তিলো পা বা তিলোপাদ (৯৮৮–১০৬৯) একজন বৌদ্ধ মহাসিদ্ধ ছিলেন যিনি মহামুদ্রা পদ্ধতি উদ্ভব করেন।
তিলো পার জন্ম বঙ্গদেশের চাটিভাভো বা অধুনা চট্টগ্রামে এক ব্রাহ্মণ বা রাজপরিবারে হয় বলে অনুমান করা হয়। বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তিনি ধীরে ধীরে বৌদ্ধ সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করেন।[১] ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে তিনি বিভিন্ন বৌদ্ধ পন্ডিতদের কাছে শিক্ষালাভ করেন। তিনি সর্য পার নিকট হতে চন্ডালী, নাগার্জুনের নিকট হতে প্রভাশ্বর, কম্বলাম্বর পার নিকট হতে স্বপ্নদর্শন, ইন্দ্রভূতির নিকট হতে প্রজ্ঞার শিক্ষা লাভ করেন। এছাড়া তিনি সুখসিদ্ধি ও মাতঙ্গী নামক দুই বৌদ্ধ ভিক্ষুণীর নিকট হতেও শিক্ষা লাভ করেন।[২]
তিলো পা তার শিষ্য নারো পাকে মহামুদ্রা পদ্ধতির শিক্ষা দান করেন।[১][৩] এছাড়াও তিনি উপদেশের ছয়টি শব্দ বলে যান। এই উপদেশের প্রকৃত সংস্কৃত রচনাটি বর্তমানে কোনো অস্তিত্ব নেই। একমাত্র তিব্বতী ভাষায় গ্নাদ-ক্যি-গ্জের-দ্রুগ (ওয়াইলি: gnad kyi gzer drug)[৪] নামে এই উপদেশ পাওয়া যায়। এই ছয়টি উপদেশ তিব্বতী ভাষায় ও তার বাংলা প্রতিশব্দ নিম্নে দেওয়া হল।
তিব্বতী | ওয়াইলি | বাংলা | |
---|---|---|---|
১ | মি ম্নো | mi mno | মনে রেখো না |
২ | মি ব্সাম | mi bsam | কল্পনা কোরো না |
৩ | মি সেম্স | mi sems | চিন্তা কোরো না |
৪ | মি দ্প্যোদ | mi dpyod | বিশ্লেষণ কোরো না |
৫ | মি স্গোম | mi sgom | নিয়ন্ত্রণ কোরো না |
৬ | রাং সার ব্ঝাগ | rang sar bzhag | শান্ত হও |