![]() ২০১২ সালে ভিলানোভা | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ফ্রান্সেস্ক ভিলানোভা ই বায়ো | ||
জন্ম স্থান | বেলকাইর দি’এম্পোরদা, স্পেন | ||
মৃত্যু | ২৫ এপ্রিল ২০১৪ | (বয়স ৪৫)||
মৃত্যুর স্থান | বার্সেলোনা, স্পেন | ||
উচ্চতা | ১.৭৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মিডফিল্ডার | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৮৪–১৯৮৮ | বার্সেলোনা | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
১৯৮৮–১৯৯০ | বার্সেলোনা বি | ৫২ | (৬) |
১৯৯০–১৯৯২ | ফিগেরেস | ৭২ | (৬) |
১৯৯২–১৯৯৫ | সেলতা ভিগো | ২৬ | (১) |
১৯৯৫–১৯৯৬ | বাদায়োজ | ৩৩ | (২) |
১৯৯৬–১৯৯৭ | মায়োর্কা | ১০ | (০) |
১৯৯৭–১৯৯৮ | লেইদা | ২১ | (৩) |
১৯৯৮–২০০০ | এলচে | ৬৩ | (৬) |
২০০০–২০০১ | গ্রামেনেত | ৩ | (০) |
মোট | ২৮০ | (২৪) | |
পরিচালিত দল | |||
২০০৩–২০০৪ | প্যালাফ্রুগেল | ||
২০০৭–২০০৮ | বার্সেলোনা বি (সহকারী) | ||
২০০৮–২০১২ | বার্সেলোনা (সহকারী) | ||
২০১২– ২০১৩ | বার্সেলোনা | ||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
ফ্রান্সেস্ক ‘‘তিতো’’ ভিলানোভা ই বায়ো (স্পেনীয়: Francesc Vilanova i Bayo; ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ - ২৫ এপ্রিল ২০১৪) একজন প্রাক্তন স্পেনীয় ফুটবলার এবং ম্যানেজার। তিনি মূলত মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতেন।
পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে লা লিগায় সেল্তা দে ভিগোর হয়ে তিনটি মৌসুমে ২৬টি খেলায় মাঠে নেমেছিলেন ভিলানোভা। পেশাদার খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার শেষ করে তিনি পেপ গার্দিওলার অধীনে বার্সেলোনার সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। চার বছরে ১৪টি শিরোপা জিতা দলের অংশ ছিলেন তিনি।[১]
২০১২ সালে গার্দিওলার প্রস্থানের পর তিনি বার্সেলোনার ম্যানেজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[২] প্রথম মৌসুমেই তার অধীনে দল লা লিগা শিরোপা জিতে। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে, অসুস্থতার কারণে তিনি ম্যনেজারের পদ থেকে ইস্তফা দেন। এর ১০ মাস পর ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
১৯৯০ সালে, বার্সেলোনার যুব প্রকল্প থেকে বের হওয়ার পর, প্রথম দলে বেশি জায়গা না পাওয়ায় ভিলানোভা দল ছেড়ে দেন।[১] ১৯৯১–৯২ মৌসুমে, তিনি স্থানীয় তৃতীয় সারির দল ফিগুয়েরেসে যোগদান করেন। পরের মৌসুমে, তিনি প্রথম সারির দল সেলতা ভিগোতে যোগ দেন। দলে তিনটি মৌসুম কাটালেও, তাকে খুব কমই মাঠে নামতে দেখা যায়। ১৯৯৫ সালে, ভিলানোভা দ্বিতীয় সারির দল বাদায়োজ-এ যোগ দেন এবং ৩৩ খেলায় ২ গোল করেন। ১৯৯৬–৯৭ মৌসুমে তিতো যোগ দেন মায়োর্কায়। সেখানে তিনি ১০ খেলায় শূন্য গোল করেন। এছাড়া, তিনি লেইদা ও এলচের হয়েও খেলেন। সর্বশেষ ২০০০–০১ মৌসুমে গ্রামেনেতের হয়ে খেলে ভিলানোভা অবসর গ্রহণ করেন।[৩][৪]
লেইদাতে খেলার সময়, ১৯৯৮ কোপা কাতালুনিয়ায়, বার্সেলোনার বিপক্ষে একটি খেলায় মাঠে নামেন ভিলানোভা। ঐ খেলায় বার্সেলোনার তৎকালীন প্রধান কোচ লুইস ফন গালের পরিবর্তে বার্সেলোনারকোচের দায়িত্ব পালন করেন তারই সহকারী জোসে মরিনহো। খেলায় তিতো একটি গোল করেন। এতে করে, ম্যানেজার হিসেবে মরিনহোর বিপক্ষে, প্রথম গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি।[৫]
