেহপূর্ণ ][৭] তবে, ২০০০ সালে প্রকাশিত ফ্ল্যাগ বুলেটিন-এর একটি নিবন্ধ অনুসারে, ফরাসি আশ্রয়ে থাকাকালীন সময়ে স্বল্প সময়ের জন্য ফ্রান্সের পতাকাটি তিউনিসিয়ার পতাকার ক্যান্টনে [খ] স্থাপন করা হয়েছিল। ভেক্সিলোলজিস্ট [গ] হুইটনি স্মিথ বলেছিলেন যে ফরাসি পতাকাটি যুক্ত করার মাধ্যমে "তিউনিশিয়ার আনঅফিসিয়াল পতাকার পরিবর্তন করা হয়েছিল যা মাত্র কয়েক বছরের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল"।[৮][৯] তিনি আরো বলেন:
"ফরাসি আশ্রিত (প্রোটেক্টরেট) রাষ্ট্র হিসেবে তিউনিসিয়া স্থলভাগ এবং সমুদ্রে তার জাতীয় পতাকা অপরিবর্তিত রেখেছিল। তবে, ঊনবিংশ শতকের শেষের দিকে বা বিংশ শতকের শুরুর দিকে পতাকার ক্যান্টনে[খ] ত্রিরঙা ফরাসি পতাকা যুক্ত একটি অনানুষ্ঠানিক সংস্করণ তৈরি ও ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯২৫ সালে এই পতাকাটি সরকারিভাবে গ্রহণের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। (ফ্ল্যাগ বুলেটিনের) এই সংখ্যার প্রচ্ছদে প্রদর্শিত এই পতাকাটি কোনও ভেক্সিলোলজিকাল[গ] উৎসে চিত্রিত হয়েছে বলে মনে হয় না।[১০]"
তবে, ১৯০৪ সালের ২৪ জুলাই ফরাসি দৈনিক "লে পেটিট জার্নালে" তিউনিসের বে[ঘ] এর ফ্রান্স সফর সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বে'র প্যারিসের হোটেল ডি ভিলি পরিদর্শনের যে চিত্রায়ন করা হয়েছে তাতে উক্ত (ক্যান্টনে ফরাসি পতাকা যুক্ত) পতাকা দেখা যায়[১১] বলে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এ সম্পর্কে ফ্ল্যাগস অফ দ্যা ওয়ার্ল্ডের ইভান স্যাচে দাবি করেছেন যে, "এই পতাকার নকশা আগে দেখা যায়নি। তাই এটি ভুল হতে পারে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে সাংবাদিক সম্ভবত এই অনুষ্ঠানটিতে ছিলেন না বা তিনি ভুল পতাকার অঙ্কন অনুলিপি করেছিলেন।"[১২]
১৯৭৪ সালে লিবিয়া ও তিউনিসিয়া একীভূত করে ইসলামী আরব প্রজাতন্ত্র গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এ উপলক্ষে তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রপতি হাবিব বোরগুইবা এবং লিবিয়ার রাষ্ট্রপতি মুয়াম্মার গাদ্দাফির বৈঠকের পর তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী যৌথ ঘোষণাপত্র পাঠ করেন:
"উভয় দেশ একক সংবিধান, একটি পতাকা, একক রাষ্ট্রপতি, একক সেনাবাহিনী এবং একই নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগের সমন্বয়ে একটি একক প্রজাতন্ত্র- "ইসলামী আরব প্রজাতন্ত্র" গঠন করবে। এ বিষয়ে ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হবে[১৩]।"
লিবিয়ার তৎকালীন পতাকাটি ছিল লাল, সাদা ও কালো রঙের ৩টি অনুভূমিক ব্যান্ডের সমন্বয় যার কেন্দ্রে (সাদা ব্যান্ডের মাঝে) ছিল ঈগলের প্রতীক।[১৫] অন্যদিকে, তিউনিসিয়ার পতাকা ছিল লাল আয়তক্ষেত্রের মাঝের সাদা বৃত্তে লাল নতুন চাঁদ ও পাঁচ কোণা তারা। তাই প্রস্তাবিত রাষ্ট্রটির পতাকায় এ দুটি পতাকার সমন্বয় করা হয়। প্রস্তাবিত পতাকাটির ব্যান্ডত্রয় ছিল লিবিয়ার পতাকার ন্যায়, যথাক্রমে লাল, সাদা ও কালো রঙের। আর কেন্দ্রের প্রতীকটি ছিল তিউনিসিয়ার পতাকার মতো: লাল নতুন চাঁদ (ক্রিসেন্ট) ও পাঁচ কোণা তারা।[১৪]
কিন্তু পরবর্তীতে একীভূত রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে উক্ত পতাকাটিও কখনো জাতীয় পতাকা হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি।[১৬]
