তিমুরবুগা | |||||
---|---|---|---|---|---|
মালিকুয যাহির | |||||
মিশর ও সিরিয়ার সুলতান | |||||
রাজত্ব | ৫ ডিসেম্বর ১৪৬৭ – ৩০ জানুয়ারি ১৪৬৮ | ||||
পূর্বসূরি | সাইফুদ্দিন বিলবে | ||||
উত্তরসূরি | কাইতবে | ||||
জন্ম | অজ্ঞাত | ||||
মৃত্যু | ১৪৭৫ দমইয়াত | ||||
|
মালিকুয যাহির তিমুরবুগা রুমি (মৃত্যু ১৪৭৫) ছিলেন মামলুক মিশরের সপ্তদশ বুরজি সুলতান। তিনি ১৪৬৭ সালের শেষ থেকে ১৪৬৮ সালের প্রথম দিকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য শাসন করেছিলেন।[১][২] তিনি সিংহাসনে আরোহণের সময়ে মালিকুয যাহির উপাধি ব্যবহার করেছিলেন।[৩]
তিমুরবুগা ছিলেন গ্রিক[৪] বা আলবেনীয় বংশোদ্ভূত।[৫] তাকে আনু. ১৪২১ সালে একজন বণিক ত্রিপোলির নায়েব শাহিন জারদাকাশের কাছে বিক্রি করে। তারপর তাকে সাইফুদ্দিন জাকমাকের কাছে বিক্রি করা হয়। এরপর তার শাসনামলেই তিনি আনু. ১৪৪২ সালে খাজনাদার হন।[৫] পরে তিনি সাইফুদ্দিন ইনালের মামলুকদের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার নেতৃত্ব দেন, যারা শেষ পর্যন্ত মানসুর ফখরুদ্দিন উসমানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে তিনি পাঁচ বছর আলেকজান্দ্রিয়ায়, তারপর ছয় বছর নিমরোদ দুর্গে বন্দী ছিলেন। আনু. ১৪৫৮ সালে তাকে ইনাল মক্কায় হজ্জ সহযাত্রী হতে মুক্তিদান করেন।
আনু. ১৪৬১ সালে তিনি খুশকদমের রাজত্বকালে কায়রোতে ফিরে আসেন, যেখানে তিনি সুলতানের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৪৬৭ সালের ৫ ডিসেম্বর তিমুরবুগা নতুন সুলতান হওয়ার আগে সাইফুদ্দিন বিলবে ১৪৬৭ সালের শেষের দিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য শাসন করেছিলেন।[৬] তিমুরবুগা সুশিক্ষিত এবং আইন, ইতিহাস, সাহিত্য ও কবিতায় পারদর্শী ছিলেন। তার শাসনামলে মুয়াইয়্যাদ শিহাবুদ্দিন আহমাদসহ আলেকজান্দ্রিয়া থেকে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।[৬]
যাইহোক, তার শাসনকাল দুই মাসেরও কম সময় স্থায়ী হয়। ১৪৬৮ সালের ৩০শে জানুয়ারীতে একটি প্রাসাদ অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।[৭] তিমুরবুগা কর্তৃক নিযুক্ত আতাবেগ কাইতবে খায়রবেকের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের পরাজিত করতে সক্ষম হন এবং তিমুরবুগাকে মুক্ত করেন। তিমুরবুগা পরে ১৪৭৫ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দমইয়াতে অবসর গ্রহণ করেন।[৫]