তুর | |
---|---|
প্রেফ্যক্ত্যুর ও কম্যুন | |
তুরের অবস্থান লুয়া ত্রুটি মডিউল:তথ্যছক_মানচিত্র এর 86 নং লাইনে: bad argument #1 to 'sqrt' (number expected, got nil)। | |
স্থানাঙ্ক: ৪৭°১৪′৩৭″ উত্তর ০°৪১′২১″ পূর্ব / ৪৭.২৪৩৬° উত্তর ০.৬৮৯২° পূর্ব | |
দেশ | ফ্রান্স |
নগরের পৌরসভা | তুর |
ক্যান্টন | তুর-১ তুর-২ তুর-৩ তুর-৪ |
আন্তঃগোষ্ঠী | তুর মেত্রোপোল ভাল দ্য লোয়ার |
সরকার | |
• মেয়র (২০২০-২০২৬) | এমানুয়েল দ্যনি (দ্য গ্রিন) |
আয়তন১ | ৩৪.৩৬ বর্গকিমি (১৩.২৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (Jan. 2017) | ১,৩৫,৭৮৭ |
• জনঘনত্ব | ৪,০০০/বর্গকিমি (১০,০০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | সিইটি (ইউটিসি+০১:০০) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | সিইএসটি (ইউটিসি+০২:০০) |
আইএনএসইই/ডাক কোড | ৩৭২৬১ /৩৭০০০, ৩৭১০০, ৩৭২০০ |
উচ্চতা | ৪৪–১১৯ মি (১৪৪–৩৯০ ফু) |
১ ফ্রান্সের ভূমি রেজিস্টার তথ্য, যার ভেতর হ্রদ, পুকুর, হিমবাহ > ১ বর্গকি.মি.২(০.৩৮৬ বর্গ মাইল বা ২৪৭ একর) এবং নদীর মোহনা অন্তর্ভূক্ত নয়। |
তুর আঁদ্র-এ-লোয়ার অধিদপ্তরের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল বা প্রেফ্যক্ত্যুর এবং পশ্চিম ফ্রান্সের সঁত্র-ভাল দ্য লোয়ার অঞ্চলের বৃহত্তম শহর। ২০১২ সালে তুর কম্যুনের জনসংখ্যা ছিল ১৩৪,৯৭৮ জন; যেখানে পুরো মেট্রোপলিটন এলাকার জনসংখ্যা ছিল ৪৮৩,৭৪৪ জন।
তুর লোয়ার নদীর নিম্ন তীরে অর্লেয়ঁ ও আটলান্টিক উপকূলের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। এর পার্শ্ববর্তী জেলা তুরেন প্রোভঁস দ্রাক্ষাসুরা, স্থানীয় কথ্য ফরাসি ভাষার উৎকৃষ্টতা এবং ৭৩২ সালের তুর যুদ্ধের জন্য বিখ্যাত। শহরটি বার্ষিক পারি-তুর সাইকেলচালনা প্রতিযোগিতার শেষ বিন্দু।
গ্যালিক যুগে শহরটি লোয়ার নদী পারাপারের কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। খ্রিষ্টীয় ১ম শতাব্দীতে রোমান সাম্রাজ্যের অংশ হওয়ার পর শহরটি নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় "সিজারোদুনুম" (সিজারের পর্বত)। ৪র্থ শতাব্দীতে নামটি বিবর্তিত হয়ে মূল গ্যালিক নাম ত্যুরোঁ প্রথম "সিভিতাস তুরোনাম" হয় এবং পরে "তুর" হয়। এই সময়ে তুরের গোলাকার ছাদহীন অট্টালিকা নির্মিত হয়। এটি রোমান সাম্রাজ্যের পাঁচটি বড় অট্টালিকার একটি ছিল।[১] ৩৮০-৩৮৮ সালের মধ্যে তুর রোমান লুগদুনুম প্রদেশের মেট্রোপলিসে পরিণত হয় এবং লোয়ার উপত্যকা, মেইন ও ব্রিটানির উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করে। এই শহরের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন সাধু মার্তাঁ। তিনি দ্বিতীয় বিশপ ছিলেন, যিনি তার কোট আমিঅঁর একজন নগ্ন ভিক্ষুককে দান করেছিলেন। এই ঘটনা ও মধ্যযুগীয় পশ্চিমা খ্রিষ্টধর্মে মার্তাঁর গুরুত্ব তুর ও এর অবস্থানকে সান্তিয়াগো দ্য কম্পোস্তেলা তীর্থস্থানে যাত্রার পথ বানিয়ে দেয়।[২]