১ জুন ১৯৫৯ সালের সংবিধানের ৪র্থ অনুচ্ছেদে তিউনিশিয়ার পতাকাটি সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল এই শর্তাবলী অনুসারে: "তিউনিসিয়া প্রজাতন্ত্রের পতাকাটি লাল। আইন দ্বারা প্রণীত শর্তানুসারে, এর মধ্যভাগে একটি সাদা বৃত্ত রয়েছে, যেখানে একটি লাল নতুন চাঁদ (ক্রিসেন্ট) দ্বারা বেষ্টিত পাঁচ-কোণা তারকা বিদ্যমান।"[১৭]
৩০ জুন ১৯৯৯ এর অর্গানিক আইন নং ৯৯-৫৬[১৮] (৩ জুলাইয়ে মজলিশুন্ নওয়াব (চেম্বার অব ডেপুটিস) অর্থাৎ, তিউনিসিয়ার আইনসভার নিম্নকক্ষে গৃহীত[১৯]) দ্বারা সংবিধানের ৪ নম্বর অনুচ্ছেদে প্রথমবারের মতো তিউনিশিয় পতাকাটি বিধিবদ্ধ করা হয়।[২০] এ পতাকাটি লাল রঙের এবং আয়তাকার যার প্রস্থ দৈর্ঘ্যের দুই তৃতীয়াংশের সমান।[২০] আয়তাকার পতাকাটির কর্ণদ্বয়ের ছেদ বিন্দুকে কেন্দ্র করে পতাকার দৈর্ঘ্যের ১⁄৩ অংশের সমান ব্যাসের একটি সাদা বৃত্ত অঙ্কন করা হয়।[২০] বৃত্তটির ভেতর কিছুটা ডান দিকে একটি লাল পাঁচ-কোণা তারা রয়েছে, যার কেন্দ্র বৃত্তটির কেন্দ্র থেকে পতাকাটির দৈর্ঘ্যের ১⁄৩০ অংশের সমান দূরত্বে অবস্থিত।[২০]
তারার পাঁচটি কৌণিক বিন্দুর অবস্থান নির্ধারিত হয় তারার কেন্দ্রস্থল কেন্দ্রীক একটি কাল্পনিক বৃত্ত দ্বারা, যার ব্যাস পতাকাটির দৈর্ঘ্যের প্রায় ১৫% এর সমান। তারাটির বিন্দুগুলো একে অপরের থেকে সমদূরবর্তী। কাল্পনিক বৃত্তের কেন্দ্রের বাম দিকে অবস্থিত বিন্দুটি পতাকাটির প্রস্থের ঠিক মাঝ বরাবর অবস্থিত। একটি লাল নতুন চাঁদ তারকাটিকে বাম দিক থেকে বেষ্টন করে রয়েছে। এ চাঁদটি দুটি বৃত্তচাপের সমন্বয়ে গঠিত। বহিঃস্থ চাপটির ব্যাস পতাকার দৈর্ঘ্যের ১⁄৪ অংশ এবং অন্তঃস্থ চাপটির ব্যাস পতাকার দৈর্ঘ্যের ১⁄৫ অংশ।[২০] এছাড়াও, রাষ্ট্রপতির পতাকার শীর্ষে আরবি: للوطن (দেশের জন্য) শব্দটি সোনালী রঙে লেখা হয়।[২০][২১]
১৯৫৯ সালের সংবিধানের ৪র্থ অনুচ্ছেদে পতাকা আঁকার জন্য নির্দেশনা সংবলিত একটি প্রযুক্তিগত ডসিয়রের কথা বলা আছে, যাতে পতাকাটি আঁকার জন্য নির্দেশনা, সঠিক পরিমাপ এবং এর রঙগুলোর প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[২০]
![]() ![]() |
লাল | সাদা |
---|---|---|
আরজিবি | 231-0-19 | 255-255-255 |
হেক্সাডেসিমাল | #E70013 | #FFFFFF |
সিএমওয়াইকে | 0, 100, 92, 9 | 0, 0, 0, 0 |
ফ্রান্সে তিউনিশিয়ার দূতাবাসের তথ্য মতে, লাল রঙ হল ১৫৭৪ সালে উসমানীয়দের তিউনিশিয়া বিজয়ের সময় নিহতদের রক্তের প্রতীক।[৭][২২] অবশ্য, তিউনিসিয়রাই স্পেনীয় আক্রমণকারীদের হাত থেকে তাদের মুক্ত করার জন্য তুর্কিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] আরেকটি ব্যাখ্যা হল "লাল বেলিক্যাল পতাকা সমগ্র মুসলিম বিশ্ব জুড়ে আলো ছড়িয়ে দিয়েছে"।[২৩] সাদা শান্তির প্রতীক। আর বৃত্তটি সূর্যের প্রতীক যা জাতির উজ্জ্বলতা প্রকাশ করে। অন্যদিকে নতুন চাঁদ (ক্রিসেন্ট) মুসলমানদের ঐক্য এবং পাঁচ-কোণা তারা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের প্রতিনিধিত্ব করে।[২২]
