তিরুবোত্রিয়ুর திருவொற்றியூர் | |
---|---|
চেন্নাইয়ের অঞ্চল | |
স্থানাঙ্ক: ১৩°১০′ উত্তর ৮০°১৮′ পূর্ব / ১৩.১৬° উত্তর ৮০.৩° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
জেলা | চেন্নাই |
তালুক | তিরুবোত্রিয়ুর |
মহানগর | চেন্নাই |
উচ্চতা | ০ মিটার (০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,৪৯,৪৪৬ |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬০০০১৯ |
যানবাহন নিবন্ধন | TN-03 (টিএন-০৩) |
তিরুবোত্রিয়ুর দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই জেলার উত্তর দিকে অবস্থিত একটি আবাসিক অঞ্চল। প্রশাসনিকভাবে এটিকে চেন্নাই নগর নিগমের অধীনে। এটি চেন্নাই শহরের তণ্ডাইয়ারপেট উপবিভাগের অন্তর্গত। চেন্নাই নগর নিগমের ১৫ জোনের মধ্যে উত্তরে সমুদ্র উপকূল বরাবর অবস্থিত জোন-১ হলো তিরুবোত্রিয়ুর।
প্যারিস কর্নার এবং চেন্নাই সেন্ট্রাল এর মত অর্থনৈতিক প্রশাসনিকভাবে উন্নত লোকালয়ের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়া, তাই সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা, পরিষেবার উপস্থিতি ও স্বল্পমূল্যে জীবনযাপনের সুবিধা থাকার জন্য লোকালয়টি আবাসিক প্রধান ও নবাগতদের থাকার সুবিধাজনক অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক একক বিপণন ব্যবস্থা এবং মৎস্য আহরণে সুবিধা থাকার জন্য চেন্নাই শহরের এই অন্যতম পুরাতন লোকালয়টিতে বিবিধ ধরনের ভাষাভাষীর লোকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। উপস্থিত বাস টার্মিনাস এবং চেন্নাই এমটিসি বাস পরিষেবার মাধ্যমে সড়কপথে এটি চেন্নাই শহরের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে সহজে পরিবহন যোগ্য। এখানে রয়েছে চেন্নাই শহরতলি রেলওয়ের তিরুবোত্রিয়ুর রেলওয়ে স্টেশন।
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ১৫,৯১৯ | — |
২০০১ | ২,১২,২৮১ | +১,২৩৩.৫% |
২০১১ | ২,৪৯,৪৪৬ | +১৭.৫% |
উৎস:
|
চেন্নাই শহর তেরির বহু আগে থেকেই তিরুবোত্রিয়ুরে জনবসতি ছিল৷ এখানে রয়েছে পাঠল পত্র স্থলঙ্গলে উল্লিখিত প্রাচীন ত্যাগরাজ মন্দির, এটি শিব মহামন্দির হওয়ার সাথে সাথে দেবী সতীর শক্তিপীঠগুলির একটি৷ এছাড়াও এখানে রয়েছে তিরুবুড়াই আম্মান, বড়বুড়াই আম্মান ও কোটিবুড়াই আম্মান মন্দির৷ কাছাকাছির মধ্যে রয়েছে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্ত পট্টিনাথের মন্দির৷ পরবর্তীকালে বহু সাধু, সন্ত, কবি ও বিদ্বজ্জন এই মন্দির দর্শনে আসেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আপ্পার, সুন্দরর, সম্বন্ধর, ত্যাগরাজ, বল্ললার, কম্বর, আদি শঙ্কর প্রমুখ৷ শ্রীরঙ্গমে উচ্চারিত হওয়া কম্ব রামায়ণের রচয়িতা ত্যাগরাজ, স্বামী বড়বুড়াই আম্মান মন্দিরে তা রচনা করেন৷ [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কালীন চেন্নাই শহরের উত্তর-পশ্চিম দিকে অটোমোবাইল শিল্পের উন্নতি ঘটে। একই সঙ্গে তিরুবোত্রিয়ুর, আবাড়ি, অম্বাত্তুর, সেম্বিয়াম, এন্নোরে অটো-বেল্ট তৈরি হয়।[১] ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে রাজ্য সরকার তিরুবোত্রিয়ুরকে তিরুভেলুর থেকে চেন্নাই জেলার স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়।[২]