৬ষ্ঠ শতাব্দীতে টেন বুকস অব হিস্ট্রি বইয়ের লেখক গ্রেগরি ৫৬১ খ্রিষ্টাব্দে আগুনে ধ্বংসপ্রাপ্ত ক্যাথিড্রালের পুনঃসংরক্ষণের মাধ্যমে এই শহরে তার পদচিহ্ন রাখেন। সাধু মার্তাঁর মঠ এর শুরু থেকেই পৃষ্ঠপোষক ও ফ্রাঙ্কিস রাজা ক্লোভিসের নিকট থেকে সাহায্য পেয়ে লাভবান হয়ে আসছিল, যা মার্তাঁ, অ্যাবি ও গোল শহরের প্রভাবে আরও বেড়ে যায়। ৯ম শতাব্দীতে তুর ক্যারলিনীয় পুনর্জন্মের কেন্দ্রভূমি ছিল, বিশেষ করে মার্মোতিয়ের আলক্যুয়াঁর মঠাধ্যক্ষদের জন্য।
৭৩২ খ্রিষ্টাব্দে আবদুল রহমান আল গাফিকি ও অশ্বারোহী বিশাল মুসলিম সেনাবাহিনি আল-আন্দালুস থেকে ফ্রান্সের ৫০০ কিমি (৩১১ মাইল) ভেতরে প্রবেশ করে। শার্ল মার্তেল ও তার পদাতিক সৈন্য তাদের তুরে থামিয়ে দেয় এবং সেখানে তুরের যুদ্ধ সংগঠিত হয়। যুদ্ধে মুসলিমরা পরাজিত হয় এবং ফ্রান্সে ইসলামি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা হয়।[৩] ৮৪৫ খ্রিষ্টাব্দে তুর ভাইকিং প্রধান হাস্তেনের প্রথম আক্রমণ সফলতার সাথে প্রতিরোধ করে। ৮৫০ খ্রিষ্টাব্দে ভাইকিংরা সিন ও লোয়ার নদীর মোহনায় বসতি স্থাপন করে। হাস্তেনের নেতৃত্বে তারা পুনরায় ৮৫২ খ্রিষ্টাব্দে লোয়ার অভিমুখে যাত্রা করে এবং অঁজে, তুর ও মার্মোতিয়ের মঠ লুণ্ঠন করে।
ফরাসি বিপ্লবের পূর্ব তুরের জনগণ সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে শুদ্ধ ফরাসি ভাষা ব্যবহারের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল।[৪] তাদের বাচনভঙ্গি রাজদরবারের বাচনভঙ্গির মত ছিল, ফলে তুরেনের উচ্চারণকে ফরাসি ভাষার সবচেয়ে আদর্শ উচ্চারণ বলে গণ্য করা হত। এর কারণ হিসেবে ব্যাখা প্রদান করা হয় ফ্রান্সের রাজদরবার ১৪৩০ থেকে ১৫৩০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তুরেনে ছিল এবং আনুষঙ্গিকভাবে রাজদরবারের ভাষা ফরাসি সারাদেশের দাপ্তরিক ভাষা হয়ে ওঠে। পরবর্তী কালে ১৯শ শতাব্দীতে ফরাসি ভাষার আদর্শ উচ্চারণের মান পারস্য বুর্জোয়াদের নিকট চলে যায়।[৫]
তুরে ট্রাম ব্যবস্থা রয়েছে, যা ২০১৩ সালের আগস্ট মাসের শেষ হতে সেবা প্রদান শুরু করেছে। ২১টি আলস্ত্রোম সিতাদি ট্রাম আনা হয়।[৬] এই শহরে বাস সেবাও রয়েছে। প্রধান কেন্দ্রীয় বাস স্টপ হল ওতেল দ্য ভিলের পার্শবর্তী জঁ জোর এবং র্যু নাশিওনাল। ট্রাম ও বাস নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে ফিল ব্লো। এতে টিকেটের ব্যবস্থাও রয়েছে। ২০২৫ সালে থেকে দ্বিতীয় আরেকটি ট্রাম সেবা চালু হবে।[৭]