ওয়েবস্টার'স কনসাইজ এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফ্ল্যাগস অ্যান্ড কোটস অফ আর্মস এর লেখক লুডভিক মুচার মতে, পতাকার মাঝখানে অবস্থিত সাদা বৃত্ত সূর্যকে নির্দেশ করে। ইসলামের দুটি প্রাচীন প্রতীক নতুন চাঁদ এবং পাঁচ-কোণা তারা সর্বাধিক উল্লেখযোগ্যভাবে উসমানীয় পতাকায় ব্যবহৃত হয়েছিল। এর পর থেকে অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মতো তিউনিসিয়ার পতাকায়ও এ প্রতীক ব্যবহৃত হচ্ছে। একজন আরব পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিকোণ থেকে, নতুন চাঁদ সৌভাগ্যের প্রতীক। আর লাল রঙ তুর্কি আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক।[২৪] হুইটনি স্মিথ বলেন যে বর্তমান তিউনিসিয়ার অন্তর্গত প্রাচীন কার্থেজের পুনিক রাজ্যেই প্রথম পতাকা এবং ভবনসমূহে নতুন চাঁদের প্রতীক ব্যবহার করা হত। উসমানীয় পতাকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর এ প্রতীকটি মুসলমানদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল এবং এটি ইসলামের প্রতীক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিল।[২৫] অনুরূপভাবে, নতুন চাঁদের পাশাপাশি সূর্য প্রায়ই প্রাচীন পুনিক নিদর্শনগুলোতে ব্যবহৃত হত যা প্রাচীন পুনিক ধর্ম, বিশেষ করে সঙ্গে, তানিত চিহ্নের সাথে সম্পর্কিত।[২৬]
তিউনিসিয়ার সকল সরকারি ও সামরিক ভবনে জাতীয় পতাকা দেখা যায়। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বৈঠকে তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রদূতদের আসনের সামনে এবং বিশ্বজুড়ে তিউনিশিয়ার প্রতিনিধিদের বাসস্থানেও পতাকাটি ব্যবহৃত হয়।[২২] বিশেষ দিবসে ও রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের সময় পতাকাটি যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়।[২২] নিম্ন তালিকাভুক্ত পতাকা দিবসগুলোতে তিউনিসিয়ার পতাকা সরকারি ভবনগুলোতে উত্তোলন করা আইন অনুসারে বাধ্যতামূলক:
তারিখ | দিবস | টীকা |
---|---|---|
১৮ জানুয়ারি | বিপ্লব দিবস[২৭] | ফরাসী কর্তৃপক্ষ এবং বোরগুইবা সমর্থিত জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু (১৯৫২)[২৮] |
২০ মার্চ | স্বাধীনতা দিবস[২৯] | স্বাধীনতার ঘোষণা (১৯৫৬); স্মরণ দিবস নামেও পরিচিত |
২১ মার্চ | যুব দিবস[২৯] | |
৯ এপ্রিল | শহিদ দিবস[৩০] | ফরাসী সেনারা জাতীয়তাবাদী বিক্ষোভ দমন করে (১৯৩৮) |
১ জুন | বিজয় দিবস[৩১] | তিউনিসিয়ার সংবিধান গৃহীত হয় (১৯৫৯) |
২৫ জুলাই | প্রজাতন্ত্র দিবস[৩২] | প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা (১৯৫৭) |
১৫ অক্টোবর | উচ্ছেদ দিবস[৩৩] | তিউনিসিয়ার সর্বশেষ ফরাসি সামরিক ঘাঁটি উচ্ছেদ (১৯৬৩) |
তিউনিসিয়ার দন্ড বিধির ১২৯ নম্বর অনুচ্ছেদে তিউনিশিয়ার জাতীয় পতাকা অথবা বিদেশী পতাকাগুলোকে "প্রকাশ্যে, বক্তব্য, লেখনী, অঙ্গভঙ্গি বা অন্য কোনও উপায়ে" অবমাননা করলে শাস্তি হিসেবে এক বছরের কারাদন্ডের বিধান রয়েছে।[৩৪]
তিউনিসিয়ার পতাকার রঙগুলো তিউনিশিয়ার অন্যান্য প্রতীকগুলোতেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেমন: তিউনিসিয়ার জাতীয় প্রতীক, যার উপরিভাগে লাল প্রান্ত বিশিষ্ট বৃত্তের ভেতর একটি নতুন চাঁদ এবং তারকা রয়েছে। তিউনিশিয় সেনাবাহিনীর সামরিক সরঞ্জামগুলোতে ব্যবহৃত ককেডেও অনুরূপ প্রতীক ব্যবহার করা হয়।
তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পতাকায় জাতীয় পতাকার রঙগুলোকেই প্রাধান্য দেয়। দেশটির অনেক ডাকটিকিটেও পতাকাটির মোটিফ ব্যবহার করা হয়েছে।[৩৫][৩৬]
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)