তিরুবোত্রিয়ুরের অবস্থান ১৩°১০′ উত্তর ৮০°১৮′ পূর্ব / ১৩.১৬° উত্তর ৮০.৩° পূর্ব স্থানাঙ্কে।[৩] বঙ্গোপসাগর উপকূলে অবস্থিত এই লোকালয় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা অবস্থিত পদচারণ ক্ষেত্র। ২০০৪ সমুদ্র উপকূলবর্তী বাঁধ নির্মাণের পূর্বে মৎস্যজীবী সাধারণ মানুষের কাছে লোকালয়ে সমুদ্রের জল প্রবেশ করার আতঙ্ক ছিল নিত্যদিনের। এই সমুদ্র বাঁধ ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ও স্থান বিশেষে ১৬৫ থেকে ৩০০ মিটার চওড়া। উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ মিটার। সমুদ্রতীরে বালিয়াড়ির তৈরি করে বেশ কিছু একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
২০১৮ খ্রিস্টাব্দের পরিসংখ্যান অনুসারে তিরুবোত্রিয়ুর সহ তণ্ডাইয়ারপেটের সবুজায়ন ১০ শতাংশেরও নীচে, যেখানে সমগ্র চেন্নাইয়ের সবুজায়ন হার ১৫ শতাংশ প্রায়। এর মূল কারণ দ্রুত অর্থনৈতিক একক, কল-কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র, পরিশোধনাগার, মাছের আড়ত ও ফেরিঘাটের উপস্থিতি।[৪]
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে তিরুবোত্রিয়ুর লোকালয়ের জনসংখ্যা ছিল ২,৪৯,৪৪৬ জন, যেখানে প্রতি হাজার পুরুষে ৯৯১ জন নারী বাস করতেন।[৬] মোট শিশু সংখ্যা ২৬,৯০৩ জন যেখানে শিশুপুত্র সংখ্যা ১৩,৭৮২ জন এবং শিশুকন্যা সংখ্যা ১৩,১২১ জন। জনসংখ্যা অনুপাতে তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতি শতাংশ যথাক্রমে ১৪.১৬ ও ০.০২। শহরটির সাক্ষরতার হার ছিল ৮৮.৫৯ শতাংশ যা জাতীয় সাক্ষরতার হারের তুলনায় বেশি।[৬] শহরে মোট পরিবার সংখ্যা ৬৩,৮৬২ টি। মোট শ্রমজীবীর সংখ্যা ৯৪,০০০ জন, যার মধ্যে কৃষক ৪৫১ জন, মূল কৃষিজীবী ৫০৯ জন গৃহস্থলী সংক্রান্ত শ্রমজীবী ১,৫৬৮ জন, অন্যান্য শ্রমজীবী ৭৮,৫২২ জন। মোট প্রান্তিক শ্রমজীবী সংখ্যা ১২,৯৫০ জন, যার মধ্যে প্রান্তিক কৃষক ১৬৩ জন, প্রান্তিক কৃষিজীবী ১৩৬ জন, প্রান্তিক গৃহস্থলী সংক্রান্ত শ্রমজীবী ৬১২ জন, অন্যান্য প্রান্তিক শ্রমজীবী ১২,০৩৯ জন।[৭]
২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তিরুবোত্রিয়ুরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৭ শতাংশ।[৮]
তিরুবোত্রিয়ুর বিধানসভা কেন্দ্র চেন্নাই উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।[৯]
বৃহত্তর নিয়োগকারী কোম্পানীর মধ্যে রয়্যাল এনফিল্ড তিরুবোত্রিয়ুরে বহু দশক ধরে পরিষেবা চালাচ্ছে,[১০] এছাড়াও রয়েছে আইটিসি লিমিটেড।[১১]