২০০৩–০৪ মৌসুমে স্পেনের চতুর্থ লীগের দল এফসি প্যালাফ্রুগেলের কোচ হিসেবে ভিলানোভা তার কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। প্যালাফ্রুগেল তখন কাতালান লীগে অবনমন আতঙ্কে ভুগছিল।[৬][৭] তেরেসা এফসি-তে টেকনিক্যাল পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর তাকে বার্সেলোনা বি দলে গার্দিওলার অধীনে সহকারী ম্যানেজারের দায়িত্ব দেয়া হয়, দলটি তখন চতুর্থ সারিতে খেলছিল।[১]
২০০৮ সালের গ্রীষ্মে, বার্সেলোনা বি দলকে তৃতীয় সারিতে উন্নীত করিয়ে দিলে, গার্দিওলাকে ফ্রাংক রাইকার্ডের পরিবর্তে মূল দলের প্রধান ম্যানেজার ও ভিলানোভাকে জোহান নেস্কেনস-এর পরিবর্তে সহকারী ম্যানেজারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।[১] ক্যাম্প ন্যুতে তার প্রথম মৌসুম ছিল বার্সেলোনার ইতিহাসে সেরা মৌসুম। ঐ মৌসুমে বার্সেলোনা প্রথম স্পেনীয় ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জেতে।[৮] এছাড়াও এক পঞ্জিকাবর্ষে সম্ভাব্য ছয়টি শিরোপার সবকয়টিই জেতে তারা।[৯]
২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল, সংবাদ সম্মেলনে বার্সেলোনা গার্দিওলার প্রস্থান নিশ্চিত করে, এর সাথে তারা ভিলানোভাকে গার্দিওলার উত্তরসূরি ঘোষণা করে।[১০] ১৫ জুন, ভিলানোভা বার্সার সাথে দুই বছরের চুক্তি সাক্ষর করেন।[১১]
২৫ এপ্রিল ২০১৪ অনুসারে।
দল | কার্যকাল শুরু | কার্যকাল শেষ | রেকর্ড[১২] | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
খেলা | জয় | ড্র | পরাজয় | স্ব.গো | বি.গো | গো.পা | জয় % | |||
বার্সেলোনা | ১ জুলাই ২০১২[৮] | ১৮ ডিসেম্বর ২০১২[১৩] | ২৭ | ২৩ | ২ | ২ | ৭৭ | ২৮ | +৪৯ | ৮৫.১৯ |
বার্সেলোনা | ৬ জানুয়ারি ২০১৩[১৩] | ২৩ জানুয়ারি ২০১৩[১৩] | ৫ | ৩ | ১ | ১ | ১৬ | ৬ | +১০ | ৬০.০০ |
বার্সেলোনা | ১ এপ্রিল ২০১৩[১৩] | ১৯ জুলাই ২০১৩[১৪] | ১৩ | ৮ | ৩ | ২ | ২৮ | ১৭ | +১১ | ৬১.৫৪ |
মোট | ৪৫ | ৩৪ | ৬ | ৫ | ১২১ | ৫১ | +৭০ | ৭৫.৫৬ |
২০১২ সালের ১৯ ডিসেম্বর, বার্সেলোনা প্রকাশ করে, ভিলানোভা দ্বিতীয়বারের মত প্যারোটিড লালাগ্রন্থির ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।[১৫][১৬] তার রোগ প্রথম নির্ণয় করা হয়েছিল প্রায় এক বছর আগে, ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর।[১৭]
২০শে ডিসেম্বর ভিলানোভার অস্ত্রোপচার করা হয় এবং এরপর তাকে ছয় সপ্তাহ ধরে রাসায়নিক চিকিৎসা (কেমোথেরাপি) ও বিকিরণ চিকিৎসা (রেডিওথেরাপি) দেওয়া হয়।[১৮] এ সময়ে তার পরিবর্তে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তার সহকারী জর্দি রাউরা। ২৫ মার্চ ভিলানোভা স্পেনে ফিরে আসেন।[১৯]
২০১৩ সালের ১৯ জুলাই, শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে ভিলানোভা বার্সেলোনার ম্যানেজারের পদ থেকে ইস্তফা দেন।[১৪][২০]
২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল, ক্যান্সার জটিলতার কারণে ভিলানোভা মৃত্যুবরণ করেন। এর এক সপ্তাহ আগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল।[২১]
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ইয়োহান নেসকেন্স |
বার্সেলোনা সহকারী ম্যানেজার ২০০৮–২০১২ |
উত্তরসূরী জর্দি রাউরা |